২৫ এপ্রিল ২০২৪

প্রকাশিত: ১৪:১৯, ২৪ অক্টোবর ২০১৭

আপডেট: ২২:৪৯, ২৫ অক্টোবর ২০১৭

গন্তব্য এবার সিনিওলচু

গন্তব্য এবার সিনিওলচু

ওয়েদার ডাটা বলছিল বুধবার বাংলাবান্ধা তেতুলিয়ার আবহাওয়া ভালো থাকবে, ভিজিবিলিটি বেশ ভালো। পঞ্চগড় থেকে কাঞ্চনজঙ্ঘা ছাড়াও আরো কিছু দেখা যায় কিনা ভেবেছিলাম গত বছর। এবার আরেকটু বিশদ জানার ইচ্ছে ছিল। কিছুদিন থেকে আকাশ মেঘলা পাহাড় দেখা যায়না মোটেও। গত কাল রাতেই বুঝলাম আকাশ ভর্তি জ্বলজ্বলে তারা দেখে যে বুধবার দিন ভালো যাবে। রাত বারোটা নাগাদ ঠিক করলাম যাবো পাহাড় দেখতে। 

সঙ্গী সবুজকে নিয়ে ভোর ৪ টায় উঠে রওনা দিলাম। গত বার ঠিক এই সময়ে বুঝেছিলাম অক্টোবর এর ঠান্ডা কে হেলাফেলা করার ফল। এবার প্রস্তুতি নিয়েই বের হয়েছিলাম।
প্রশস্ত এশিয়ান হাইওয়েতে হিম ঠান্ডা বাতাস কেটে ছুটে যাচ্ছিলাম। যখন পাহাড় এর দেখা পেলাম তখন মেঘ কেটে সোনালী আলো কেবল পাহাড়ে পড়েছে। যদিও গত বারের মত ক্রিস্টাল ক্লিয়ার নয় তবুও দারুন দেখা যাচ্ছিল। এ অনুভুতি লিখে বোঝাবার নয়।

যখন বাংলাবান্ধার কাছাকাছি পৌছালাম তখন ছয়টা বাজতে ৫ মিনিট বাকি। এবার উদ্দেশ্য কাঞ্চনজঙ্ঘা নয়। সিক্কিম এ অবস্থিত সিক্কিম এর সর্ব উচ্চ পর্বত গুলোর একটি সিনিওলচু। সবচেয়ে সুন্দর বরফ পর্বত গুলোর একটি বিবেচনা করা হয় সিনিওলচুকে। কাঞ্চনজঙ্ঘার চুড়ো থেকে পুর্ব দিকে একাকি দাঁড়িয়ে আছে সিনিওলচু, চুড়োয় সোনালী আভা। নিচে ধানের ক্ষেতেও সোনালী রঙ। ভোরের সোনালী আলোয় তা আরো জ্বলজ্বল করছিল। গত বছর দেখেছিলাম জেনেছিলাম সিনিওলচুর কথা কিন্তু তেমন ছবি তোলা হয়নি। ১৯৩৬ সনে ৬৮৮৮ মিটার উচ্চতার পর্বতটি সর্বপ্রথম জয় করেন জার্মান পর্বতারোহী কার্ল উইয়েন। পরে সিক্কিমিজ পর্বতারোহী সোনাম গ্যাটসো ও সিনিওলচু জয় করেন।
পঞ্চগড় এর সব যায়গা থেকে সিনিওলচু দেখা যায় না। তেতুলিয়া ডাক বাংলো থেকে অল্প একটু দেখা যায় কিন্তু বোঝা যায়না। কারন সামনে দার্জিলিং এর পাহাড় সারি পড়ে যায়। তেতুলিয়া থেকে যত পুর্বে যাওয়া যায় ততই ভালো দেখা যায় সিনিওলচু। এই ছবি শালবাহান এর পূর্বদিকে এক গ্রাম থেকে তোলা।

 

মূল পোষ্টটি পড়তে ক্লিক করুন নিচের লিঙ্কে

https://www.facebook.com/firozalsabah/posts/1777277705637250

 

ফিরোজ আল সাবাহ

সর্বশেষ

জনপ্রিয়