২০ এপ্রিল ২০২৪

প্রকাশিত: ২২:১৯, ৭ এপ্রিল ২০২১

তোলারাম কলেজের প্রাক্তন ছাত্র মাহবুব কোরিয়ান সিনেমার নায়ক

তোলারাম কলেজের প্রাক্তন ছাত্র মাহবুব কোরিয়ান সিনেমার নায়ক

প্রেস নারায়ণগঞ্জ: নারায়ণগঞ্জের ঐতিহ্যবাহী সরকারি তোলারাম কলেজের প্রাক্তন ছাত্র কাজ করছেন দক্ষিণ কোরিয়ান চলচ্চিত্রে৷ মাহবুব লি নামে বর্তমানে দেশটির অত্যন্ত পরিচিত মুখ এই বাংলাদেশি নাগরিক৷ কাজ করেছেন বেশ কয়েকটি কোরিয়ান সিনেমায়৷ প্রধান চরিত্র অর্থ্যাৎ নায়ক হিসেবেও কাজ করেছেন মাহবুব৷

আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম বিবিসি বলছে, ১৯৯৯ সালে অভিবাসী কর্মী হিসেবে বাংলাদেশ থেকে দক্ষিণ কোরিয়ায় গিয়েছিলেন মাহবুব। পরে সেখানে নানারকম সমস্যার মুখোমুখি হন৷ এক সময় জড়িয়ে পড়েন দেশটির ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রিতে। শ্রমিক থেকে হয়ে ওঠেন কোরিয়ান চলচ্চিত্রের নায়ক৷

মাহবুব বলেন, ‘অভিবাসী কর্মী হিসেবে প্রায়ই বৈষম্যের শিকার হতে হয় আমাদের। এ কারণে নিজে অভিবাসী হয়েও অন্যদের নিয়ে কাজ করা শুরু করি। একটা সময় বুঝতে পারি, নিজেদের জন্য গণমাধ্যম তৈরি করা দরকার। তৈরি করতে থাকি ডকুমেন্টারি। অভিনয় বা চলচ্চিত্র নিয়ে একেবারেই অভিজ্ঞতা ছিল না আমার। পরিকল্পনা ছিল ২-৩ বছর সেখানে থাকবো। তারপর দেশে আসবো। তবে সেটা হয়নি। ঘটনাক্রমে যুক্ত হয়ে যাই চলচ্চিত্রে।’

বাংলাদেশি এই নাগরিক জানান, ২০০৪ সাল থেকে ডকুমেন্টারির কাজ শুরু করেন। কারণ, স্থানীয় মিডিয়ায় প্রবাসীদের কোনও সুযোগ দিচ্ছিল না। ‘দ্য রোড অব দ্য রিভেঞ্জ’ নামের এক ধরনের ব্ল্যাক কমেডি ঘরানার শর্ট ফিল্মে প্রথম অভিনয় করেন তিনি।

নায়ক হয়ে ওঠা প্রসঙ্গে তোলারাম কলেজের প্রাক্তন এই ছাত্র বলেন, ‘এ ছবির পরিচালক আমাকে চিনতেন। এখানে আমার দায়িত্ব ছিল স্ক্রিপ্ট নিয়ে কাজ করা ও একজন হ্যান্ডসাম নায়ককে খুঁজে দেওয়া। খুঁজতে গিয়ে দেখি, মনের মতো কাউকেই পাচ্ছি না। কিন্তু পরিচালক যে বিষয়গুলো চান, তার সবই আমার মধ্যে আছে। নির্মাতাকে গিয়ে বললাম, আমি অভিনয় করলে কেমন হয়? তিনি বললেন, মাহবুব তুমি হ্যান্ডসাম, ভাষাও জানো, ভিসারও সমস্যা নাই। কিন্তু তোমাকে ওজন কমাতে হবে। এভাবেই অভিনয় করা শুরু।’

বান্ধবীকে নিয়ে প্রথম ছবিই জেনজু উৎসবে দু’টি পুরস্কার পেয়ে যায়। যার ফলে কোরিয়ান মিডিয়ার লাইম লাইটে উঠে আসেন মাহবুব। ২০০৯ সালে মুক্তি পায় তার প্রথম পূর্ণদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র ‌‘হোয়ার ইজ রনি...’। একই বছরে আসে ‌‘বান্ধব’, যা দেশ-বিদেশে ব্যাপক আলোচিত হয়।

মাহবুব অভিনীত চলচ্চিত্রের মধ্যে আছে—‘মাই ফ্রেন্ড অ্যান্ড হিজ ওয়াইফ’, ‘হোয়ার ইজ রনি’, ‘পেইনড’, ‘ইউ আর মাই ভাম্পায়ার’, ‘পারফেক্ট প্রপোজাল’, ‘আসুরা: সিটি অব ম্যাডনেস’ ও ‘লাভ ইন কোরিয়া’। বর্তমানে তিনি দক্ষিণ কোরিয়ান চলচ্চিত্র শিল্পে সরাসরি যুক্ত আছেন। পাশাপাশি কাজ করছেন চলচ্চিত্র নির্মাণ ও পরিবেশনায়। বাংলাদেশ কালচারাল অ্যাসোসিয়েশন ইন কোরিয়ার পরিচালকও তিনি।

প্রেস নারায়ণগঞ্জ.কম

সর্বশেষ

জনপ্রিয়