২৮ মার্চ ২০২৪

প্রকাশিত: ১৮:৩১, ২৭ ডিসেম্বর ২০২২

আপডেট: ১৮:৩৩, ২৭ ডিসেম্বর ২০২২

ক্ষমতা থাকলে ইট খুলে দেখান: অ্যাডভোকেট মাসুম

ক্ষমতা থাকলে ইট খুলে দেখান: অ্যাডভোকেট মাসুম

প্রেস নারায়ণগঞ্জ: নারায়ণগঞ্জ প্রেস ক্লাবের সাবেক সভাপতি ও জ্যেষ্ঠ আইনজীবী অ্যাডভোকেট মাহবুবুর রহমান মাসুম বলেছেন, ‘নারায়ণগঞ্জকে জিম্মি করে রাখা সিন্ডিকেটের নেতা একজন রাজনীতিক। তিনি খালি বড় বড় কথা বলেন। দেখিয়ে দেবো, এইটা করবো, সেইটা করবো বলেই যাচ্ছেন। আপনি বাড়ির ইট খুলে ফেলার কথা বলেন। আরে দেন না ইশারা, ক্ষমতা থাকলে ইট খুলে দেখান। বড় বড় কথা না বলে দয়া করে নারায়ণগঞ্জের ভালো কাজের সাথে যুক্ত হন।’

মঙ্গলবার (২৭ ডিসেম্বর) সকালে বৈশাখী টেলিভিশনের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে এক অনুষ্ঠানে তিনি এইসব কথা বলেন।

তিনি আরও বলেন, ‘আমরা তো আপনার নিন্দা করি না। আমরা শিশু হত্যার বিচার চাই। এই শিশু হত্যার সাথে আপনারা যদি যুক্ত থাকেন তাহলে আপনাদের কথা তো বলতেই হবে।’

মাহবুবুর রহমান মাসুম বলেন, ‘আমরা নারায়ণগঞ্জ শহরকে নিয়ে ভাবি। একটা সুন্দর ও শান্তিময় নারায়ণগঞ্জ কীভাবে গড়ে উঠবে সেই প্রচেষ্টা আমাদের সকলের মধ্যে আছে। দৃষ্টিভঙ্গিগত পার্থক্য থাকলেও নারায়ণগঞ্জবাসীর মঙ্গল ও কল্যাণের জন্য আমরা সংবাদকর্মী একযোগে কাজ করছি। এই নারায়ণগঞ্জে অনেকগুলো পত্রিকা আছে। সকল গণমাধ্যমকর্মীদের চাওয়া একটা সুন্দর নারায়ণগঞ্জ। কিন্তু অত্যন্ত দুঃখের বিষয় হচ্ছে, এই নারায়ণগঞ্জ শহরকে সুন্দর করে গড়ে তোলা যায়নি, আমরা গড়তে পারছি না। পারছি না কেবল একটি সিন্ডিকেট চক্রের জন্য।’

নারায়ণগঞ্জের অনিয়ন্ত্রিত গণপরিবহন চলাচল নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেন এই আইনজীবী। তিনি বলেন, ‘গণপরিবহনগুলো নিয়ন্ত্রণ করছে একদল লোক। তাদের নিয়ন্ত্রণে মেয়াদোত্তীর্ণ গাড়িও চলে। জেলা প্রশাসক মৌমিতা পরিবহনকে বন্ধ করতে ব্যর্থ হয়েছেন। অথচ অনেক বড় গলায় মেয়াদোত্তীর্ণ গাড়িগুলোকে স্টেডিয়ামের ডোবায় ডোবানোর কথা বলেছিলেন। ধীরে ধীরে ডোবার পালা হয়তো আপনারই হচ্ছে কিন্তু গাড়িগুলো ডোবে নাই। আপনি ব্যর্থ হয়েছেন। মৌমিতা সাইনবোর্ড পর্যন্ত লাইসেন্স নিয়ে শহরে চালাচ্ছে। এই মৌমিতা নারায়ণগঞ্জের যানজট সৃষ্টি করার পেছনে মূলে কাজ করছে। বন্ধন, আনন্দসহ অধিকাংশ বাসের মেয়াদোত্তীর্ণ। কিন্তু নিয়ন্ত্রণের দায়িত্ব যার সেই জেলা প্রশাসক কিছুই করছেন না।’

তিনি আরও বলেন, ‘প্রিপারেটরী স্কুল নিয়ে নারায়ণগঞ্জের মেয়র রাজপথে নেমেছিল। তেমনি এইসব মেয়াদোত্তীর্ণ গাড়িগুলোর বিরুদ্ধে রাজপথে নামতে বাধ্য হবো। ১৫ দিনের মধ্যে মৌমিতাকে নারায়ণগঞ্জে ঢোকা বন্ধ করতে হবে।’

অ্যাডভোকেট মাসুম বলেন, ‘সাংবাদিকরা এখন গাড়ির নিয়ন্ত্রণ করেন। অটোগাড়ির ব্যবসা তো সাংবাদিকের করতে হয় না। আপনারা আমাদের লজ্জায় ফেলবেন না। হয় সাংবাদিকতা ছেড়ে দিয়ে ব্যবসায়ী হয়ে যান নাহলে ওসব ছেড়ে মূলধারায় চলে আসুন। ট্রাফিক বিভাগকে বলবো, সাংবাদিক ভেবে ভয় পান নাকি? আপনাদের ব্যবস্থা নিতে হবে।’

তিনি বলেন, ‘নারায়ণগঞ্জ একটা নৈরাজ্যকর, হতাশার নগরীদে নিমজ্জিত হচ্ছে। এই শহরকে নিয়ে চিন্তা-ভাবনা করার সময় এসেছে। এই অবস্থার পরিবর্তন করতে হলে প্রশাসনকে এগিয়ে আসতে হবে।’

বৈশাখী টেলিভিশনের নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রতিনিধি রফিকুল ইসলাম রফিকের সঞ্চালনায় আরও উপস্থিত ছিলেন নারায়ণগঞ্জ প্রেসক্লাবের সভাপতি খন্দকার শাহ্ আলম, জেলা টেলিভিশন জার্নালিষ্ট এসোসিয়েশনের সভাপতি নাফিজ আশরাফ, নারায়ণগঞ্জ প্রেসক্লাবের সদস্য নাহিদ আজাদ, হাসান আরিফ, দৈনিক সংবাদ চর্চার সম্পাদক মো. মুন্না খান, লাইভ নারায়ণগঞ্জের সম্পাদক কামাল হোসেন, প্রেস নারায়ণগঞ্জের সম্পাদক ফখরুল ইসলাম, দৈনিক যুগের চিন্তার নির্বাহী সম্পাদক নুরুল ইসলাম প্রমুখ।

প্রেস নারায়ণগঞ্জ.কম

সর্বশেষ

জনপ্রিয়