২৪ এপ্রিল ২০২৪

প্রকাশিত: ১৪:২৯, ২০ জুন ২০২২

আপডেট: ১৯:৫৩, ২০ জুন ২০২২

ব্যবসায়ীকে খুনের পর মাটি চাপা, দুই আসামির যাবজ্জীবন

ব্যবসায়ীকে খুনের পর মাটি চাপা, দুই আসামির যাবজ্জীবন

প্রেস নারায়ণগঞ্জ: নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লার ঝুট ব্যবসায়ী কামরুজ্জামান সেলিম চৌধুরীকে হত্যার পর মরদেহ মাটি চাপা দেওয়ার ঘটনায় দায়ের করা মামলায় দুই আসামিকে যাবজ্জীবন কারাদন্ড দিয়েছেন আদালত। এই মামলায় খালাস পেয়েছেন অপর দুই আসামি।

সোমবার (২০ জুন) সকালে অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ সাবিনা ইয়াসমিন আসামিদের উপস্থিতিতে এ রায় ঘোষণা করেন বলে আদালতের অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর (এপিপি) জাসমীন আহমেদ জানান। তিনি আরও জানান, ২০১৯ সালের এ মামলায় চারজনকে অভিযুক্ত করে আদালতে অভিযোগপত্র দেয় পুলিশ। মামলার বাদী, তদন্ত কর্মকর্তাসহ ১১ জনের সাক্ষ্য ও প্রমাণের ভিত্তিতে আদালত দুইজনের যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদন্ড ও দুইজনকে খালাস দিয়েছেন।

যাবজ্জীবন দন্ডপ্রাপ্তরা হলেন- ঝুটের গোডাউন মালিক মোহাম্মদ আলী (৪৩) ও তার কর্মচারী ফয়সাল (৩১)। খালাস পেয়েছেন অপর দুই কর্মচারী আলী হোসেন ও সোলায়মান।

নিহত ব্যবসায়ী সেলিম চৌধুরী ফতুল্লার বক্তাবলী ইউনিয়নের কানাইনগর এলাকার মৃত শামসুল হুদার ছেলে। তিনি ব্যবসার সুবিধার্থে স্ত্রী ও সন্তান নিয়ে ফতুল্লার শিবু মার্কেট এলাকায় ভাড়া বাসায় থাকতেন।

আদালতের এই রায়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেছে নিহতের পরিবার। নিহতের স্ত্রী ও মামলার বাদী রেহেনা আক্তার বলেন, ‘এটি একটি পরিকল্পিত হত্যা। প্রধান আসামি মোহাম্মদ আলী ও ফয়সাল আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি বিস্তারিত স্বীকার করেছে। তারপরও আদালতের এমন রায় প্রত্যাশা করিনি। আমরা উচ্চ আদালতে যাবো।’

মামলার নথির বরাতে নারায়ণগঞ্জ আদালত পুলিশের পরিদর্শক মো. আসাদুজ্জামান জানান, ২০১৯ সালের ৩১ মার্চ বাসা থেকে বের হয়ে নিখোঁজ হন ঝুট ব্যবসায়ী কামরুজ্জামান সেলিম চৌধুরী। ৬ এপ্রিল ফতুল্লা মডেল থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন তার স্ত্রী। দু’দিন পর অপহরণ মামলা দায়ের করা হয়। ১০ এপ্রিল ফতুল্লার ভোলাইল এলাকার আরেক ঝুট ব্যবসায়ী মোহাম্মদ আলীর গোডাউনের মেঝে খুঁড়ে সেলিম চৌধুরীর বস্তাবন্দি মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।

পরিদর্শক আসাদুজ্জামান আরও জানান, যাবজ্জীবন দন্ডপ্রাপ্ত মোহাম্মদ আলীর কাছে দুই লাখ টাকা পেতেন নিহত সেলিম চৌধুরী। টাকা ফেরত দিতে চাপ দেওয়ায় পূর্বপরিকল্পিতভাবে হত্যা করে মরদেহ নিজের গোডাউনে পুঁতে রাখেন মোহাম্মদ আলী ও তার কর্মচারী ফয়সাল। মরদেহের পাশে চুন দিয়ে রাখে, যাতে মরদহে সহজে পচে মাটির সঙ্গে মিশে যায়। আজ এ মামলায় রায়ে দু’জনকে যাবজ্জীবন সাজা দেওয়া হয়েছে। তাদের কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

প্রেস নারায়ণগঞ্জ.কম

সর্বশেষ

জনপ্রিয়