৩০ এপ্রিল ২০২৪

প্রেস নারায়ণগঞ্জ

প্রকাশিত: ২০:৫৩, ১৬ এপ্রিল ২০২৪

বন্দরে দুই চেয়ারম্যান প্রার্থীর বিরুদ্ধে মাকসুদ পুত্রের অভিযোগ

বন্দরে দুই চেয়ারম্যান প্রার্থীর বিরুদ্ধে মাকসুদ পুত্রের অভিযোগ

নারায়ণগঞ্জের বন্দর উপজেলায় দুই চেয়ারম্যান প্রার্থীর বিরুদ্ধে নির্বাচনে কমিশনে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন অপর এক প্রার্থী। মঙ্গলবার (১৬ এপ্রিল) বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন অভিযোগ দাখিলকারী প্রার্থী মাহমুদুল হাসান। তিনি আরেক চেয়ারম্যান প্রার্থী মাকসুদ হোসেনের ছেলে। এর আগে সোমবার (১৫ এপ্রিল) নির্বাচন কমিশনে লিখিতভাবে এ অভিযোগ করেছেন তিনি। মাহমুদুল হাসান সাবেক বন্দর উপজেলা চেয়ারম্যান ও প্রার্থী, বিএনপির বহিষ্কৃত নেতা আতাউর রহমান মুকুলের বিরুদ্ধে করখেলাপীর অভিযোগ ও আরেক প্রার্থী জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক একেএম আবু সুফিয়ানের বিরুদ্ধে মামলার তথ্য গোপনের অভিযোগ এনে নির্বাচন কমিশনে তাদের প্রার্থিতা বাতিলের আবেদন করেছেন। 

একটি অভিযোগে আতাউর রহমান মুকুলকে করখেলাপী উল্লেখ করে তিনি লিখেছেন, নির্বাচনী আইন অনুযায়ী প্রত্যেক প্রার্থীকে সকল প্রকার ব্যাংক ঋণ, আয়কর, বিদ্যুৎ, গ্যাসসহ অন্যান্য সেবা খাতে দায়মুক্ত থাকতে হবে। মো. আতাউর রহমান (মুকুল) আসন্ন বন্দর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে প্রার্থী হিসাবে মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন। তিনি সিলভার ক্রিসেন্ট হাসপাতাল লিমিটেড নামে একটি প্রতিষ্ঠানের চেয়ারম্যান। উক্ত প্রতিষ্ঠানের ২০১৩-২০১৪ করবর্ষ হইতে ২০১৯-২০২০ করবর্ষ পর্যন্ত ৪ লাখ ৭২ হাজার ৭২৭ টাকা বকেয়া এবং ২০২০-২০২১ করবর্ষ হইতে ২০২৩-২০২৪ করবর্ষ পর্যন্ত আয়কর রিটার্ণ দাখিল করেন নাই বিধায় উক্ত প্রতিষ্ঠান কর খেলাপী হিসাবে বিবেচিত হওয়ার যোগ্য। যেহেতু মো. আতাউর রহমান (মুকুল) উক্ত প্রতিষ্ঠানের চেয়ারম্যান এবং ৫০ শতাংশ শেয়ারের মালিক, সেহেতু তিনিও একজন করখেলাপী হিসারে বিবেচিত। এমতাবস্থায়, উল্লিখিত তথ্য-উপাত্তের ভিত্তিতে আতাউর রহমান মুকুলকে একজন করখেলাপী হিসাবে চিহ্নিত করে তার মনোনয়নপন বাতিলপূর্বক আইনানুগ কার্যক্রম গ্রহণের জন্য বিনীত অনুরোধ করছি। 

আরেকটি অভিযোগে একেএম আবু সুফিয়ানকে মামলার তথ্য গোপনের অভিযোগ এনে তিনি লিখেছেন, নির্বাচনী আইন অনুযায়ী প্রত্যেক প্রার্থীকে তার নির্বাচনী হলফনামায় সকল ব্যক্তিগত তথ্য নির্ভুল ও সঠিকভাবে উপস্থাপন করার বাধ্যবাধকতা রয়েছে। এ কে এম আবু সুফিয়ান আসন্ন বন্দর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন। কিন্তু এ কে এম আবু সুফিয়ান নারায়ণগঞ্জ সদর মডেল থানার আই.আর নং-১৪, ০৫ই ডিসেম্বর ২০১৯ ইং সময় ১৫ টা ৩০ ধারা: ১৯-৯ ১৮৭৮ সালের অস্ত্র আইন তৎসহ ১৪৩/১৪৪/১৪৯/৩২৩/৩২৪/৩২৬/৩০৭/৩৪, পেনাল কোড ১৮৬০ মামলার বিবরণটি তার জমাকৃত মনোনয়নপত্রে উল্লেখ করেন নাই। যা নির্বাচনী আইনের পরিপন্থী। এমতাবস্থায়, উল্লেখিত তথ্য-উপাত্তের ভিত্তিতে এ কে এম আবু সুফিয়ানকে একজন নির্বাচনী হলফনামায় তথ্যগোপনকারী হিসাবে চিহ্নিত করে তার মনোনয়নপত্র বাতিলপূর্বক আইনানুগ কার্যক্রম গ্রহণের জন্য বিনীত অনুরোধ করছি। 

অভিযোগের ব্যাপারে চেয়ারম্যান প্রার্থী আতাউর রহমান মুকুল বলেন, আমি এটা শুনেছি ও জেনেছি। উল্লেখিত প্রতিষ্ঠানের মালিকানায় আমি নেই। আর যেহেতু মালিকানায় আমি নেই আমার সাথে এ অভিযোগের কোন সম্পৃক্ততা নেই। আর তাই অভিযোগটি মিথ্যা। 

অভিযোগের ব্যাপারে আরেক প্রার্থী একেএম আবু সুফিয়ান বলেন, বিষয়টি আমার জানা নেই। যেহেতু জানা নেই তাই এ ব্যাপারে এখনি আমি কোন মন্তব্য করতে পারছিনা। 

সর্বশেষ

জনপ্রিয়