২৯ মার্চ ২০২৪

প্রকাশিত: ১৯:১০, ৬ মে ২০২১

নারায়ণগঞ্জে বীর মুক্তিযোদ্ধা নাসির উদ্দিনের স্মরণসভা

নারায়ণগঞ্জে বীর মুক্তিযোদ্ধা নাসির উদ্দিনের স্মরণসভা

প্রেস নারায়ণগঞ্জ: বৃহস্পতিবার (৬ মে) বীর মুক্তিযোদ্ধা নাসির উদ্দিনের স্মরণসভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। নারায়ণগঞ্জ প্রেস ক্লাব ভবনের ষষ্ঠ তলায় অনুষ্ঠিত এ সভায় নাসির উদ্দিনের সহযোদ্ধা, বন্ধু ও স্বজনরা উপস্থিত ছিলেন। স্মৃতিচারণ করে তারা বলেন, নাসির উদ্দিন সহজ-সরল ও আন্তরিক লোক ছিলেন। তিনি নিজেই এক ইতিহাস। মুক্তিযোদ্ধাদের স্বপ্ন বাস্তবায়নে সকলকে কাজ করতে হবে। নাসির উদ্দিনের আত্মার মাগফেরাত কামনা করে তারা।

এ সময় জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদ কমান্ডের ডেপুটি কমান্ডার নুরুল হুদার সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন নারায়ণগঞ্জ প্রেস ক্লাবের সাবেক সভাপতি মাহবুবুর রহমান মাসুম।

আরও উপস্থিত ছিলেন, নারায়ণগঞ্জ প্রেসক্লাবের সভাপতি খন্দকার শাহ্ আলম, দৈনিক সংবাদের চীফ রিপোর্টার সালাম জুবায়ের, বাংলাদেশ হোসিয়ারী সমিতির সহ-সভাপতি সাঈদ আহমেদ স্বপন, মুক্তিযোদ্ধা সংসদের নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলা কমান্ডার শাজাহান ভূইয়া জুলহাস, মরহুমের ছোটবেলার বন্ধু মোশারফ হোসেন মাখন, খেলাঘরের সাবেক কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক জহিরুল ইসলাম জহির, নাসির উদ্দিনের ছেলে নারায়ণগঞ্জ প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক শরীফ উদ্দিন সবুজ, সাবেক সংসদ সদস্য আফজাল হোসেনের ছেলে তারেক আফজাল, মুক্তিযোদ্ধা মহিউদ্দিন আহমেদ রতন, মুক্তিযোদ্ধা হামিদুর রহমান বাঙ্গালী, মুক্তিযোদ্ধা সংসদ সন্তান কমান্ডের জেলা শাখার সদস্য সচিব ইঞ্জিনিয়ার রাজিব, সন্তান কমান্ডের বন্দর শাখার আহ্বায়ক শেখ কামাল, বাংলাদেশ মানবাধিকার কমিশনের বন্দর উপজেলার সভাপতি নাজমা বেগম, সাজিম আহমেদ প্রমুখ। জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদ সন্তান কমান্ড স্মরণসভার আয়োজন করে।

মাহবুবুর রহমান মাসুম বলেন, মুক্তিযোদ্ধাদের অবদান ভুলে গেলে চলবে না। অনেকে মূল্যায়ন পান না। এই চর্চা দূর করতে হবে। অনেক মুক্তিযোদ্ধা মানবেতর জীবনযাপন করছেন। জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তানদের মূল্যায়ন করতে না পারা জাতির ব্যর্থতা। মুক্তিযুদ্ধ ও মুক্তিযোদ্ধাদের কথা নতুন প্রজন্মকে জানাতে হবে।

যুদ্ধকালীন সময়ে নাসির উদ্দিনের সহযোদ্ধা ছিলেন বীর মুক্তিযোদ্ধা হামিদুর রহমান বাঙালি। তিনি স্মৃতিচারণ করে বলেন, ‘একসাথে স্কুলে লেখাপড়া করেছি। আবার একসাথে যুদ্ধও করেছি। তার আজকে স্মরণসভা। স্বাধীন পতাকার জন্য ভারতে পালিয়ে গিয়েছিলাম প্রশিক্ষণ নেওয়ার জন্য। হানাদার বাহিনীকে বিতাড়িত করে এদেশকে মুক্ত করেছিলাম। নাসির উদ্দিন স্পষ্টভাষী লোক ছিলেন। তাকে সবসময় সাহসী দেখেছি, অন্যায়ের প্রতিবাদ করতেন। তার প্রতিভা, দক্ষতা ও ন্যায়নীতি আমাদের চিরকাল মনে থাকবে।’

সভাপতির বক্তব্যে বীর মুক্তিযোদ্ধা অ্যাড. নুরুল হুদা বলেন, ‘সাচ্চা সৈনিক হিসেবে মুক্তিযুদ্ধ করেছিলেন নাসির উদ্দিন। তিনি অত্যন্ত সদালাপী ছিলেন। তিনি কেবল যুদ্ধই করেন নাই, বাঙালি মুক্তির যে প্রয়াস বঙ্গবন্ধুর ছিল সেই প্রয়াসের সাথেও যুক্ত ছিলেন। মুক্তিযুদ্ধের নাম করে অনেকেই অনেক কিছু করেছেন। কিন্তু নাসির উদ্দিন সেই কাজ কখনই করেননি। তিনি কেবল দেশকে ভালোবেসেছিলেন।’

প্রেস নারায়ণগঞ্জ.কম

সর্বশেষ

জনপ্রিয়