খিচুড়ির সাথে চেতনাশক খাইয়ে দুই বান্ধবীকে ধর্ষণের অভিযোগ
প্রেস নারায়ণগঞ্জ: নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলার ফতুল্লায় খিচুড়ির সাথে চেতনানাশক ওষুধ মিশিয়ে খাইয়ে অচেতন করে একই রাতে দুই বান্ধবীকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। ভুক্তভোগী দু’জনই পোশাক শ্রমিক। এই অভিযোগে দেলোয়ার হোসেন (২৮) নামে একজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
শনিবার (২৮ আগস্ট) রাতে অভিযুক্ত দেলোয়ারকে গ্রেফতার করা হয় বলে জানান ফতুল্লা মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. রকিবুজ্জামান। তিনি জানান, ভুক্তভোগী এক নারী বাদী হয়ে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে ধর্ষণের অভিযোগে মামলাটি দায়ের করেন। অভিযুক্ত দেলোয়ার ও ভুক্তভোগী দুই তরুণী (একজনের বয়স ২২, অন্যজনের ২৫ বছর) একই ফ্ল্যাটের কক্ষ ভাগাভাগি করে থাকেন। আসামি দেলোয়ার হোসেন রংপুর জেলার কাউনিয়া থানার বলব বিশু গ্রামের মো. ফজলুল হকের পুত্র। সে ফতুল্লার থানার হাজীগঞ্জ এলাকায় ভাড়া থাকতো।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, ভুক্তভোগী দুই তরুণী একসাথে একটি পোশাক কারখানায় কাজ করেন। একই সাথে একটি বাসায় ভাড়া থাকতেন। ওই বাসার একটি কক্ষ ভাড়া নিয়ে সাবলেট হিসেবে থাকতেন দেলোয়ার ও তার স্ত্রী। সপ্তাহখানেক পূর্বে তার স্ত্রী ঝগড়া করে বাসা ছেড়ে চলে যায়। গত বৃহস্পতিবার রাত এগারোটার দিকে মামলার বাদী ও তার বান্ধবী কাজ শেষে বাসায় ফেরে। বাসায় থাকা রান্না করা খিচুড়ি খেয়ে ঘুমিয়ে পড়েন তারা।
মামলায় বাদী অভিযোগ করেন, বাড়িতে একা থাকার সুযোগে খিচুড়িতে পূর্বেই চেতনানাশক ওষুধ মিশিয়ে রেখেছিল গ্রেফতার আসামি দেলোয়ার হোসেন। ফলে খিচুড়ি খাওয়ার সাথে সাথেই তারা গভীর ঘুমে আচ্ছন্ন হয়ে পরে। এই সুযোগে দেলোয়ার তাদের দুই বান্ধবীকে তাদের অজ্ঞাতসারে ধর্ষণ করে।
এ বিষয়ে ফতুল্লা মডেল থানার ওসি রকিবুজ্জামান জানান, অভিযুক্ত দেলোয়ারকে গ্রেফতার করে আদালতে পাঠানো হয়েছে। বাদী ও অপর তরুণীর ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে বলে ওসি জানান।
প্রেস নারায়ণগঞ্জ.কম
