বন্দরে চেয়ারম্যান প্রার্থীর সমর্থককে তুলে নেওয়ার অভিযোগ
নারায়ণগঞ্জের বন্দর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চিংড়ি প্রতীকের চেয়ারম্যান প্রার্থী আতাউর রহমান মুকুল তার এক সমর্থক সাবেক এক ইউপি সদস্যকে তুলে নেওয়ার অভিযোগ করেছেন৷
সোমবার সন্ধ্যা সাড়ে সাতটার দিকে কলাগাছিয়া ইউনিয়নের ৪ নম্বর ওয়ার্ডের সাবেক সদস্য শহীদ হোসেনকে বন্দর থানা ছাত্রলীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক মাসুদ খান ও তার লোকজন তুলে নিয়ে যান বলে অভিযোগ করেন মুকুল৷
তিনি বলেন, শহীদ এ নির্বাচনে আমার সমর্থনে প্রচার-প্রচারণায় অংশ নিচ্ছে৷ আর মাসুদ খান এ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ সমর্থিত চেয়ারম্যান প্রার্থী বন্দর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এমএ রশিদের সমর্থক৷ আমার পক্ষে নির্বাচনে যাতে কাজ না করতে শহীদকে হুমকি দেয় মাসুদ৷ তা না শোনায় তাকে গাড়িতে তুলে নিয়ে যায় মাসুদ ও তার লোকজন৷
মুকুলের ছেলে রেজানুর রহমান রূপণ বলেন, ‘আমরা এ বিষয়ে রিটার্নিং কর্মকর্তা ও থানার ওসিকে জানিয়েছি৷ থানার ওসি বলেছেন, তারা তাকে উদ্ধার করতে কাজ করছেন৷’
সন্ধ্যা সাড়ে সাতটার পর থেকে ঘন্টাখানেকেরও বেশি সময় শহীদের মুঠোফোনের নম্বরটি বন্ধ ছিল৷ রাত নয়টার দিকে তার সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে শহীদ বলেন, তিনি বন্দর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার কক্ষে আছেন৷ এ মুহুর্তে তিনি কথা বলতে পারছেন না৷ থানা পুলিশ বিষয়টি দেখছে বলে জানান তিনি৷
রাত এগারোটার দিকে মুঠোফোনে সাবেক ইউপি সদস্য শহীদ হোসেন বলেন, ‘ভাই ওই ঘটনা নিয়া বেশি কিছু আমার বলার নাই৷ আমি মুকুল সাহেবের নির্বাচনে কাজ করতেছি৷ সন্ধ্যায় বন্দর থেইকা কিছু পোলাপান আমারে নিয়া গেছিল৷ ওগো লগে আমি চা খাইয়া চইলা আসছি৷ আমি থানায় যা বইলা আসছি, তা আপনাকে বলতে পারি৷ এর বাইরে কিছু বলতে পারবো না৷’
মোবাইল বন্ধ থাকার কারণ জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘বন্দরে তো এখন কতকিছু হইতেছে সব তো আর বলতে পারতেছি না৷ আপনারা সাংবাদিক মানুষ, সবই তো বোঝেন৷’
তবে, অভিযোগ অস্বীকার করেছেন সাবেক ছাত্রলীগ নেতা মাসুদ খান৷ তিনি বলেন, ‘আমাদের কেউ এ ঘটনায় জড়িত না৷ আমি তো লোকমুখে শুনছি, সে নাকি থানায় বলছে, সে তার ভাইগ্নাদের সাথে চা খাইতে গেছিল৷’
তবে, এ বিষয়ে জানতে বন্দর থানার ওসি গোলাম মোস্তফার মুঠোফোনে কল করা হলেও তিনি তা রিসিভ করেননি৷
এর আগে বিকেল সাড়ে তিনটার দিকে মদনপুরে চিংড়ি প্রার্থীর প্রচারণাকালে হামলা চালিয়ে দুইজনকে আহত করা হয়৷ ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগ সমর্থিত দোয়াত-কলম প্রতীকের প্রার্থী এমএ রশিদের কর্মীরা এ হামলা চালান বলে অভিযোগ করেন মুকুল৷
গত সোমবার সন্ধ্যায়ও মুকুলের কর্মীসমর্থকদের মদনপুরে মারধর করা হয় বলে অভিযোগ পাওয়া যায়৷