২৬ এপ্রিল ২০২৪

প্রকাশিত: ২২:২৯, ২০ জানুয়ারি ২০২১

নতুন ঘর পেয়ে ইউএনওকে ফোন ‘আম্মা আমি রাহেলা’

নতুন ঘর পেয়ে ইউএনওকে ফোন ‘আম্মা আমি রাহেলা’

প্রেস নারায়ণগঞ্জ: নারায়ণগঞ্জের বন্দর উপজেলায় রাহেলা নামের এক পিঠা বিক্রেতা নারী পাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রীর ভূমিহীন-গৃহহীন প্রকল্পের ঘর৷ খুশি হয়ে কৃতজ্ঞতাস্বরূপ বন্দর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শুক্লা সরকার ও সহকারী কমিশনার (ভূমি) আসমা সুলতানা নাসরিনকে নিজের হাতে বানানো পিঠা খাওয়ানোর নিমন্ত্রণ জানান৷ রাহেলা বেগম নামে গৃহ ও ভূমিহীন ওই নারীর নিমন্ত্রণ গ্রহণ করেন ইউএনও এবং এসিল্যান্ড উভয়৷ বুধবার (২০ জানুয়ারি) সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে উপজেলা প্রশাসনের একাউন্ট থেকে এ সংক্রান্ত একটি স্ট্যাটাসও দিয়েছেন ইউএনও শুক্লা সরকার৷

স্ট্যাটাসে তিনি লেখেন, দুপুর দুইটার দিকে ইউপি সচিবের নম্বর থেকে ফোন৷ হ্যালো বলতেই ওই প্রান্তে, ‘আম্মা আমি রাহেলা ওই যে আমারে ঘর দিছেননি, আমি সেই রাহেলা৷ ১১ নম্বর ঘরটা আমার। আম্মা আপনার জন্য পিঠা বানাই আনছি নতুন বাড়িতে৷ আপনি ছোট আম্মারে (এসি ল্যান্ড) নিয়া আইবেন কখন?’ এক নিঃশ্বাসে কথাগুলো বললেন৷ বললাম, আমি আসতেছি আপনার ছোট আম্মারে নিয়া।

ইউএনও স্ট্যাটাসে উল্লেখ করেন, ‘আমার পাশের জন রাহেলা বেগম। বয়স দেখে আন্দাজ করা যায়। স্বামী মারা গেছে অনেক বছর৷ দুই মেয়ে বিয়ে হয়েছে৷ তাদের নিজেদেরই চলে না৷ রাহেলা বেগম পিঠা বিক্রি করেন৷ একটা ছাপড়া ঘরে ভাড়া থাকেন। যে নির্মাণাধীন ঘরের বারান্দায় আমরা বসে পিঠা খাচ্ছি এটা রাহেলাকে দেয়া মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর উপহার৷ ১১ নম্বর বাড়ি! এখনও কাজ শেষ হয়নি৷ কিন্তু কত মায়া রাহেলা বেগমের! এসিল্যান্ডের পাশে বসা রেনু৷ তারও রাহেলা বেগমের মত অবস্থা কিন্তু তারা এখন দুই শতাংশ জমি এবং একটি ছোট্ট বাড়ির মালিক!’

শুক্লা সরকাল লেখেন, ‘প্রতিদিন সারাদেশের বিভিন্ন উপজেলায় কর্মরত ইউএনওদের ওয়ালে দেখি রঙ্গিন সব ঘর৷ সব ঘরের রঙ্গিন সব স্বপ্ন৷ স্বপ্ন সত্যি হবার গল্প৷ অন্য উপজেলার তুলনায় আমার উপজেলায় ঘরের সংখ্যা কম ৩৫টি৷ কিন্তু ৩৫ জন মানুষের ভালবাসা সব ছাপিয়ে দিয়েছে। অনুভব করি আমার সহকর্মীরা এর মধ্য দিয়ে কত মানুষের দোয়া নিয়ে যাচ্ছে৷ মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর জন্য এই মানুষগুলো প্রাণ ভরে দোয়া করে। এই ভূমি/গৃহহীন মানুষগুলো যখন তাদের স্বপ্নের দেয়াল ছুঁয়ে দেখে, নতুন আনা লাল/সবুজ টিনগুলো ছুঁয়ে দেখে ওদের চোখে সুখ ছিটকে পড়ে। মনের ভিতরের খুশি তারা চেপে রাখতে পারে না, বলে ফেলে!’

প্রধানমন্ত্রীর প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়ে ওই স্ট্যাটাসে বলা হয়, ‘আমি, আমরা কৃতজ্ঞ মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর প্রতি৷ এই দোয়া পাওয়ার বিশাল সুযোগে তিনি আমাদের যুক্ত করেছেন৷ দিনশেষে রাহেলা বেগম আর রেনু খাতুনের মত মানুষের আমাদের জন্য নিজ হাতে পিঠা বানিয়ে খাওয়ানোর এই ভালবাসা শুধু ভালবাসা না আমাদের সবচেয়ে বড় পুরষ্কার!’

প্রেস নারায়ণগঞ্জ.কম

সর্বশেষ

জনপ্রিয়