২৫ এপ্রিল ২০২৪

প্রকাশিত: ০১:৪২, ৩ জুন ২০২৩

আপডেট: ০১:৪২, ৩ জুন ২০২৩

কাউন্সিলর বাবুর সাথে তর্ক, অনুসারীদের বিরুদ্ধে হামলার অভিযোগ

কাউন্সিলর বাবুর সাথে তর্ক, অনুসারীদের বিরুদ্ধে হামলার অভিযোগ

প্রেস নারায়ণগঞ্জ: নারায়ণগঞ্জ নগরীর ভূঁইয়াপাড়া এলাকায় স্থানীয় মসজিদের মোতওয়াল্লির বাড়ি ও তার ভাতিজার ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে হামলা ও ভাঙচুরের অভিযোগ উঠেছে কাউন্সিলর আব্দুল করিম বাবুর বিরুদ্ধে৷ শুক্রবার (২ জুন) সন্ধ্যায় এ ঘটনা ঘটে৷

এর আগে দুপুরে ওই মসজিদটির ইমাম নিয়োগকে কেন্দ্র করে মসজিদ কমিটির লোকজনের সাথে কাউন্সিলর বাবু ও তার লোকজনের তর্ক হয়৷ ওই সময় কাউন্সিলর বাবুকে মসজিদ কমিটির লোকজন অপমান করেন বলেও রয়েছে অভিযোগ৷ দুপুরের এ ঘটনার পর সন্ধ্যায় হামলার ঘটনা ঘটে৷

আব্দুল করিম বাবু নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের ১৭ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর এবং সিটি করপোরেশনের এক নম্বর প্যানেল মেয়র৷ তিনি মহানগর আওয়ামী লীগেরও কার্যকরী সদস্য৷

প্রত্যক্ষদর্শী ও স্থানীয় লোকজন জানান, ভূঁইয়াপাড়ার বায়তুল মামুর জামে মসজিদের পুরোনো ইমামকে বাদ দিয়ে নতুন কাউকে নিয়োগ দেবার ব্যাপারে ভাবছে মসজিদ পরিচালনা কমিটি৷ শুক্রবার জুমার নামাজের পর ওই মসজিদে যান কাউন্সিলর আব্দুল করিম বাবু৷ তিনি মসজিদের ইমামের ব্যাপারে জানতে চাইলে মসজিদের মোতওয়াল্লী মাসুম শরীফ ভূঁইয়া ও তার ভাকিজা প্যারিস ভূঁইয়ার সাথে তর্ক হয়৷ এ সময় কাউন্সিলর বাবুকে মসজিদ নিয়ে নাক না গলানোর জন্য বলেন তারা৷ এতে অপমানিত বোধ করলেও কাউন্সিলর বাবু তার অনুসারীদের নিয়ে সেখান থেকে চলে যান৷ সারাদিনই এ নিয়ে এলাকা সরগরম ছিল৷

প্রত্যক্ষদর্শী এলাকাবাসী বলেন, হঠাৎ সন্ধ্যায় কাউন্সিলর বাবুর অনুসারী বলে পরিচিত কয়েকজন তরুণ-যুবক হাতে লোহার রড, বাঁশ, লাঠিসোটা নিয়ে মাসুম শরীফের বাড়ি ও তার ভাতিজা প্যারিসের ফাস্টফুডের দোকানে ভাঙচুর চালায়৷

প্যারিস ভূঁইয়া বলেন, ‘দুপুরে লোকজন নিয়ে মসজিদের সামনে আসে কাউন্সিলর৷ লোকজন নিয়ে কেন আসছেন জানতে চাইলে তিনি ক্ষেপে যান, এ সময় এলাকাবাসী ও মসজিদ কমিটির লোকজনের সাথে তর্ক হয়৷ এলাকাবাসীর তোপের মুখে তিনি তখন এলাকা ছাড়েন৷ সন্ধ্যায় মাগরিব নামাজ শেষে বাবুর একদল অনুসারী এসে আমার দোকান ভাংচুর করে। এরপর চাচার বাড়ির গেটে হামলা চালায়। ঘটনার পরপর আমি ৯৯৯ নম্বরে ফোন করলে সদর থানা থেকে ফোন করে। এরপর থানার ডিউটি অফিসার জানায় আগে জিডি করতে হবে।’

প্যারিস বলেন, ‘গত নির্বাচনে কাউন্সিলরকে সমর্থন দেওয়া নিয়ে আমাদের সাথে তার মনমালিন্য হয়েছিল৷ হামলার পেছনে এই জের থাকতে পারে৷ নাহলে উনি তো আমাদের মসজিদের ব্যাপারে আসার কথা না৷’

জানতে চাইলে হামলার সাথে তিনি বা তার কোন ব্যক্তি অনুসারী জড়িত না বলে দাবি করেন কাউন্সিলর আব্দুল করিম বাবু৷ তিনি বলেন, ‘আমি একজন জনপ্রতিনিধি৷ এলাকার মানুষের ভালো-মন্দের খোঁজ রাখা আমার দায়িত্ব৷ পুরোনো ইমামকে অযথাই তারা চাকরিচ্যুত করছেন এমন অভিযোগ পেয়ে আমি কথা বলতে যাই দুপুরে৷ কিন্তু তখন প্যারিস ও অন্যরা আমাদে সরাসরি অপমান করে৷ আমি কেন নাক গলাতে এসেছি, এমন কথাও বলে৷ আমি তখন সেখান থেকে চলে আসি৷ সন্ধ্যায় হৈ-চৈ হয়েছে শুনেছি কিন্তু আমার এর সাথে কোনো সম্পৃক্ততা নেই৷’

জানতে চাইলে নারায়ণগঞ্জ সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আনিচুর রহমান বলেন, ‘বিষয়টি নিয়ে পুলিশ খোঁজখবর করছে৷ হামলা ও ভাঙচুরের অভিযোগ দিলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে৷’

প্রেস নারায়ণগঞ্জ.কম

সর্বশেষ

জনপ্রিয়