সদর বন্দরের মানুষ নৌকা চায়: আনোয়ার হোসেন

নারায়ণগঞ্জ মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি আনোয়ার হোসেন বলেছেন, বিএনপি-জামাতের অবৈধ হরতাল জনগণ প্রত্যাখ্যান করেছে। তাদের এসব জ্বালাও করাও জনগণ কখনোই মেনে নিবে না। এখনি সময় অপশক্তির আস্তানা গুঁড়িয়ে দিতে হবে। সাম্প্রদায়িক অপশক্তি ও জঙ্গিবাদের ঠিকানা হচ্ছে বিএনপি। বাংলাদেশে হত্যার রাজনীতি তারা শুরু করেছে। তারা ক্ষমতায় গেলে লাশের পাহাড় গড়ে তুলবে।
সোমবার (২০ নভেম্বর) বিকেলে মাহমুদ নগর এলাকায় বিএনপি অবরোধ ও হরতালের প্রতিবাদে মহানগর ১৯, ২০ ও ২১নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ আয়োজিত শান্তি সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি আরো বলেন, সদর বন্দরের মানুষ দীর্ঘদিন যাবৎ অবহেলিত। তারা এই ৫ আসনে নৌকা চায়। তারা আর লাঙ্গলের কাছে জিম্মি হয়ে থাকতে চায়না। আমি আশা করব মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এই আসনে নৌকার প্রার্থীই দিবেন।
জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক যুগ্ম সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম বলেন, আমরা বিগত সময়ে নারায়ণগঞ্জ ৫ আসনে নেত্রীর নির্দেশে মহাজোটের পক্ষে কাজ করেছিলাম। মহাজোটের পক্ষে কাজ করেছিলাম বলে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা লাঞ্চিত-বঞ্চিত হচ্ছে জাতীয় পার্টির এক এমপির কাছে। জাতীয় পার্টির এমপি সেলিম ওসমানের দ্বাড়াতে আওয়ামী লীগের লোক জেল পর্যন্ত খেটেছে। সেলিম ওসমানের কিছু সন্ত্রাসী বাহিনীর হাতে আজ আমাদের আওয়ামী লীগের লোকেরা লাঞ্চিত বঞ্চিত হচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে আমাদের আকুল আবেদন নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনে যাতে শান্তির প্রতিক নৌকা মার্কার প্রার্থী দেয়া হয়। তাহলে এখানে আওয়ামী লীগ শক্তিশালী হবে।
তিনি আরো বলেন,এই আসনে পূণরায় যদি লাঙ্গল মার্কা দেয়া হয় তাহলে আওয়ামী লীগের সংগঠন নারায়ণগঞ্জে দূর্বল হয়ে পড়বে। আমরা আর লাঙ্গলে চাষ করতে চাই না। এখন ডিজিটাল যুগ ট্রাক্টর চলে এসেছে। আর আমরা সেলিম ওসমানের নির্যাতনের শিকার হতে চাই না। লাঙ্গল শীতলক্ষ্যা নদীতে ফেলে দিয়ে নৌকা প্রতিক চাই। ওসমান পরিবারকে কেউ সমর্থন করে না। নৌকা মার্কার জোয়ার উঠে গেছে। সবাই নৌকা মার্কার এমপি চায় নারায়নগঞ্জে। লাঙ্গল আর কেউ দেখতে চায় না।
২০ নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের নেতা জাহাঙ্গীরের সভাপতিত্বে এ সময় আরো উপস্থিত ছিলেন মহানগর আওয়ামী লীগের সহসভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা হায়দার আলী পুতুল, যুগ্ম সম্পাদক আহসান হাবিব, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা আউয়ুব আলী, প্রচার সম্পাদক হাবিব আল মুজাহিদ পলু, কার্যকরী সদস্য বীরমুক্তিযোদ্ধা জালাল উদ্দিন জালু, আবেদ হোসেন, মো. সালাউদ্দিন প্রমূখ।