ডাইং ব্যবসায়ী কাশেমের বিরুদ্ধে এসপির কাছে অভিযোগ
প্রেস নারায়ণগঞ্জ: নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লার ডাইং ব্যবসায়ী হাজী আবুল কাশেমের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজির মিথ্যা মামলায় ফাঁসানোর চেষ্টার অভিযোগ করেছেন মনিরুল ইসলাম নামে আরেক ব্যবসায়ী। রোববার (৩ জানুয়ারি) দুপুরে নারায়ণগঞ্জ জেলা পুলিশ সুপার মোহাম্মদ জায়েদুল আলম বরাবর একটি লিখিত অভিযোগ দেন ওই ব্যবসায়ী। আবুল কাশেমের বিরুদ্ধে অবৈধ উপায়ে অর্থ উপার্জনের অভিযোগও করেছেন মনিরুল ইসলাম।
অভিযুক্ত আবুল কাশেম আজাদ রিফাত ফাইবার্স লিমিটেড ও আজাদ নিট কম্পোজিট টেক্সটাইল লিমিটেডের সত্ত্বাধিকারী। অভিযোগকারী ব্যবসায়ী ইসলাম গ্রুপের মালিক মনিরুল ইসলাম। তিনি নিজেকে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের সমর্থক বলে অভিযোগ অভিযোগে উল্লেখ করেছেন। অভিযোগে মনিরুল ইসলাম বলেন, আবুল কাশেমের তত্ত্বাবধানে পরিচালিত একটি এতিমখানা মাদরাসায় অনুদান দিয়েছেন। ওই অনুদানের সঠিক ব্যবহার হয়েছিল কিনা জানতে চাওয়ায় মাদরাসার মোতওয়াল্লী হাফেজ মতিউর রহমানকে দিয়ে তার বিরুদ্ধে ৫০ লাখ টাকার চাঁদাবাজির মামলা করার চেষ্টা করছেন বলে অভিযোগ মনিরুল ইসলামের। আবুল কাশেমের ছেলে রাজীবের কাছে এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি মনিরুল ইসলামকে বলেন, সে মতিউর রহমানকে অপমান করেছে। উত্তরে মনিরুল ইসলাম বলেন, ‘আমি শুধু মতিউর রহমানকে বলেছিলাম চাচা আমি আপনার এতিমখানায় আমার বাবার রুহের মাগফিরাতের জন্য যত টাকা দিয়েছি তা এতিমখানার কাজে ব্যবহার করা হয়েছে কিনা তার হিসেবটা দেবেন। কারন এই লোকটি তিনটি বিয়ে করে তিনটি সংসার ব্যয় পরিচালনার জন্য অত্র এতিমখানার টাকা ব্যবহার করেন জানতে পেরেই তার কাছে আমি হিসাব চাই।’
ডাইং ব্যবসায়ী আবুল কাশেম ও তার ছেলেদের বিরুদ্ধে অভিযোগে মনিরুল ইসলাম বলেন, ‘কাশেম এক সময় নারায়ণগঞ্জের রেম্বো ডাইংয়ের ফোরম্যান হিসেবে কর্মরত ছিলেন। ডাইংয়ের শ্রমিক হতে দুর্নীতির মাধ্যমে সরকারের কোটি টাকার রাজস্ব ফাঁকি দিয়ে অবৈধভাবে শত শত কোটি টাকার সম্পদের মালিক হয়েছেন কাশেম। ঠিক যেন আলাদীনের চেরাগ পেয়ে গেছেন। অবৈধ টাকা দিয়ে তার ছেলেরা নানারকম অপকর্মে জড়িত হয়েছে। নিরীহ ব্যবসায়ীদের হয়রানি করার জন্য পুলিশকে টাকা দিয়ে ভয়ভীতি দেখান। তার গ্রামের বাড়িতে শিবচর থানার বাহাদুরপুর গ্রামে অসহায় জনগণ তার অত্যাচারের শিকার। চারজন বডিগার্ডসহ উনি ঘোরাঘুরি করেন এবং নিরীহ মানুষদের ভয়ভীতি দেখান।’
প্রেস নারায়ণগঞ্জ.কম