২৪ এপ্রিল ২০২৪

প্রকাশিত: ১৯:২৫, ৮ এপ্রিল ২০১৮

আপডেট: ২২:৩৮, ১০ জুন ২০১৮

চড়া দামে বাজারে উঠেছে মৌসুমি ফল তরমুজ

চড়া দামে বাজারে উঠেছে মৌসুমি ফল তরমুজ

প্রেস নারায়ণগঞ্জ: গ্রীষ্মের জনপ্রিয় ফল তরমুজ। মৌসুমি এই ফল গরমে পানির চাহিদা মেটানোর জন্য খুবই উপযোগী বলে মনে করেন অনেকেই। এতে থাকা নানান পুষ্টি ও খনিজ উপাদান মানবদেহ সতেজ রাখতে সাহায্য করে। তরমুজে অন্যান্য পুষ্টি উপাদানের পাশাপাশি, ভিটামিন বি-১ এবং বি-২ পাওয়া যায়। যা গরমে শরীর তরতাজা রাখতে সাহায্য করে।

চৈত্র মাস শেষের দিকে। কয়েক দিন পরেই আসছে বৈশাখ। গরম আরো বাড়বে। আর এই গরমে মানুষকে কিছুটা হলেও স্বস্তি দেবে মৌসুমের রসালো ফল তরমুজ। এরই মধ্যে বরিশাল, পটুয়াখালী সহ বিভিন্ন অঞ্চল থেকে সড়ক ও নৌপথে তরমুজ আসছে নারায়ণগঞ্জে।

কালীর বাজার চারারগোপ আটরশি মার্কেটে গিয়ে দেখা যায় ট্রাক ভর্তি তরমুজ লোড আনলোড হচ্ছে। চলছে তরমুজের বেচাকেনা। এখান থেকেই তরমুজ পৌঁছে যাচ্ছে নারায়ণগঞ্জের খুচরা ব্যবসায়ীদের হাতে ও শহরের ওলিতে গলিতে। ছোট-বড় ব্যবসায়ীরা এখান থেকেই তরমুজ কিনে থাকেন।

মৌসুমি ফল তরমুজ বাজারে নতুন আসায় তরমুজের দামটাও অনেক বেশি। ১০০টি তরমুজের গড়পড়তা পাইকারি দাম ৩০ থেকে ১৫ হাজার টাকা। ৫০ টাকা থেকে শুরু করে ৩০০ টাকা দামের তরমুজ পাইকারী বিক্রি হচ্ছে।

এদিকে ব্যবসায়ীরা বলছেন, মৌসুমি ফল তরমুজ বাজারে নতুন আসায় এর চাহিদা অনেক বেশি, সেই কারণে দামও একটু বেশি। তবে কিছুদিনের মধ্যে এই দাম কিছুটা কমে আসবে।

চারারগোপ বাজারের পাইকারী ফল ব্যবসায়ী মোশাররফ শনি বলেন, তরমুজের দাম আগের তুলনায় কিছুটা কম। তবে পহেলা বৈশাখ উপলক্ষ্যে সামনে দাম বাড়ার সম্ভাবনা আছে। পাইকারী তরমুজ প্রতি পিস ৩০০ টাকা থেকে শুরু করে সর্বনিন্ম ৫০ টাকা দরে বিক্রি করা হয়। তবে এই বাজারে একসাথে ৫০পিসের কমে বিক্রি হয় না। এখান থেকে খুচরা ব্যবসায়ীরা কিনে খুচরা বাজারে গিয়ে ৩৫০ থেকে ১০০ টাকার ভেতরে বিক্রি করছেন সাইজ অনুযায়ী। পুরো মার্কেট জুড়ে দৈনিক প্রায় ১ কোটি টাকার মত তরমুজ বেচা কেনা হয়, আর এই বাজারের সব তরমুজ আসে বরিশাল থেকে।

বাজারের আরেক পাইকারী ব্যবসায়ী আতিকুল ইসলাম জানান, বাজারে এখন ৪ জাতের তরমুজ রয়েছে। বাংলালিংক, কালো, চায়না, সাদা। বাংলালিংক তরমুজের দাম ৩০০-২৫০, কালো তরমুজের দাম ২৫০-২০০, চায়না তরমুজের দাম ১৫০-১২০ ও সাদা তরমুজের দাম ১৫০-১২০ টাকার ভেতর। তবে বাজারে বাংলালিংক ও কালো তরমুজের চাহিদা বেশী।

লাভ লোকসানের কথা জানতে চাইলে বলেন লাভ আলহামদুলিল্লাহ ভালোই আছে। আরো ২ মাস ধরে চলবে তরমুজের রমরমা ব্যবসা। তবে মাঠ পর্যায়ের কৃষকরা কিছুটা ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে। দাম মধ্যবিত্তের নাগালের বাইরে হবার কারন জানতে চাইলে বলেন, ১০০ তরমুজের মধ্যে ৮-১০টা পচা-নষ্ট বের হয়। পরিবহণ খরচেও প্রতি তরমুজে ১৫ থেকে ২০ টাকা পরে। তাছাড়া দোকান ভাড়া, কর্মচারী বিল সব মিলিয়ে একটু বেশি দামে বিক্রি না করলে লাভ হয় না।

শহরের বাজারঘুরে দেখা যায় প্রায় সকল ফলের দোকানগুলোতে তরমুজ বিক্রি চলছে। প্রথম দিকে কিছুটা লাভ বেশি হওয়ায় সব ফল দোকানিই এখন তরমুজ বিক্রি করছেন প্রচুর পরিমাণে। তরমুজের বাজার শুরু হওয়ায় প্রথম দিকে ভালো লাভ থাকে, যত গরম পড়বে তত বিক্রি হবে তরমুজ।

কালীবাজার এলাকায় খুচরা ফলের দোকানে তরমুজ কিনতে আসা একজন ক্রেতা বলেন, একটা তরমুজের দাম সাড়ে ৩শ’ টাকা চায়। মৌসুমি ফল বাজারে এসেছে শখ করে কিনলাম একটা। দাম কমলে নিয়মিত কেনা হবে। তবে নতুন আসায় বাজারে এখন তরমুজের অনেক দাম। সাধারণ নিম্ন আয়ের মানুষের এই দামে তরমুজ কিনে খাওয়া সম্ভব না।

প্রেস নারায়ণগঞ্জ.কম

সর্বশেষ

জনপ্রিয়