২৫ এপ্রিল ২০২৪

প্রকাশিত: ০০:৩৩, ৭ মে ২০২১

'বিএনপি-জামাতের অংশগ্রহণে নারায়ণগঞ্জে হেফাজতের সহিংসতা'

'বিএনপি-জামাতের অংশগ্রহণে নারায়ণগঞ্জে হেফাজতের সহিংসতা'

প্রেস নারায়ণগঞ্জ: হেফাজতে ইসলামের ডাকা হরতালে সহিংসতায় নারায়ণগঞ্জে হেফাজতের নেতাকর্মী-সমর্থকদের সঙ্গে বিএনপি ও জামাত-শিবিরের নেতাকর্মীরাও অংশ নিয়েছিলেন। অর্থের বিনিময়ে বহিরাগত বিপুল সংখ্যক লোকজনও সেদিন ভাড়া করে আনা হয়েছিল বলে আদালতে স্বীকারোক্তি দিয়েছে গ্রেফতার ছাত্রদল কর্মী।

বৃহস্পতিবার (৬ এপ্রিল) বিকেলে রাকিব হোসেনকে নারায়ণগঞ্জের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আহমেদ হুমায়ূন কবীরের আদালতে স্বীকারোক্তি দেয় রাকিব হোসেন (১৯)। হরতাল কর্মসূচির দিন নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে ঢাকা-সিলেট মহাসড়কে তাণ্ডব ও সহিংসতার ঘটনায় পুলিশের দায়ের করা একটি মামলায় তাকে গ্রেফতার করা হয়। আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দির পরে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

আদালতে জবানবন্দি দেওয়া আসামি রাকিব হোসেন ছাত্রদলের সক্রিয় একজন কর্মী বলে তদন্ত সংস্থা পিবিআই জানিয়েছে। রাকিবের বাড়ি রূপগঞ্জ উপজেলার ভুলতা ইউনিয়নের গাউছিয়া এলাকায়। আসামি রাকিবের এই জবানবন্দি প্রদানের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন মামলার তদন্তের দায়িত্বপ্রাপ্ত সংস্থা পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) নারায়ণগঞ্জ পুলিশ সুপার মো. মনিরুল ইসলাম।

এ বিষয়ে পিবিআই জেলা পুলিশ সুপার আরও জানান, গত ২৮ মার্চ হেফাজতে ইসলামের হরতাল কর্মসূচির দিন রূপগঞ্জ উপজেলায় ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের বিভিন্ন পয়েন্টে অজ্ঞাতনামা দুষ্কৃতিকারীরা সংঘবদ্ধ হয়ে রাস্তায় চলাচলরত যানবাহন ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করে তাণ্ডব চালায়। খবর পেয়ে ভুলতা ফাঁড়ির পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়।

এ সময় পুলিশের উপস্থিতির টের পেয়ে দুষ্কৃতিকারীরা পালানোর চেষ্টা করলে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে সোহেল রানা (৪০), সোহেল ভুঁইয়া ওরফে বাবু (৩৪), মিলন মোল্লা (৩৩) ও রাকিব হোসেন (১৯) নামে চারজনকে হাতেনাতে আটক করে। একই সময় পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে সহিংসতার আলামত হিসেবে ভাঙচুর করা একটি ট্রাক জব্দ করে।

এ ঘটনায় পুলিশ বাদী হয়ে আটক চারজনসহ ৩০ জনের নাম উল্লেখ এবং অজ্ঞাতনামা আরও ২০ থেকে ২৫ জনকে আসামি করে রূপগঞ্জ থানায় সন্ত্রাস বিরোধী আইনে মামলা দায়ের করে। মামলাটি থানা পুলিশ কিছুদিন তদন্ত করার পর পুলিশ হেডকোয়ার্টার্সের নির্দেশে অধিক তদন্তের জন্য হস্তান্তর করা হয় পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) নারায়ণগঞ্জকে।

তদন্তভার পেয়ে পিবিআই বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে পর্যবেক্ষণসহ তদন্ত কার্যক্রম শুরু করে। এরই অংশ হিসেবে মামলার এজাহার নামীয় আসামি রাকিব হোসেনকে পুলিশ রিমান্ডে এনে জিজ্ঞাসাবাদ করা হলে পুলিশের কাছে তিনি স্বীকার করেন, তিনি নিজেসহ তার এলাকার ২৫ থেকে ৩০ জন লোক মহাসড়কে ভাঙচুর ও সহিংসতা সৃষ্টির ঘটনায় অংশগ্রহণ করেছিলেন। এদের মধ্যে অধিকাংশই বিএনপি ও জামাত-শিবিরের কর্মী। অন্যদের অর্থের বিনিময়ে চুক্তিতে ভাড়া করে ঘটনাস্থলে নিয়ে যাওয়া হয়।

আসামি রাকিব হোসেন তার স্বীকারোক্তিকে আরও জানান, হরতাল কর্মসূচির ওইদিন তিনিসহ রূপগঞ্জের স্থানীয় বিএনপি নেতা কাজী তাজ সহিংসতার নেতৃত্ব দিয়েছিলেন। তাদের নেতৃত্বেই বেশ কয়েকটি যানবাহন ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করে ঢাকা-সিলেট মহাসড়কে তাণ্ডব চালানো হয়।

প্রেস নারায়ণগঞ্জ.কম

সর্বশেষ

জনপ্রিয়