২৯ মার্চ ২০২৪

প্রকাশিত: ১১:৩১, ২৩ এপ্রিল ২০২১

আপডেট: ১৪:২১, ২৩ এপ্রিল ২০২১

লকডাউনে পুলিশের আচরণ মানবিক হোক

লকডাউনে পুলিশের আচরণ মানবিক হোক

এ্যাডভোকেট শাহ আলী মোহাম্মদ পিন্টু খান: বৈশ্বিক মহামারি করোনার কারণে দেশে ২য় দফায় চলছে আরো এক সপ্তাহের লকডাউন। আইন শৃঙ্খলা রক্ষায় পুলিশ বাহিনীর ভুমিকা নতুন করে বলার নেই। আলোচনা সমালোচনার মধ্যেই পুলিশ বাহিনীর পথচলা। রাজনৈতিক শাসক দলের পক্ষে পুলিশের ব্যবহার নতুন কিছু নয়। কিন্তু করোনায় গোটা কয়েক পুলিশের ভুমিকা নতুন করে সমালোচনার জন্ম দিচ্ছে। এই মহামারির সময় পুলিশ যেন দিনে দিনে কঠোর থেকে আরো কঠোরতর হচ্ছে। প্রয়োজনে কঠোর হওয়া মন্দ নয়। কিন্তু একচোখা কঠোর হওয়া কাম্য নয়। দেশের অতিদরিদ্র মানুষের সাথে কঠোরতা কাম্য নয়। অতিদরিদ্র মানুষের প্রতি লকডাউনে পুলিশ একটু বেশি কঠোর হচ্ছে। সে কথা আর বলার অপেক্ষা রাখে না। সম্প্রতি দেশ জুড়ে পুলিশের অমানবিক আচরণ সমালোচনার জন্ম দিচ্ছে।

পুলিশের কাজ কি শুধু রিকসাওয়ালা, ভ্যানচালক, অটোরিকসা চালক, ডে-লেবার আর সাধারণ মানুষকে করোনা বুঝানো। মানবিক আচরণ কেন পুলিশ প্রদর্শন করতে পারছেনা। আর একটু মানবিক হলে কি হতো। রিকসাওয়ালার একটা রিকসা, অটো-ভ্যানওয়ালার একটা ভ্যান ভেঙ্গে দিয়ে কেন করোনায় বের হওয়ার শাস্তি দিতে হবে। এক- দুই ঘন্টা রিকসাটি আটকে রেখে ছেড়ে দিলে কি হয়? একটা মানুষের শেষ এবং একমাত্র সম্বল একটা রিকসা। তা যদি এভাবে ভেঙ্গে দেওয়া হয়। তাহলে একটি পরিবারকে পথে বসিয়ে দেওয়া হয়। গরিব অসহায় মানুষের পক্ষে আর একটি নতুন রিকসা কিনে রাস্তায় নামা সহজ নয়। অপরদিকে পুলিশ দেশের সম্পদ ও অর্থ নষ্ট করল।

এক সপ্তাহের বেশি সময় লকডাউন। এক বেলা কাজ না করলে যাদের না খেয়ে থাকতে হয়। খাবার না পেয়ে বউ বাচ্চাদের মুখে একমুঠো ভাতের ব্যবস্থা করতে তপ্ত দুপুরে রিকসা চালাতে বের হওয়া কি অন্যায়? দিনমজুর মানুষগুলোর কথা নাইবা ভাবলো কিন্তু এই মানুষগুলোর জীবন জীবিকার একমাত্র মাধ্যম একটি রিকসা, ভ্যান, ঠেলাগাড়ি ভেঙ্গে দিয়ে কি খুব খুশি প্রশাসন। প্রশাসন যদি মানবিক না হয় তাহলে দেশের অতি দরিদ্র মানুষগুলো কোথায় যাবে। জনপ্রতিনিধিরা কি শুধু আইন প্রনেতা হয়ে থাকবেন আর নির্বাচনে ভোট চাইবেন। অবসান হোক প্রশাসনিক নিষ্ঠুরতার।

লেখক পরিচিতি:
সভাপতি, বন্দর প্রেসক্লাব।

প্রেস নারায়ণগঞ্জ.কম

সর্বশেষ

জনপ্রিয়