২০ এপ্রিল ২০২৪

প্রকাশিত: ২১:৪৮, ২৫ নভেম্বর ২০২১

আপডেট: ১১:৩৪, ২৬ নভেম্বর ২০২১

তিনি কোথাও নাই, আবার আছেন

তিনি কোথাও নাই, আবার আছেন

প্রেস নারায়ণগঞ্জ: তিনি কোথাও নাই। না মনোনয়ন বাণিজ্যে, না ভাগ-বাটোরা, ঠিকাদারি ব্যবসার কমিশন কিংবা লুটপাটে। তাকে পাওয়া যায় অন্যায়, অবিচারের বিরুদ্ধে সোচ্চার কণ্ঠস্বরে৷ ত্বকী-চঞ্চল-আশিক-ভুলু-মিঠু হত্যার বিচার দাবিতে, নারায়ণগঞ্জবাসীর স্বার্থবিরোধী রাজউকের জমি বিক্রি বিরুদ্ধে আন্দোলনে পাওয়া যায় তাকে। তিনি থাকেন নারায়ণগঞ্জবাসীর সুন্দর ভবিষ্যতের জন্য আধুনিক বাসযোগ্য নারায়ণগঞ্জ গড়ার কর্মে। অন্যায়ের বিরুদ্ধে থাকার কারণেই তিনি একটি পক্ষের চক্ষুশূল হয়েছেন৷ এই পক্ষটি এমন কোন অস্ত্র নেই যা তারা তাঁর বিরুদ্ধে ব্যবহার করেনি। চরিত্র হনন, ভুমিদুস্যতা, দুর্নীতিবাজ, মসজিদ মন্দিরের জমি দখলকারীসহ সব ধরনের কাজেই তাঁর নাম জড়ানোর চেষ্টা করেছে তারা। কিন্তু দিন শেষে তাদের সকল প্রচারণা, সকল কৌশল মাঠে মারা গিয়েছে। কোনোভাবেই মেয়র আইভীর বিরুদ্ধে তারা নারায়ণগঞ্জবাসীকে মাঠে নামাতে পারেনি। কারণ এই শহরের মানুষ জানে আইভী কী।

মেয়র আইভী ঘোষণা দিয়েছিলেন, রঙ পাল্টানো তাঁর স্বভাব না। তিনি কালো মানুষ, কালোই আছেন। তিনি নারায়ণগঞ্জবাসীর পাশে আছেন, সন্ত্রাসের বিপক্ষে সবসময় থাকবেন। যতক্ষণ বেঁচে থাকবেন অন্যায়ের বিরুদ্ধে থাকবেন। কোন অন্যায়ের কাছে মাথা নত করবেন না এবং নারায়ণগঞ্জের জনগণই তাঁর শক্তি। তাঁর এই ঘোষণায় আস্থা রেখেছে মানুষ।

এক সময়ে সন্ত্রাসের জনপদ হিসেবে পরিচিতি পাওয়া নারায়ণগঞ্জ শহরে শান্তির দূত হয়ে আবির্ভূত হয়েছিলেন মেয়র আইভী। হত্যা, গুম, চাঁদাবাজি, ভূমিদস্যুতার বিরুদ্ধে মেয়র আইভী এই শহরে প্রতিরোধ তৈরি করেছিলেন। মেধাবী ছাত্র ত্বকী-তরুণ নাট্যকার চঞ্চল-ব্যবসায়ী আশিক-ভুলু-মিঠু হত্যার বিচার দাবিতে লড়ে যাচ্ছেন তিনি। শহরবাসী মনে করেন তাঁর এই লড়াই বাঁচিয়েছে অনেক তরুণ প্রাণ। এই কারণে শহরে সন্ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করতে প্রভাবশালী এক মহল তাকে বারবার দমিয়ে রাখার চেষ্টা করেও ব্যর্থ হয়েছে। নগরীতে শান্তি-শৃঙ্খলা রক্ষায় কাউকে ভয় না পেয়ে সত্য ও ন্যায়ের পক্ষে কথা বলেছেন। নগরবাসীর ভীতি ও শঙ্কা দূর করেছেন। এইসব কর্মকান্ডই মেয়র আইভীকে সাধারণ মানুষের ভরসাস্থল হিসেবে উপস্থাপন করেছে।

এই শহরে জুট ব্যবসা, চোরাই তেল, পরিবহন-ফুটপাত চাঁদাবাজি, ভুমিদুস্যতা, মাদক ব্যবসা থেকে প্রতিমাসে শত কোটি টাকার লেনদেন হয় কিন্তু কোন অবৈধ আয়ের থেকে বখরা নেন না মেয়র আইভী। বরঞ্চ যারা নেন সেই শক্তির বিরুদ্ধে তিনি প্রবল ভাবে সোচ্চার। তাঁর এই প্রতিবাদী কণ্ঠকে ভয় পায় সেই শক্তি। তাই তারা এই শহর থেকে আইভীকে সরাতে তৎপর।

