২০ এপ্রিল ২০২৪

প্রকাশিত: ২১:৩২, ৭ মার্চ ২০২১

নারী বলে থেমে থাকা যাবে না

নারী বলে থেমে থাকা যাবে না

প্রেস নারায়ণগঞ্জ: নারীর জীবন মানেই সংগ্রাম। নিজের সঙ্গে, পরিবারের সঙ্গে, সমাজের সঙ্গে। জীবনের এই অনব্রত সংগ্রামে জয়ী অনেকেই অন্যদের জন্য দৃষ্টান্ত হয়ে উঠেন। যিনি অনুপ্রেরণা জোগান তার মত হাজারো নারীর সফলতার। এমনই একজন নারায়ণগঞ্জের বন্দর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শুক্লা সরকার। সরকারি বিভিন্ন দপ্তরে কর্মরত নারীদের জন্যও তিনি এক অনন্য দৃষ্টান্ত। শুক্লা সরকার নিজে যেমন সফল, তেমনি অন্যান্য নারীদের সফলতায়ও ভূমিকা রাখছেন। বন্দর উপজেলা প্রশাসনে নারী বান্ধব ও বন্ধুত্বপূর্ণ পরিবেশ তৈরির জন্যও প্রসংশিত হয়েছেন তিনি।

অষ্টম শ্রেণিতে থাকা অবস্থায় ১৯৯৮ সালে পিতা জাফর ওয়াজেদুল সরকারকে হারান শুক্লা সরকার। বাবার মৃত্যুর পর পরিবারের সদস্য বলতে ছিল মা মাকসুদা সরকার ও চতুর্থ শ্রেণির ছাত্রী ছোট বোন ওয়াজিদা। খেলাধুলার সেই বয়সে কাঁধে নিয়েছেন নিজের পড়াশোনার দায়িত্ব। টিউশনি করে নিজের নিজের সকল খরচ বহন করেছেন। কিছু সময় পর পরিবারেরও হাল ধরেন তিনি। ২০০৮ সালে নিজ জেলা রংপুরের একটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক হিসেবে যোগ দেন শুক্লা সরকার। এরপর লালমনিরহাট সরকারি বালিকা উচ্চবিদ্যালয়েও শিক্ষকতা করেন তিনি। ২০১২ সালে ৩০তম বিসিএস ক্যাডার হয়ে ঝিনাইদহে সহকারী কমিশনারের পদ লাভ করেন। বর্তমানে স্বামী, কন্যা নিয়ে নারায়ণগঞ্জ বন্দর উপজেলায় সফলতার সঙ্গে ইউএনও এর দায়িত্ব পালন করছেন। শুক্লা সরকার তার এই জীবন সংগ্রামকে ইতিবাচকভাবেই দেখেন। তার মতে, তার সংগ্রাম, অধ্যাবসায় তাকে আজ এই সফলতা এনে দিয়েছে।

শুক্লা সরকার বলেন, ‘থেমে থাকা যাবে না। নারী জীবন মানেই কাউকে অবলম্বন করে বাঁচতে হবে বিষয়টা এমন না। কেউ কারো জন্য থেমে থাকে না। তাই নারীদেরকেও এগিয়ে যেতে হবে, উঠে দাঁড়াতে হবে। অবলম্বন হতে হবে আমি নিজে। আমি নিজের জন্য বাঁচবো, নিজেকে দেখবো। সমাজের অনেকেই অনেক কথা বলবে। তারা কখনো উঠে দাঁড়াতে পারেনি বলে চায় না আমিও উঠে দাঁড়াই। তাই তাদের কথায় কান দিলে চলবে না।’
আন্তর্জাতিক নারী দিবসে কর্মক্ষেত্রে নারীদের জন্য অনুপ্রেরণা ও সাহস হয়ে ওঠা শুক্লা সরকারের প্রতি জানাই শুভেচ্ছা।

প্রেস নারায়ণগঞ্জ.কম

সর্বশেষ

জনপ্রিয়