২৭ জুলাই ২০২৪

প্রেস নারায়ণগঞ্জ

প্রকাশিত: ২১:১৬, ১২ মে ২০২৪

কায়সার-খোকার সমর্থন: কী মধু বাবুতে

কায়সার-খোকার সমর্থন: কী মধু বাবুতে

মেঘনা নদীবেষ্টিত সোনারগাঁ উপজেলা নিয়ে গঠিত নারায়ণগঞ্জ-৩ সংসদীয় আসন। এই আসনের বর্তমান সংসদ সদস্য উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল্লাহ আল কায়সার হাসনাত। গত দুইবার একই আসনে মহাজোটের প্রার্থী হয়ে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য লিয়াকত হোসেন খোকা। স্থানীয়ভাবে কায়সার ও খোকা চির প্রতিদ্বন্দ্বী বলে পরিচিত।

তবে, আগামী ২১ অনুষ্ঠিতব্য সোনারগাঁ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে দুই নদী এক মোহনায় এসে মিলিত হয়েছে। দুই প্রতিদ্বন্দ্বী রাজনীতিক উপজেলা চেয়ারম্যান পদে সমর্থন দিয়েছেন সাবেক উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান বাবুল হোসেন ওরফে বাবু ওমরকে। বাবুল উপজেলা আওয়ামী লীগেরও সদস্য। একজন প্রার্থীকে সাবেক ও বর্তমান দুই সংসদ সদস্যের সমর্থন উপজেলাবাসীর সামনে নতুন প্রশ্নের উদ্রেক করেছে। আর তা হলো- এমন কী মধু আছে বাবুলের কাছে যার জন্য কায়সার ও খোকাকে একসাথে মাঠে নামতে হচ্ছে?

গত ৭ মে এক সভায় স্থানীয় সংসদ সদস্য আব্দুল্লাহ আল কায়সার হাসনাত চেয়ারম্যান পদে বাবুল হোসেনের পক্ষে তার সমর্থনের কথা জানান। এদিকে, রোববার বিকেলে সোনারগাঁয়ের রয়েল রিসোর্টে এক আলোচনা সভায় বাবুলকে সমর্থন দেওয়ার কথা জানান সাবেক সংসদ সদস্য লিয়াকত হোসেন খোকা।
সোনারগাঁ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে আনারস প্রতীকে লড়ছেন বাবুল হোসেন। এ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে ঘোড়া প্রতীকে উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মাহফুজুর রহমান কালাম, উপজেলা যুবলীগের সভাপতি রফিকুল ইসলাম নান্নু এবং দোয়াত-কলম প্রতীকে উপজেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ আলী হায়দার প্রতিদ্বন্দ্বীতা করছেন।

চারজন প্রার্থী হলেও মূল লড়াইটা মাহফুজুর রহমান কালাম ও বাবুল হোসেনের মধ্যে হওয়ার সম্ভবনা তৈরি হয়েছে। উভয় প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীই নির্বাচনী এলাকায় জোর প্রচারণা চালাচ্ছেন। দুইজনই ক্ষমতাসীন দলের রাজনীতির সাথে সম্পৃক্ত থাকায় দলটির নেতা-কর্মীরা দুইভাগ হয়ে প্রচারণায় অংশ নিচ্ছেন। তবে, বাবুল হোসেনের পক্ষে প্রচারণায় অংশ নিতে দেখা গেছে কায়সার ও খোকার সমর্থকদের।

বাবুল হোসেন পঞ্চম উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে সোনারগাঁয়ের ভাইস চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। তার বড়ভাই মোশারফ হোসেন উপজেলার কাঁচপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান। বাবুল হোসেনের বিরুদ্ধে নদী দখল করে বালু ব্যবসা ও চাঁদাবাজির অভিযোগ রয়েছে।

এদিকে, বাবুল ও কালাম প্রচারণার পাশাপাশি একে-অপরের বিরুদ্ধে বাগযুদ্ধেও লিপ্ত আছেন। একজন অপরজনকে চাঁদাবাজ বলে বক্তব্য দিলে অপরজনও মাদক ব্যবসার পৃষ্ঠপোষক বলে অভিযোগ করতে ছাড়ছেন না। এ নিয়ে উভয় প্রার্থীর কর্মী-সমর্থকদের মধ্যে চলছে উত্তেজনা।

তবে, বিদ্যমান পরিস্থিতিতে সাবেক ও বর্তমান সংসদ সদস্যের একই প্রার্থীকে সমর্থন নিয়ে চলছে জোর আলোচনা। কেননা, বিগত সময়ে কায়সার ও খোকার মধ্যে সম্পর্কের বৈরিতা নিয়ে স্থানীয় সকলেই অবগত। জাতীয় সংসদ নির্বাচনের সময়গুলো ছাড়াও একে-অপরকে তীর্যক মন্তব্য করতে ছাড়েননি তারা। তবে, এমন কোন সুবিধাপ্রাপ্ত হয়ে দুইজনই বাবুলকে সমর্থন দিয়েছেন তা নিয়ে প্রশ্নের উদ্রেক হয়েছে জনমনে।

সর্বশেষ

জনপ্রিয়