পিতা আলী আহাম্মদ চুনকার মতো অল্প সময়েই মানুষের আস্থার প্রতীক হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করতে পেরেছেন ডা. আইভী। রাজনৈতিক পরিবার থেকে উঠে আসা ব্যক্তিটি অল্প সময়তেই বুঝেছিলেন, মানুষ উন্নয়নের পাশাপাশি শান্তি চায়। এই কাজটি মেয়র আইভী সুনিপুণ হাতে সম্পন্ন করতে পেরেছেন বলেই মত নগরবাসীর। ২০০৩ সালে পৌর চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে ২০২১ সালে দ্বিতীয় দফায় সিটি মেয়রের দায়িত্ব পালনকালীন বদলে দিয়েছেন নগরীর চেনা রূপ। তবে জনপ্রতিনিধি নির্বাচিত হওয়ার পর পৌরসভা আমল থেকেই মেয়র আইভীকে ঘায়েল করতে তৎপর একটি পক্ষ। সেই তৎপরতা এখনো চলছে। কিন্তু কোন নেতিবাচক প্রচারণা মেয়রকে কাবু করতে পারেনি। উল্টো দিনদিন আরও জনপ্রিয় হচ্ছেন মেয়র আইভী। ক্ষমতাসীন নিজ দলের সরকারে থাকা অবস্থায় জিতেছেন দুইবার আবার বিএনপির আমলেও জিতেছেন তিনি। এই পর্যন্ত তিনটি নির্বাচনে প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে লড়তে হয়েছে তাকে এবং প্রতিটি নির্বাচন বাংলাদেশের নির্বাচনী ব্যবস্থায় মডেল নির্বাচন বলা হয়ে থাকে। প্রতিবারেই তিনি সেই অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের মধ্যে দিয়ে জিতে আসেন। মেয়র আইভী ঘনিষ্ঠ নেতাকর্মীদের দাবি দীর্ঘদিন ক্ষমতায় থাকলেও তার বিরুদ্ধে কোন দুর্নীতি, স্বজনপ্রীতির অভিযোগ নেই। নেই সন্ত্রাসী লালন পালনের অভিযোগ। বরঞ্চ একাধিকবার তার বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ তুলেও সুবিধা করতে পারেনি প্রতিপক্ষরা। কেননা এই শহরের মানুষ চেনেন মেয়র আইভীকে, জানেন তার সততা ও আপোষহীন ভূমিকার কথা। নারায়ণগঞ্জসহ সারা বাংলাদেশে স্বচ্ছ ভাবমূর্তির রাজনীতিবিদ হিসেবে পরিচিতি রয়েছে মেয়র আইভীর।

আধুনিক নারায়ণগঞ্জ গড়তে ইতোমধ্যে তিনি বড় বড় কিছু প্রকল্প বাস্তবায়ন করেছেন, আরও কিছু চলমান। আইভী ঘনিষ্ঠদের দাবি চলমান প্রকল্প সমাপ্ত হলে নারায়ণগঞ্জ হবে সারা বাংলাদেশের কাছে উন্নয়নের রোল মডেল। তাই সিটি কর্পোরেশনের চলমান উন্নয়ন প্রকল্প সমাপ্ত ও উন্নয়নের ধারাবাহিকতা রক্ষায় ক্লিন ইমেজের রাজনীতিবিদ মেয়র আইভীকেই আবারও মেয়র পদে দেখতে চায় আওয়ামী লীগের নেতাকর্মী ও সাধারণ নগরবাসী।

নগরবাসী বিশ্বাস করেন, পূর্বের মতো সবসময়ই একদল লোক এই শহরে সন্ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করার চেষ্টায় রয়েছে। তারা এই শহরের কর্তৃত্ব নিতে চান। মেয়র আইভী তাদের বিরুদ্ধে ঢাল হিসেবে দাঁড়িয়ে আছেন। আইভী আছেন বলেই এই শহরে শান্তি বিরাজ করছে। ফলে এই এক আইভীকে হটাতেই সেই মহলের যত মাথা ব্যাথা। কারণ তারা জানে, আইভী থাকলে তাদের সন্ত্রাসের রাজত্ব কখনই কায়েম হবে না।

প্রেস নারায়ণগঞ্জ.কম

সর্বশেষ

জনপ্রিয়