১৯ এপ্রিল ২০২৪

প্রকাশিত: ২০:৪০, ২৯ নভেম্বর ২০২১

আপডেট: ২০:৪০, ২৯ নভেম্বর ২০২১

অধরা সানজিদের খুনিরা

অধরা সানজিদের খুনিরা

প্রেস নারায়ণগঞ্জ: নগরীর কিল্লারপুল এলাকায় ছুরিকাঘাতে কিশোর সানজিদ দেওয়ান (১৮) হত্যার এক সপ্তাহ পেরিয়ে গেলেও আসামীরা এখনো ধরা-ছোয়ার বাইরে। পরিবার ও এলাকাবাসীর দাবি অতিসত্ত্বর এই ঘটনার সাথে জড়িতদের আইনের আওতায় এনে শাস্তির ব্যবস্থা করার।

গত রবিবার (২১ নভেম্বর) রাতে সাড়ে ৯টার দিকে ব্যাডমিন্টন কোর্টের জন্যে কিল্লারপুলে বাশ নিয়ে আসার জন্যে যায় সানজিদ, সিজানসহ আরো ২-৪ জন। সে সময় রাস্তায় দুই ছেলে মেয়েকে ঘিরে ৬-৭ জন জড়ো থাকায় কারণ জিজ্ঞেস করে সানজিদ। তখন আদম আর কদম নামের দুই ভাইয়ের সঙ্গে বাকবিতন্ডা ও হাতাহাতির এক পর্যায়ে ছুরিকাঘাত করা হয় সানজিদ ও সিজানকে। প্রথমে ভিক্টোরিয়া হাসপাতালে নিয়ে গেলে সিজানকে সেখানে চিকিৎসা দেওয়া হয় এবং সানজিদকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে নিয়ে গেলে সানজিদকে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করে। এ ঘটনার পরের দিন দুই ভাই আদম ও কদমসহ ৪জন নামীয় এবং অজ্ঞাত আর ৪-৫ জন অভিযুক্ত করে সদর মডেল থানায় একটি হত্যা মামলা করেন নিহত সানজিদের বাবা রিপন দেওয়ান।

মামলার অপর আসামীরা হলেন- কিল্লারপুল এলাকার মৃত আইয়ুব আলীর ছেলে কবির (৪৫) ও মৃত আহম্মদ আলীর ছেলে রনি।

কিল্লারপুলের এলাকাবাসীসূত্রে জানা যায়, ঘটনার দিন থেকে পলাতক রয়েছে মূলহোতা জমজ দুই ভাই আদম-কদমসহ অন্যান্য আসামীরা। কয়েক মাসে আগে নবীগঞ্জের জোড়া খুন মামলা (২৪(৩)১৬) থেকে জামিন পায় আদম। জামিনে বের হয়ে ছোট ভাই কদমকে নিয়ে এলাকায় ত্রাস ছড়ানোর চেষ্টা করে আদম। এছাড়াও আরেকটি হত্যা মামলায় যাবজ্জীবন কারাভোগ করছে আদম-কদমের বড় ভাই।

এলাকাবাসী অভিযোগ করে আরও জানায়, আদম-কদমরা এখানকার স্থানীয় বাসিন্দা না। ওদের বড় ভাই একটি হত্যা মামলায় যাবজ্জীবনের আসামী। কয়েক মাস আগে আদম জামিনে যে বের হলো সেটার ব্যবস্থাও তার মামারা করে দিয়েছে। জামিনে বের হয়ে এলাকায় এক প্রকার আতঙ্ক সৃষ্টি করে আদম। দুই ভাই এলাকার ছেলে-পেলেদের কাছে সরকার বলে পরিচয় দিতো এবং তাদেরকে সেই নামে সম্বোধন করতে বলতো। রাতে যখন গার্মেন্টসকর্মীরা আসতো তাদের পথ আটকিয়ে টাকা-পয়সা এবং ফোন ছিনতাই করে রেখে দিতো। ওদের পুরো পরিবারটাই এমন। ওদের ভাইদের দিয়ে এলাকায় প্রভাব বিস্তার করতে চায় ওদের মামারা।

নিহত সানজিদের বাবা রিপন দেওয়ান জানান, আমার খালি একটাই দাবি, আমার আশা-ভরসার প্রদীপ আমার এই একমাত্র পোলা। এক বছর হইবো ওরে কাজে দিছি। ওর নামে এলাকার কেউ রিপোর্ট দিতে পারবো না। আমার এমন ভালো পোলাডারে ঐ আদম-কদম মাইরা লাইলো। আমি এর ন্যায্য বিচার চাই।

এ বিষয়ে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা নারায়ণগঞ্জ সদর মডেল থানার উপ-পরিদর্শক মোতালেব জানান, এ ঘটনায় জড়িত যে দুই ভাই আদম ও কদম তাদের ধরতে আমরা অভিযান অব্যাহত রেখেছি। আশা করি খুব দ্রুত তাদের গ্রেফতার করতে পারবো।

এ বিষয়ে কথা বলার জন্যে সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহজামানের মুঠোফোনে কয়েক বার ফোন দেওয়া হলেও তিনি ফোনটি রিসিভ করেননি।

প্রেস নারায়ণগঞ্জ.কম

সর্বশেষ

জনপ্রিয়