২৯ মার্চ ২০২৪

প্রকাশিত: ১৮:৩৩, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২০

নারায়ণগঞ্জ জেলা পরিষদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন দপ্তরে স্মারকলিপি

নারায়ণগঞ্জ জেলা পরিষদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন দপ্তরে স্মারকলিপি

প্রেস নারায়ণগঞ্জ: নারায়ণগঞ্জ শহরের মাসদাইর এলাকায় লীজকৃত জমি থেকে উচ্ছেদ ও একই জমিতে অবৈধভাবে পুনরায় লীজ দেওয়ার প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল ও মানববন্ধনের পর এবার সড়ক ও জনপথ বিভাগসহ বিভিন্ন দপ্তরে স্মারকলিপি দিয়েছেন এলাকাবাসী। চিঠিটি সড়ক ও সেতুমন্ত্রী, স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়, সড়ক ও সেতু বিভাগ, স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় সচিবালয়, নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন, চেয়ারম্যান জেলা পরিষদ, সড়ক ও জনপদ অধিদপ্তর, সওজের প্রধান প্রকৌশলী, জেলা প্রশাসক, জেলা পুলিশ সুপার, সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর অনুলিপি দেয়া হয়।

এতে উল্লেখ করা হয়, উপযুক্ত বিষয়ে় জনস্বার্থে যথাযথ সম্মানপূর্বক সবিনয় নিবেদন এই যে, এলএ কেইস নং ৫/১৯৩৩ ৩৪ জেলা প্রশাসক কর্তৃক অধিগ্রহনকৃত সরকারী সম্পত্তি ঢাকা -নারায়ণগঞ্জ ইনার রোড প্রস্তুতের জন্য ঢাকা জেলা পরিষদ ভূমি অধিগ্রহণ করে। ১৯৫২ইং সালে ঢাকা জেলা পরিষদ ওয়ার্কস ডিপার্টমেন্ট (সিএন্ডবি) হালে সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরের বরাবরে অধিকৃত সম্পত্তি হস্তান্তর করে। পরবর্তীতে এই সম্পত্তি বিতানে নিরোধ সৃষ্টি হইলে ১৯৫২ সালের হাইওয়ে- ১ এর ২ নং রা মতে পরিকল্পনা বিভাগের ভৌত অবকাঠামো অধিদপ্তর সড়কের পাশে অধিগ্রহণকৃত গজল অব্যবহৃত সম্পত্তি সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরকে বুঝাইয়া দেন এবং তাহা সড়ক ও জনপথ প্রাপ্ত হইবে বলিয়া সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়। তাহার ফলশ্রুতিতে সড়কের পার্শ্বস্থ্য সকল ভূমি ব্যবহার ও রক্ষণাবেক্ষনের মল দায় দায়িত্ব সড়ক ও জনপথ বিভাগ প্রাপ্ত হন। বর্তমানে পদ্মা বহুমুখী সেতু প্রকল্পের অধীনে নারায়নগঞ্জ জেলাকে হাইওয়ে় সড়কের সহিত সংযোগের জন্য ৪ লেনে উন্নীত করে সড়কের দুই পাশে ওয়াকওয়ে় নির্মান করার লক্ষ্যে সড়ক ও জনপথ একটি প্রকল্প গ্রহণ করে। যাহা পরিকল্পনা মন্ত্রানালয় থেকে অনুমোদিত হয়ে সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরে অবকাঠামো উন্নয়ন খাতে দরপত্র গ্রহণের জন্য প্রস্তুত রহিয়াছে। এমতাবস্থায়, নারায়নগঞ্জ জেলা পরিষদ সড়ক ও জনপথের অধিমহণকৃত ভূমি যাহা সরকারী তোলারাম কলেজ এর পার্শ্ব হইতে পুলিশ লাইন পর্যন্ত সড়কের দক্ষিনাংশে ভৌত অবকাঠামো নির্মাণ করে বিভিন্ন ব্যক্তিবর্গের নিকট ইজারা প্রদান করিতেছে। আপনার দপ্তরের স্মারক নং: ৩৯২৪/১৫৯, তাং: ১৬/১০/২০১৯ইং ঢাকা ইনার রোড চার লেনে উন্নীত করা হইবে বিধায় সড়কের পার্শ্বস্থ ভূমিতে কোনরকম স্থায়ী বা অস্থায়ী স্থাপনা না করিতে জেলা পরিষদ, নারায়নগঞ্জকে এই পত্রের মাধ্যমে অবহিত করিয়াছিল। এমতাবস্থায় ভূমিটি চার লেনে উন্নীত করিতে গেলে পরবর্তীতে অবৈধ ইজারাদারদের উচ্ছেদ করিতে সরকারের সমস্যার সৃষ্টি হইবে। এলাকার জনসাধারণ অত্র এলাকাগুলিতে অবাধে চলাফেরা করিয়া আসিতেছে অবকাঠামো নির্মাণ হইলে স্থানীয় জনসাধারণ এর চলাচলের পথ সংকুচিত হইয়া যাইবে এবং ইহা একটি ব্যস্ততম সড়ক যে কোন সময় দুর্ঘটনা ঘটে যাবে প্রাণহানী।

