কেক কেটে ওয়ার্কার্স পার্টির সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপন
প্রেস নারায়ণগঞ্জ: বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। মঙ্গলবার (১৭ মে) সন্ধ্যায় চাষাঢ়া বালুর মাঠ এলাকায় নারায়ণগঞ্জ জেলা কার্যালয়ে এই আয়োজন করা হয়। সভা শেষে কেক কেটে প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন করা হয়।
জেলা ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি হাফিজুর রহমানের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক হিমাংশু সাহার সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন জেলা সম্পাদক ম-লীর অন্যতম সদস্য গোলাম মোস্তফা সাচ্, সুনীল দত্ত, জাতীয় শ্রমিক ফেডারেশনের জেলা সদস্য সচিব এইচ রবিউল চৌধুরী, বাংলাদেশ যুব মৈত্রীর জেলা আহবায়ক আবুল হোসেন পাঠান, যুগ্ম আহ্বায়ক মাইন উদ্দিন বারী, বাংলাদেশ ছাত্র মৈত্রীর জেলা ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক রাফি উদ্দিন আহমেদ প্রাচী, এ সি আই শ্রমিক কর্মচারী ইউনিয়নের সভাপতি মঈন উদ্দিন চিস্তী, সহ সাধারণ সম্পাদক অহিদুজ্জামান, ওমর ফারুক নাছির, জাকির হোসেন, সাজ্জাদ হোসেন প্রমুখ।
বক্তারা বলেন, ১৯৭২ সালের এই দিনে ভারত ও পাকিস্তানের কমিউনিস্ট আন্দোলনের উত্তরাধিকারের ধারাবাহিকতায় মুক্তিযুদ্ধের বিজয়কে সংহত করে সমাজতন্ত্রের পথে অসাম্প্রদায়িক জনগণতান্ত্রিক বাংলাদেশ গঠনের প্রত্যয়ে ওয়ার্কার্স পার্টি বহু দ্বিধাবিভক্ত বিভিন্ন বাম কমিউনিস্ট গ্রুপকে ঐক্যবদ্ধ ও পুনর্গঠিত করার প্রক্রিয়ায় বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি (লেলিনবাদী) নামে নিজেদের পুনর্গঠিত করে। ভারত ও পাকিস্তান আমলে যেমন, বাংলাদেশ আমলেও এ দেশের কমিউনিস্ট আন্দোলনকে ডান-বাম বিচ্যুতি ও নানাবিধ বিভক্তি মোকাবেলা করে এগোতে হয় যা আপনাদের সকলেরই জানা। ঐক্যের ধারাবাহিকতায় ১৯৯২ এর মে মাসে বিভিন্ন বাম কমিউনিস্ট গ্রুপ বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টি হিসেবে ঐক্যবদ্ধ হয়, এরপরও দুর্ভাগ্যজনকভাবে আদর্শ ও কৌশলের নামে পার্টি ছেড়ে চলে যাওয়ার প্রবণতা অব্যাহত ছিল। এ সকল মতাদর্শগত, রাজনৈতিক ও সাংগঠনিক সংকট মোকাবেলা করে এদেশের কমিউনিস্ট আন্দোলনের প্রধান সংগঠন হিসেবে বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টি সামনে এগিয়ে চলছে এবং সমাজতন্ত্রের পথে বাংলাদেশকে এগিয়ে নিতে বাম গণতান্ত্রিক ও কমিউনিস্ট ঐক্যের ব্যাপারে নিরলস প্রচেষ্টা অব্যাহত রেখেছে।
তারা আরও বলেন, সমাজতন্ত্রই মুক্তির পথ। তাই আসুন এ পথে বাংলাদেশকে এগিয়ে নিতে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় অসাম্প্রদায়িক জনগণতান্ত্রিক বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠা করি।
প্রেস নারায়ণগঞ্জ.কম