১৯ মার্চ ২০২৪

প্রকাশিত: ১৯:২১, ৯ মে ২০২১

আজ পবিত্র শবে কদর

আজ পবিত্র শবে কদর

প্রেস নারায়ণগঞ্জ: আজ রবিবার (৯ মে) দিবাগত রাতে পবিত্র লাইলাতুল কদর বা শবে কদর। মুসলমানদের কাছে শবে কদর অত্যন্ত মহিমান্বিত একটি রাত। এই রাতে পবিত্র কোরআন শরীফ অবতীর্ণ হয় এবং এই রাতকে কেন্দ্র করে ‘আল-কদর’ নামে একটি সুরাও নাজিল হয়। এই রাতে ইবাদত-বন্দেগি করে আল্লাহর কাছে গুনাহ মাফের জন্য প্রার্থনা করেন ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা।

যথাযোগ্য মর্যাদায় ও ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্যের মধ্য দিয়ে নারায়ণগঞ্জবাসী পালন করবে মুসলিম সম্প্রদায়ের মহিমান্বিত এই রাত। জেলার ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা মহান আল্লাহর রহমত ও নৈকট্য লাভের আশায় নফল নামাজ আদায়, কোরআন তিলাওয়াত, জিকির ও মিলাদ মাহফিলসহ নানা ইবাদত-বন্দেগির মধ্য দিয়ে রাতটি অতিবাহিত করবেন। দান-খয়রাত করবেন। অতীতের গুনাহের জন্য ক্ষমাপ্রার্থনা এবং ভবিষ্যৎ জীবনের কল্যাণ কামনা করে মোনাজাত করবেন।

নগরীর চাষাঢ়াস্থ নূর মসজিদ, নবাব সলিমউল্লাহ রোডস্থ বাগে জান্নাত মসজিদ, ডিআইটি মসজিদসহ বিভিন্ন মসজিদে দেখা যাবে মানুষের ঢল। তারাবী শেষে আজ সারারাত মুসুল্লিরা থাকবেন এবাদতে মশগুল। আজকে আল্লাহর কাছ থেকে সকল গুনাহ মাফ করিয়ে নিতে এবং ভবিষ্যতে কোন প্রকার গুনাহ না করার প্রতিজ্ঞায় বধ্য পরিকর সকলে।

এছাড়া আজ শবে কদরকে কেন্দ্র করে তারাবীর নামায শেষে ব্যবস্থা রয়েছে নফল নামাজ হালকা জিকির ও দোয়ার। সারারাত এবাদত করার পর মুসুল্লিরা সেহরী করে ফজরের নামায আদায় করে শেষ করবেন এবাদত।রাতব্যাপী এবাদত বন্দেগি, জিকির ছাড়াও এই পবিত্র রাতে মুসলমানগণ মৃত পিতা-মাতা ও আত্মীয়-স্বজনসহ প্রিয়জনদের কবর জিয়ারত করেন। তাই এ রাতে কবরস্থানগুলোতেও মুসল্লিদের উপচেপড়া ভিড় থাকে।

মুসুল্লিদের ভীড় সামলাতে অনেক মসজিদ বারান্দায় এবং বাইরে প্যান্ডেল এবং চট ও মাদুর বিছিয়ে দেয়া হয়। এছাড়া পাইকপাড়া কবরস্থান ও মাসদাইর কবরস্থনে মৃত পিতা-মাতা ও আত্মীয়-স্বজনসহ প্রিয়জনদের কবর জিয়ারতের ব্যবস্থা করা হয়েছে। মহামারী করোনা ভাইরাসের কারণে স্বাস্থ্যবিধি যথাযথভাবে মেনে চলা ও সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিত করে ইবাদত করার আহ্বান জানানো হয়েছে মসজিদগুলোতে। আল্লাহ তাআলার কাছে এই মহামারী থেকে বিশেষ দোয়া করার আহব্বান জানানো হয়।

ইসলাম ধর্মে বলা হয়েছে, অন্যান্য সময়ে এক হাজার মাস ইবাদত করলে যে সওয়াব পাওয়া যায়, শবে কদরের রাতে ইবাদত করলে তার চেয়ে বেশি সওয়াব পাওয়া যায়। এই রাতে মহানবী হজরত মুহাম্মদ (সা.)-এর অনুসারীদের সম্মান বৃদ্ধি করা হয় এবং মানবজাতির ভাগ্য পুনর্র্নিধারণ করা হয়। সারা বিশ্বের মুসলমানদের কাছে এই রাত অতীব পুণ্যময় ও মহিমান্বিত।২০ রমজানের পর যেকোনো বিজোড় রাতে কদর হতে পারে। তবে ২৬ রমজানের দিবাগত রাতেই লাইলাতুল কদর আসে বলে আলেমদের অভিমত। মুসলমানরা নিজেদের গুনাহ মাফ এবং সওয়াব হাসিলের আশায় নফল ইবাদত, কোরআন তিলাওয়াত ও জিকির-আজকারের মধ্য দিয়ে রাতটি অতিবাহিত করবেন।

প্রেস নারায়ণগঞ্জ.কম

সর্বশেষ

জনপ্রিয়