২৯ মার্চ ২০২৪

প্রকাশিত: ২২:০৭, ২৩ ফেব্রুয়ারি ২০২১

'শামীম ওসমানপন্থীরা হলেন মিথ্যাবাদী নেতার মিথ্যাবাদী সেনাপতি'

'শামীম ওসমানপন্থীরা হলেন মিথ্যাবাদী নেতার মিথ্যাবাদী সেনাপতি'

প্রেস নারায়ণগঞ্জ: নারায়ণগঞ্জ প্রেস ক্লাবের সাবেক সভাপতি অ্যাড. মাহবুবুর রহমান মাসুম বলেছেন, ‘জিউস পুকুর দখল হয়ে যাচ্ছে, সমাবেশ করে এমন কথা বলা হচ্ছে। সমাবেশে যারা এসেছে তারা সবাই শামীম ওসমানের অনুসারী। শামীম ওসমানপন্থীরা হলেন মিথ্যাবাদী নেতার মিথ্যাবাদী সেনাপতি। যখনই নারায়ণগঞ্জে কোনো ক্রাইসিস হয় তখন এরা ফায়দা লোটার জন্য মাঠে নামেন। যেমন হকার উচ্ছেদ আন্দোলনের সময় মেয়রকে হত্যা করার চেষ্টা করা হয়েছিল।’ সোমবার (২২ ফেব্রুয়ারি) নারায়ণগঞ্জ টিভির এক সাক্ষাৎকারে তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি আরও বলেন, ‘আগামী মেয়র নির্বাচনকে সামনে রেখে এই পরিকল্পনা। মেয়র আইভীর উন্নয়ন কর্মকান্ড ও মানুষের সাথে তার সম্পর্ক এগুলো তাদের গায়ে লাগছে। নির্বাচনে লক্ষাধিক ভোটের ব্যবধানে মেয়রের কাছে পরাজিত হওয়ার গ্লানি তারা ভুলতে পারছে না। আগামী দিনে মেয়রের জনপ্রিয়তাকে নষ্ট, মানুষের কাছে ও প্রধানমন্ত্রীর কাছে অপ্রিয় করার জন্য এ সমস্ত কর্মকান্ড তা নারায়ণগঞ্জবাসী বুঝে।’

সাংবাদিক নেতা বলেন, ‘জিউস পুকুর কে কিনেছেন, এর মালিক কারা? আর এর সাথে মেয়র আইভীর কী সম্পর্ক? এ সম্পত্তি যার, তার ছেলেমেয়েরা আছে ও তার মধ্যে মেয়র আইভীর মা আছে। সেদিক থেকে ওয়ারিশ হিসেবে মেয়র আইভীর কতটুকু অংশ পড়ে। তাহলে মেয়র আইভীর নামটা আসে কেন? মেয়র আইভীর নাম আসে কারণ মেয়র আইভীর জনপ্রিয়তা আকাশচুম্বী। এই জনপ্রিয়তার সাথে যারা সন্ত্রাসী লালন করে, সরকারকে অশান্ত রাখতে চায়, নানাভাবে দখলদারিত্ব বজায় রাখতে চায় তারা মেয়র আইভীর উচ্চকিত কন্ঠকে ভয় পায়। নারায়ণগঞ্জে অনেকগুলো হত্যাকান্ড হয়েছে। মেয়র আইভী ও আমরা যারা তার সাথে যুক্ত আছি আমরা সবাই এর প্রতিবাদ করেছি। এজন্য দায়ী এ সমস্ত চক্র নারায়ণগঞ্জকে অশান্ত করতে চায়। জিউস পুকুর এর ব্যাপারে কোর্টের রায় মূখ্য নাকি যারা আন্দোলন করে তাদের কথা মূখ্য?’

মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অ্যাড. খোকন সাহাকে উদ্দেশ্য করে মাহবুবুর রহমান মাসুম বলেন, ‘বিএনপির আমলে যখন খোকন সাহা নারায়ণগঞ্জে আসলেন আওয়ামী লীগ তখন কোন কর্মকান্ডে জড়াতে পারছিল না। সেই সময় এই মেয়রকে যখন খোকন সাহা মা বলতেন তখন কী জিউস পুকুর প্রসঙ্গ হারিয়ে গিয়েছিল? চন্দন শীল বলছেন মেয়রকে টেনে-হিচড়ে নামিয়ে দিবেন, নামাইতে আসেন। আপনারা মেয়রকে টেনে-হিচড়ে নামিয়ে দিবেন আর নারায়ণগঞ্জের মানুষ আঙ্গুল চুষবে, এটা ভাববার তো কোন কারণ নাই।’

জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আবু হাসনাত মো. শহীদ বাদল প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘আপনি তোলারাম কলেজের ভিপি ছিলেন। কার কাছে আশ্রিত হয়ে ভিপি হয়েছেন সবাই জানে এবং আপনি কি অবস্থায় নারায়ণগঞ্জে আসছেন তাও সবাই জানে। নারায়ণগঞ্জে আপনার কী অবদান আছে? বড় বড় দালান কোঠা করেছেন, আঙ্গুল ফুলে কলা গাছ হয়েছেন। এমনকি কোথায় ছিলেন, কী করতেন আমরা সবাই জানি। সুতরাং এসব কথা আপনার মুখে মানায় না।’

তিনি বলেন, ‘কয়দিন দেখি নেতার পক্ষে, কয়দিন নেতার বিপক্ষে। আবার অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখতে না পারলে নেতার আশ্রয়ে চলে আসেন। রাজনীতির নাম করে আপনারা ফায়দা লুটবেন সেইদিন চলে গেছে। এখন ভালো মানুষ রাজনীতিতে এগিয়ে আসছে। খারাপ মানুষ প্রত্যাখিত হবে। বিশেষ করে মিথ্যাবাদীরা তো রাজনীতির মাঠে কোনদিন ভালো করতে পারবে না।’

প্রেস নারায়ণগঞ্জ.কম

সর্বশেষ

জনপ্রিয়