নারায়ণগঞ্জেও ভাঙা হলো আগ্রাসন বিরোধী আট স্তম্ভ
প্রেস নারায়ণগঞ্জ: নারায়ণগঞ্জে ভেঙে ফেলা হয়েছে বুয়েট শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদ স্মৃতি স্মরণে নির্মিত ‘আগ্রাসন বিরোধী আট স্তম্ভ’। গত বুধবার সন্ধ্যার দিকে থার্মোকল (ককশিট) ও স্কচটেপ দিয়ে নির্মিত স্তম্ভটি ভেঙে ফেলা হয়েছে। এর আগে ১০ অক্টোবর ভোরে চাষাঢ়ায় কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের পশ্চিম পাশে এই স্তম্ভ নির্মাণ করেন আবরার ফাহাদ স্মৃতি সংসদের সদস্যরা।
বৃহস্পতিবার বিকেলে সরেজমিনে দেখা যায়, শহীদ মিনারের পশ্চিম পাশে থার্মোকল (ককশিট) ও স্কচটেপ দিয়ে নির্মিত আগ্রাসনবিরোধী আট স্তম্ভের একটিও নেই। তবে বাঁশের কিছু অংশ সেখানে পড়ে আছে। পড়ে আছে আবরার ফাহাদ স্মরণে অর্পিত কয়েকটি গাঁদা ফুল। অদূরে শহীদ মিনারের বাইরে ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে ককশিটের কিছু অংশ।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক চাষাঢ়া শহীদ মিনারে ফুচকা-চটপটি বিক্রি করা এক ব্যক্তি জানান, সন্ধ্যার দিকে ৩/৪ জন ছেলেকে এগুলো ভেঙে ফেলতে দেখেন তিনি। তবে তাদের চেনেন না তিনি। পরে ভাঙা ককশিটগুলো নিয়ে শহীদ মিনারে থাকা পথশিশুদের খেলতে দেখেন।
এ বিষয়ে শহীদ মিনারের একাধিক পথশিশুর সাথে কথা হয়। তারা জানায়, কারা ভাঙছে সেটা তারা জানেন না। তবে ভাঙা ককশিট নিয়ে তারা খেলেছেন। ইয়াছিন নামে এক পথশিশু বলেন, ‘এইটা কারা ভাঙছে আমি দেহি নাই। আমাগো লগের গুলায় ফোম (ককশিট) দিয়া খেলছে। আমিও ওগো লগে খেলছি।’
শহীদ মিনারে দায়িত্বরত পুলিশ সদস্যরা জানান, নির্দিষ্ট সময় পরপর তাদের ডিউটি পরিবর্তন হয়। এ বিষয়ে কিছু জানেন না তারা।
সাধারণ ছাত্র অধিকার পরিষদের নেতা ও আবরার ফাহাদ স্মৃতি সংসদ নারায়ণগঞ্জ জেলা শাখার সদস্য রাহাত খান বলেন, ‘বুয়েট শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদ আগ্রাসনের বিরুদ্ধে সোচ্চার ছিলেন। তাকে নির্মমভাবে নির্যাতন করে হত্যা করেছিল ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। আবরারের স্মৃতি স্মরণে আমরা স্তম্ভটি নির্মাণ করেছিলাম। এটা কারা ভাঙছে এবং ভাঙার সুনির্দিষ্ট কারণ কাদের আছে সেটা সকলেই জানেন। তবে আমরা এতে দমে যাবো না। তারা যতবারই এটা ভাঙবে ততবারই আমরা এটি নির্মাণ করবো।’
প্রেস নারায়ণগঞ্জ.কম