অতএব, বর্ণিত সহানুভূতির সহিত বিবেচনা এলাকার বৃহত্তর স্বার্থে আপনার কর্মকর্তাদের দিয়ে় সরজমিনে তদন্ত করে অনতি এ অবৈধ দখলকারীদের হাত থেকে সড়ক জনপদের ভূমি ব্যবহারের জন্য করে দেওয়ার জন্য আপনার নিকট বিনীত অনুরোধ রইলো।

উল্লেখ্য, ১৭ সেপ্টেম্বর সকাল ১০টায় মাসদাইর কবরস্থান এলাকায় নারায়ণগঞ্জ জেলা পরিষদের নবনির্মিত যাত্রী ছাউনির সামনে লীজকৃত জমি থেকে উচ্ছেদ ও একই জমিতে অবৈধভাবে পুনরায় লীজ দেওয়ার প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল ও মানববন্ধন করেছেন দোকানদার ও কর্মজীবীরা।

মানববন্ধনে উপস্থিত ছিলেন, জেলা পরিষদ থেকে লীজদারী আসলাম মন্ডল, নাসির মাইজভান্ডারী, উহিদ ফকির, সিরাজুল ইসলাম, মনির হোসেন (২), আলী প্রধান, মনির হোসেন মনু, তোফাজ্জল মিয়া, সালাউদ্দিন, রাজ্জাক মিয়া, কাশেম মিয়া, আশরাফ, মেহেদী হাসান, মোঃ জাহাঙ্গীর, জাকির হোসেন, সৈয়দুল ইসলাম, শাহজাহান মাইজভান্ডারী, রাজা মন্ডল, রমজান সহ প্রায় ২ শতাধিক কর্মজীবী শ্রমিকরা।

মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, জেলা পরিষদের যাত্রী ছাউনী নামে এখানে অনেক দোকান (লীজকৃত জমি) উচ্ছেদ চালায় চেয়ারম্যান আনোয়ার হোসেন। সওজ থেকে এই উচ্ছেদ করা হচ্ছে বলে অনেক ব্যবসায়ীরা প্রতিবাদ করেনি। কিন্তু পরে জানা গেছে, যাত্রী ছাউনী নামে এই উচ্ছেদ করা হয়েছে। ইতিমধ্যে বুধবার জেলা পরিষদের মার্কেট নামে আবারো উচ্ছেদের ঘোষনা দিয়ে চেয়ারম্যান, তার ভাতিজা ও ঠিকাদারের লোকজন। এভাবে সওজ জমি জেলা পরিষদ থেকে লীজ দিয়ে হঠাৎ উচ্ছেদ চালাবে, তা মেনে নিবো না। এখানে প্রায় ২০/২৫ প্রতিষ্ঠান রয়েছে, সে সাথে প্রায় ৫ হাজার পরিবার এর সাথে পেট চলে। আমরা তো লীজের টাকা দেই, ২০১৫ সালে সওজ থেকে একটি রিটের কারণে জেলা পরিষদ থেকে নবায়ন করা যাচ্ছে না। চেয়ারম্যান আনোয়ার হোসেন সাথে আমরা ব্যবসায়ীরা সাক্ষাৎ করে ছিলাম, তিনি আমাদের সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করেছে- অবৈধ জায়গা বলে আমাদের চলে যেতে বলেছে। চেয়ারম্যান আবার কিভাবে এই অবৈধ জমিতে মার্কেট নির্মাণ করে দোকান বরাদ্ধ নামে ৫/১০ লাখ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে চেয়ারম্যান লোকজনেরা। ঠিকাদার ও তার লোকজন ইতিমধ্যে মার্কেটের অর্ধেক দোকান বরাদ্ধ হয়েছে বলে প্রচার চালিয়ে যাচ্ছে।

প্রেস নারায়ণগঞ্জ.কম

সর্বশেষ

জনপ্রিয়