২৫ এপ্রিল ২০২৪

প্রকাশিত: ২২:২৮, ২৩ নভেম্বর ২০১৮

আপডেট: ২২:০২, ২৪ নভেম্বর ২০১৮

এখানেই ভাগ্যবান ১০ !

এখানেই ভাগ্যবান ১০ !

প্রেস নারায়ণগঞ্জ: আসন্ন নির্বাচন ঘনিয়ে আসলেও নারায়ণগঞ্জের নির্বাচনী মাঠে উত্তাপ নেই বললেই চলে। কারণ সম্ভাব্য মনোনয়ন প্রত্যাশীরা তীর্থের কাকের মতো তাকিয়ে আছে স্ব স্ব দলের মনোনয়ন বোর্ডের দিকে। আগামী দুই-চারদিনেই মধ্যে চুড়ান্ত হয়ে যাবে কারা পাচ্ছে নারায়ণগঞ্জের ৫টি আসনে দলীয় মনোনয়ন। যদিও এবার ঐক্যফ্রন্ট ও মহাজোটের ব্যানারেই নির্বাচন হতে যাচ্ছে। এদিকে আওয়ামীলীগের মনোনয়ন প্রত্যাশীদের মধ্যে নারায়ণগঞ্জ-১,২,৩ ও ৪ আসনে গণসংযোগ, উঠান বৈঠক অব্যাহত রয়েছে। তবে অনেকটাই থেমে গেছে নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনে আওয়ামীলীগের মনোনয়ন প্রত্যাশীদের নির্বাচনী কার্যক্রম। অন্যদিকে বিএনপির মনোনয়ন প্রত্যাশীপদর কোন প্রকার গণসংযোগ বা নির্বাচনী কার্যক্রম চোখে পড়ছে না।

মহাজোট ও ঐক্যফ্রন্টের একাধিক শীর্ষ নেতাদের সূত্র জানায়, যদিও আওয়ামীলীগ ও বিএনপির মনোনয়ন প্রত্যাশী কেউ কেউ ইতিমধ্যে নিশ্চিত হয়ে গেছেন তিনি মনোনয়ন পাচ্ছেন না। বিশেষ করে নারায়ণগঞ্জ-২, ৪ ও ৫ আসনে আওয়ামীলীগের মনোনয়ন প্রত্যাশীরা চুপসে গেছেন। ওই তিনটি আসনে মহাজোট মনোনীত প্রার্থীরা চুড়ান্ত হয়ে আছেন। বাকী শুধু আনুষ্ঠানিক ঘোষনা। ফলে বতর্মান এমপি নজরুল ইসলাম বাবু, শামীম ওসমান ও সেলিম ওসমান আপাতত স্বস্থিতে রয়েছেন ওই তিন প্রার্থী। এতে করে এই তিনটি আসনে মনোনয়ন প্রত্যাশী অন্যান্যদের মধ্যে হতাশা নেমে এসেছে। বাকী দুটি নারায়ণগঞ্জ-১ ও ৩ আসনে জটিলতা তৈরী হয়ে আছে নারায়ণগঞ্জ-১ আসনে জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান হুসেইন মুহাম্মদের মনোনয়নপত্র সংগ্রহের কারণে। এরশাদ যদি শেষ পর্যন্ত এখানে নির্বাচন করেন তাহলে কপাল পুড়বে মহাজোটের বর্তমান এমপি গোলাম দস্তগীর গাজী ও সোনারগাঁও আসনে লিয়াকত হোসেন খোকার। এবং সোনারগাঁয়ে কপাল খুলবে আওয়ামীলীগ প্রার্থীর। কারণ আওয়ামীলীগের হাইকান্ড নারায়ণগঞ্জে জাতীয় পার্টিকে দুটি আসনের বেশি ছাড় দিবে না। এটা শতভাগ নিশ্চিত বলে মনে করছেন মহাজোটের নেতারা। তাই এরশাদ যদি রপƒগঞ্জ আসন ছেড়ে দেন তাহলে কুপাল খুলবে গোলাম দস্তগীর গাজী ও লিয়াকত হোসেন খোকার। ফলে এরশাদের ইচ্ছা অনিচ্ছার উপর নির্ভর করছে রূপগঞ্জে গোলাম দস্তগীর গাজী, সোনারগাঁেয় লিয়াকত হোসেন খোকা ও আওয়ামীলীগ প্রার্থীর দলীয় মনোনয়ন।

অন্যদিকে নারায়ণগঞ্জ-১ আসনে জেলা বিএনপির সভাপতি কাজী মনিরুজ্জামান ও বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য মোস্তাফিজুর রহমান দিপু ভুইয়া, নারায়ণগঞ্জ-২ আসনে সাবেক এমপি আতাউর হমান খান আঙ্গুর ও তার ভাতিজা প্রয়াত বদরুদ্দোজা খসরুর ছেলে মাহমুদুর রহমান সুমন, নারায়ণগঞ্জ-৩ আসনে সাবেক মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী অধ্যাপক রেজাউল করিম ও বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য আজহারুল ইসলাম মান্নান, নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনে সাবেক এমপি গিয়াস উদ্দিন, বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য মো: শাহ আলম ও জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক মামুন মাহমুদ আলোচনায়। এই ৯ জন নেতার মধ্যে থেকেই চুড়ান্ত হবে দলীয় মনোনয়ন। এখন দেখার পালা শেষ হাসি কোন ৪জন হাসেন। এদিকে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের ব্যানারের কারণে নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনে চুড়ান্ত হয়ে আছেন নাগরিক ঐক্যের উপদেষ্ঠা এস এম আকরাম। শুধু আনুষ্ঠানিক ঘোষনার বাকি। ফলে হতাশায় রয়েছেন বিএনপির মনোনয়ন প্রত্যাশী অন্য প্রার্থীরা।

প্রেস নারায়ণগঞ্জ.কম

সর্বশেষ

জনপ্রিয়