২৯ মার্চ ২০২৪

প্রকাশিত: ২১:৩০, ২২ অক্টোবর ২০২১

আপডেট: ২১:৩০, ২২ অক্টোবর ২০২১

ট্রেড ইউনিয়ন কেন্দ্রের প্রতিনিধি সভা অনুষ্ঠিত

ট্রেড ইউনিয়ন কেন্দ্রের প্রতিনিধি সভা অনুষ্ঠিত

প্রেস নারায়ণগঞ্জ: বাংলাদেশ ট্রেড ইউনিয়ন কেন্দ্র (টিইউসি) নারায়ণগঞ্জ জেলা কমিটির প্রতিনিধি সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। শুক্রবার (২২ অক্টোবর) সকাল ১০টায় জেলা টিইউসি কার্যালয়ে সভা অনুষ্ঠিত হয়।

সভায় জেলা টিইউসির সভাপতি আব্দুল হাই শরীফের সভাপতিত্বে উপস্থিত ছিলেন, কেন্দ্রীয় টিইউসির নেতা মন্টু ঘোষ, জেলা টিইউসির সাধারণ সম্পাদক বিমল কান্তি দাস, যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক ইকবাল হোসেন, সদস্য জাকির হোসেন, এম এ শাহীন প্রমুখ।

সভায় বক্তারা বলেন, শ্রমিক ছাঁটাই নির্যাতন নিত্যদিনের ঘটনায় পরিণত হয়েছে। চাকুরিচ্যুত শ্রমিকদের আইনি ক্ষতিপূরণ দেয়া হচ্ছে না। কারখানা মালিকরা বেশির ভাগ ক্ষেত্রে শ্রমিকদের নিয়োগপত্র, পরিচয়পত্র দেয় না। কাজের সময়সীমা ও ছুটির বিধান মানছে না। অবাধ ট্রেড ইউনিয়ন করতে দেয়া হচ্ছে না। ফলে শ্রমিকদের ন্যায্য মজুরি ও অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা নিয়ে কোনো ধরনের দর-কষাকষি করতে পারে না। কর্মক্ষেত্রে শ্রমিকদের নিরাপত্তার বিষয়টিও এখনো উপেক্ষিত। কারখানায় কাজ করে শ্রমিকদের নিরাপদে ঘরে ফেরার নিশ্চয়তা নেই। সমকাজে সমমজুরি ও নারী-পুরুষের মজুরি বৈষম্য বিরাজমান। শ্রমিক ও মালিকদের মধ্যে প্রভু-ভৃত্যের সম্পর্ক বিরাজ করছে। শোষণ-নিপীড়নের মাধ্যমে শ্রমিকদের শ্রমদাসে পরিণত করা হয়েছে। শ্রমজীবি মানুষের আয়ের ওপর তার পুরো পরিবারের অন্ন, বস্ত্র, বাসস্থান, শিক্ষা, চিকিৎসাসহ জীবন ধারণের মৌলিক উপকরণের নিশ্চয়তা দিতে হবে।

বক্তারা আরো বলেন, ট্রেড ইউনিয়ন শ্রমিকদের আইনগত স্বীকৃত অধিকার। ট্রেড ইউনিয়ন একদিকে যেমন শ্রমিকদের সুসংগঠিত করে, অন্যদিকে শিল্পকারখানায় সুষ্ঠু শিল্প সম্পর্ক বজায় রাখার মাধ্যমে উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধিতে সহায়তা করে। যেকোনো রাষ্ট্রের সঠিক গণতান্ত্রিক সমাজব্যবস্থার বিকাশ এবং তাকে শক্তিশালী ও টেকসই করতে রাষ্ট্রের উৎপাদিকা শক্তি মেহনতি মানুষের স্বার্থ সংরক্ষণে অপরিহার্য হাতিয়ার হিসেবে ট্রেড ইউনিয়ন অধিকার বাস্তবায়ন করতে হবে। বাংলাদেশ আজ উন্নয়নশীল দেশের দ্বারপ্রান্তে। দেশকে মধ্যম আয়ের বা উন্নয়নশীল দেশে উন্নীত করার অন্যতম মূল কারিগর হচ্ছেন শ্রমজীবি মেহনতি মানুষ। কিন্তু যাদের শ্রমে ও ঘামে দেশ উন্নত হচ্ছে সেই শ্রমজীবি মানুষের জীবনমান এখনো দারিদ্র্যসীমার নিচেই রয়ে গেছে। তাঁদের জীবনমানের উন্নতি করতে না পারলে দেশকে বাস্তবিকপক্ষে এগিয়ে নেওয়া সম্ভব হবে না। মহান মুক্তিযুদ্ধের অঙ্গীকার ছিলো সাধারণ মানুষসহ শ্রমজীবি মানুষকে শোষণের হাত থেকে মুক্ত করে একটি বৈষম্যহীন সমতাভিত্তিক সমাজ ও রাষ্ট্রব্যবস্থা কায়েম করা। কিন্তু স্বাধীনতার ৫০ বছর পরেও শ্রমজীবি মানুষের যে দুরবস্থা তা কোনো ভাবেই মেনে নেয়া যায় না। এটা মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনার সঙ্গে সাংঘর্ষিক। তাই শ্রমজীবি মানুষের জীবন-জীবিকার নিশ্চয়তাসহ জাতীয় নিম্নতম মজুরি ২০ হাজার টাকা ঘোষণা, অবাধ ট্রেড ইউনিয়ন অধিকার ও গণতান্ত্রিক শ্রম আইনের প্রণয়নসহ সামাজিক সুরক্ষা নিশ্চিত করার দাবি আদায়ে সুসংগঠিত বৃহত্তর আন্দোলন গড়ে তোলার আহ্বান জানাই ।

প্রেস নারায়ণগঞ্জ.কম

সর্বশেষ

জনপ্রিয়