চারণ সংগঠক সুজাউদ্দিন বাদলের স্মরণসভা

প্রেস নারায়ণগঞ্জ: প্রয়াত চারণ সংগঠক সুজাউদ্দিন বাদলের ২য় মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে চারণ সাংস্কৃতিক কেন্দ্রের উদ্যোগে স্মরণসভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। মঙ্গলবার (৩০ মার্চ) সন্ধ্যা ৬ টায় ২ নং রেল গেইটে অবস্থিত বাসদ র্কাযালয়ে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।

চারণের জেলা সংগঠক প্রদীপ সরকারের সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন বাসদের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য বজলুর রশীদ ফিরোজ, জেলা বাসদের সমন্বয়কারী নিখিল দাস, নারায়ণগঞ্জ সাংস্কৃতিক জোটের সভাপতি ভবানী শংকর রায়, জেলা সমাজতান্ত্রিক শ্রমিক ফ্রন্টের সভাপতি আবু নাঈম খান বিপ্লব, জেলা প্রগতি লেখক সংঘের সাধারণ সম্পাদক বিমল কান্তি দাস, সমাজ অনুশীলন কেন্দ্রের সমন্বয়কারী রঘু অভিজিৎ রায়, জেলা গার্মেন্টস শ্রমিক ফ্রন্টের সভাপতি সেলিম মাহমুদ, বাসদ ফতুল্লা থানার সমন্বয়কারী এম এ মিল্টন, সুজাউদ্দিন বাদলের ছোট ভাই ইমতিয়াজউদ্দিন আহমেদ জুলু, জেলা সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্টের সভাপতি সুলতানা আক্তার, কবি রইস মুকুল, শিক্ষক আব্দুল খালেক, জামাল হোসেন, সেলিম আলাদিন প্রমুখ।

বক্তারা বলেন, বর্তমান সরকার দেশের কর্তৃত্ববাদী শাসন কায়েম করেছে। ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মাধ্যমে জনগনের গণতন্ত্র ও বাকস্বাধীনতা হরণ করছে প্রতিদিন। লেখক মুশতাককে কারাগারে জীবন দিতে হয়েছে। কার্টুনিস্ট কিশোরকে পঙ্গুত্ব বরণ করতে হয়েছে। বর্তমান সরকারের অপশাসনে দেশের জনগন আজ বিপর্যস্ত। নিত্য পণ্যের দাম দফায় দফায় বাড়ছে। বাজারের উপর সরকারের কোন নিয়ন্ত্রণ নেই। এই করোনাকালে ৭০ ভাগ মানুষের আয় কমেছে, অসংখ্য শ্রমিক চাকরি হারাচ্ছে। এমন পরিস্থিতিতেও সরকার রাষ্ট্রায়ত্ত পাটকল ও চিনিকল বন্ধ করে দিয়ে প্রায় ৬০ হাজার শ্রমিককে পথে বসিয়েছে।

বক্তারা আরও বলেন, কমরেড বাদল সবসময় বুর্জোয়া অপশাসন ও মৌলবাদী সাম্প্রদায়িক শক্তির বিরুদ্ধে সোচ্চার ছিলেন। কমরেড বাদল আজীবন মেহনতি শ্রমজীবী মানুষের অধিকার আদায়ের সংগ্রামে নিয়োজিত ছিলেন। তিনি একজন সৎ, আর্দশবান, বন্ধুবৎসল মানুষ ছিলেন। তার ৫০ বছর বয়সে এসে তিনি গান শিখেন এবং সাংস্কৃতিক সংগঠন চারণে দায়িত্ব গ্রহণ করেন। ২০১৯ সালের ৩০ মার্চে তার মৃত্যু বেশ শূন্যতা তৈরি হয়েছে। মৃত্যুদিবসে তার স্বপ্নের আদর্শ মার্কসবাদের ভিত্তিতে একটি শোষণহীন সমাজতান্ত্রিক সমাজব্যবস্থা নির্মাণের সংগ্রামে নিজেদের নিয়োজিত করার দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করেন নেতৃবৃন্দ।