২৯ মার্চ ২০২৪

প্রকাশিত: ২১:১৭, ৪ এপ্রিল ২০২২

আপডেট: ২১:১৭, ৪ এপ্রিল ২০২২

নারায়ণগঞ্জ হাইস্কুলে শিক্ষার্থীদের প্রহারের অভিযোগ

নারায়ণগঞ্জ হাইস্কুলে শিক্ষার্থীদের প্রহারের অভিযোগ

প্রেস নারায়ণগঞ্জ: নারায়ণগঞ্জ হাইস্কুলে কোচিং না করায় তিন শিক্ষকের বিরুদ্ধে শিক্ষার্থীদের প্রহারের অভিযোগ উঠেছে। এ নিয়ে সাধারণ শিক্ষক, অভিভাবক ও শিক্ষার্থীদের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। অভিযুক্ত শিক্ষক সুমন সাহা, নরেন শিকদার ও এস এম মামুনের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ারও দাবি তুলেছেন তারা।

ষষ্ঠ শ্রেণীর এক শিক্ষার্থীর অভিভাবক নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান, নরেন শিকদারের ব্যাচে তার সন্তান কোচিং না করায় সে ক্লাসের মধ্যে ব্যাপক প্রহার করে। এ ব্যাপারে আমি কমিটির সদস্যদের জানানোর পর তার বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা গ্রহণ করেনি।

আরেক অভিভাবক জানান, আমার ছেলে এবার এসএসসি পরীক্ষা দিবে। মামুন স্যার তাকে ক্লাসে চর মারার পর গভর্নিং বডির সদস্য দেলোয়ারা বেগম মায়াকে জানালে তিনি সভাপতির মাধ্যমে অভিযুক্ত শিক্ষককে সাত দিনের জন্য সাময়িক বরখাস্ত করান।

এদিকে শিক্ষার্থীর অভিভাবক সাজেদা বেগম অভিযোগ করেন, দশম শ্রেণীর ইংরেজির শিক্ষক সুমন সাহার ব্যাচে আমার মেয়ে না পড়ার কারণে শনিবার দুপুরে অন্য শিক্ষার্থীদের সামনে ক্লাসরুমের বারান্দায় চর-থাপ্পর মারেন। খবর পেয়ে আমি স্কুলে উপস্থিত হয়ে প্রধান শিক্ষককে বিষয়টি অবহিত করার পরও ওই শিক্ষকের ব্যাপারে কোন ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়নি।

এই অভিভাবক বলেন, আমার মেয়ের কোন ক্ষতি হলে তার দায়-দায়িত্ব স্কুল কর্তৃপক্ষকে বহন করতে হবে।

এ ব্যাপারে স্কুলের গভর্নিং বডির সদস্য সরকার আলম বলেন, আমি নির্যাতনের ঘটনাগুলো জানান পর সভাপতি রবিবার দুপুরে গভর্নিং বডির সভাপতি চন্দন শীলের সাথে কথা বলেছি। তিনি তাৎক্ষনিকভাবে দুই শিক্ষককে একমাসের জন্য সাময়িক বরখাস্ত এবং প্রত্যেককে ১০ হাজার টাকা জরিমানার কথা বললেও এ ব্যাপারে প্রধান শিক্ষককে কোন নির্দেশনা না দিয়ে স্কুল থেকে চলে যান। প্রত্যেক শিক্ষার্থীর নিরাপত্তা দেয়ার দায়িত্ব আমাদের। কিন্তু কিছু উচ্ছৃঙ্খল শিক্ষকের আচরণে আমরা অতিষ্ঠ হয়ে গেছি।

গভর্নিং বডির অভিভাবক প্রতিনিধি ওয়াহিদ সাদত বাবু বলেন, সরকারের নিয়ম হচ্ছে কোন শিক্ষার্থীকে প্রহার করা যাবে না। কিন্তু নারায়ণগঞ্জ হাই স্কুলে সেটা মানা হচ্ছে না। শিক্ষকরা ব্যাচ পড়ানো জন্য শিক্ষার্থীদের সাথে উচ্ছৃঙ্খল আচরণ করছে। অভিভাবক প্রতিনিধি হিসেবে আমরা ক্ষুব্দ। আমরা অবশ্যই এর বিচার চাই।

প্রধান শিক্ষক মাহমুদুল হাসান ভূঁইয়া জানান, আমি বিষয়টি অবহিত হয়েছি। একজন শিক্ষক এস এম মামুনকে সাতদিনের জন্য সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। অন্যদের বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করা হচ্ছে।

গভর্নিং বডির সভাপতি চন্দন শীল জানান, আমরা বিষয়টি জেনেছি। সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

এ ব্যাপারে জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা শরিফুল ইসলাম জানান, সরকারের আইন অনুযায়ী কোন শিক্ষার্থীকে প্রহার করা যাবে না। এ ব্যাপারে আমরা আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।

প্রেস নারায়ণগঞ্জ.কম

সর্বশেষ

জনপ্রিয়