২০ মে ২০২৪

প্রেস নারায়ণগঞ্জ

প্রকাশিত: ২১:৩৮, ৮ মে ২০২৪

ভোট পরীক্ষায় ফেল এম এ রশিদ

ভোট পরীক্ষায় ফেল এম এ রশিদ

ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচন উন্মুক্ত ঘোষণা করায় এবার দলীয় প্রতীক নৌকা ছাড়াই উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে মাঠে ছিলেন বন্দর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও বর্তমান চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা এম এ রশিদ। স্বতন্ত্র প্রতীক (দোয়াত-কলম) নিয়ে নির্বাচন করেছিলেন তিনি। কিন্তু গত বারের ‘অটোপাশে’ নির্বাচিত হওয়া এম এ রশিদ এবার ‘ভোট পরীক্ষায়’ অংশ নিয়ে দ্বিতীয় হয়েছেন। এই ফলাফল অনেকটাই প্রত্যাশিত বলে মনে করছেন বন্দরবাসী। 

রাজনীতিতে ক্লিন ইমেজ থাকলেও ভোটের মাঠে বরাবরই দুর্বল তিনি। এবার নিয়ে এম এ রশিদ ৪ বার উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে অংশ নিয়ে তিনবারই পরাজিত হয়েছিলেন৷ সর্বশেষ ২০১৮ সালে পঞ্চম উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে কোনো প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী না থাকায় বিনাভোটে প্রথমবারের মতো বন্দরের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছিলেন তিনি। তবে, এবার তিনি ফাঁকা মাঠ পাননি৷  তাই এবারের প্রতিযোগিতামূলক নির্বাচনে বড় ব্যবধানে হেরেছেন তিনি। 

জেলা নির্বাচন অফিসের তথ্য অনুযায়ী, চতুর্থ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে বন্দর উপজেলায় ১৯ হাজার ৫৪৩ ভোট পেয়ে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছিলেন বিএনপি থেকে বহিষ্কৃত নেতা আতাউর রহমান মুকুল। সেই সময় ওসমান পরিবার-সমর্থিত প্রার্থী এম এ রশিদ মাত্র ৯ হাজার ৭৬১ ভোট পেয়ে চতুর্থ হয়েছিলেন। এর আগে তৃতীয় উপজেলা পরিষদ নির্বাচনেও মুকুলের কাছে হেরে দ্বিতীয় হয়েছিলেন রশিদ৷  এবার ষষ্ঠ বন্দর উপজেলা পরিষদের নির্বাচনে ইউপি চেয়ারম্যান থেকে পদত্যাগ করে প্রার্থী হওয়া মাকসুদ হোসেনের কাছে ধরাশায়ী হয়েছেন৷ মাকসুদ হোসেন আনারস প্রতীকে ২৯ হাজার ৮৭৩ ভোট পেয়ে চেয়ারম্যান পদে নির্বাচিত হয়েছেন। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী এম এ রশিদ পেয়েছেন ১৪ হাজার ৮ ৩৮ ভোট। 

তবে, এম এ রশীদকে সমর্থন দিয়েছিলেন ওসমান পরিবারের দুই সংসদ সদস্য এ কে এম সেলিম ওসমান ও শামীম ওসমান। সেলিম ওসমান জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য হলেও তিনি এ উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে আওয়ামী লীগের রশিদকে সমর্থন দিয়েছিলেন। নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পর একাধিক অনুষ্ঠানে রশিদকে সমর্থন করে তাঁরা দুই বক্তব্য দিয়েছিলেন। কিন্তু বিনাভোটে গতবার বিজয়ী রশিদ চেয়ারম্যান পদে সরাসরি নির্বাচনে এবার ভোটারদের সমর্থন আদায় করতে পারেননি। 

সর্বশেষ

জনপ্রিয়