১৯ এপ্রিল ২০২৪

প্রকাশিত: ১৭:৪৭, ২২ অক্টোবর ২০২০

আপডেট: ১৬:৫০, ২৩ অক্টোবর ২০২০

পরিবহন চালককে সম্মান দিতে হবে: নিরাপদ সড়ক দিবসে ডিসি

পরিবহন চালককে সম্মান দিতে হবে: নিরাপদ সড়ক দিবসে ডিসি

প্রেস নারায়ণগঞ্জ: নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসক জসিম উদ্দিন বলেন, প্রতিবছরের মত এবারও নারায়ণগঞ্জে অনেক মানুষ সড়ক দূর্ঘটনায় প্রাণ হারিয়েছেন। এবং নারায়ণগেঞ্জর বাইরেও অনেক মানুষ মারা গিয়েছে যারা এই জেলারই বাসিন্দা। সড়ক দূর্ঘটনা রোধে সবার মধ্যে সচেতনতা থাকা দরকার। শুধু চালকরা সচেতন হলেই হবে না। আমাদের সকলেরই সচেতন হতে হবে, একা কোন কিছুই সম্ভব নয়।

বৃহস্পতিবার (২২ অক্টোবর) জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে জেলা প্রশাসন ও নারায়ণগঞ্জ বিআরটিএ’র আয়োজনে জাতীয় নিরাপদ সড়ক দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভায় তিনি এই কথা বলেন।

তিনি বলেন, আমরা প্রতিনিয়তই দূঘটনা রোধে জনসাধারণের মাঝে সচেতনতা বৃদ্ধিতে বিভিন্ন কর্মসূচির আয়োজন করছি। চালকদেরকে প্রতি ২ মাস অন্তর অন্তর রিফ্রেশিং ট্রেনিং অবশ্যই দিতে হবে। এটি বাধ্যতামূলক। একজনকে পরিবহন চালককে কখনও উত্যক্ত করা যাবে না। তিনি নি¤œবিত্ত বা মধ্যবিত্ত যে পরিবার থেকেই আসুক না কেন তাকে সবসময় তার প্রাপ্য সম্মানটুকু দিতে হবে।

সভায় অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট খাদিজা তাহেরা ববির সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ) মোস্তাফিজুর রহমান। আরো উপস্থিত ছিলেন, নারায়ণগঞ্জ চেম্বার অব কমার্সের সভাপতি খালেদ হায়দার খান কাজল, নারায়ণগঞ্জ সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী জহিরুল ইসলাম, নারায়ণগঞ্জ বিআরটিএ এর সহকারী পরিচালক (ইঞ্জি) সৈয়দ আইনুল হুদা চৌধুরী, জেলা সড়ক পরিবহন শ্রমিক কমিটির সভাপতি মো. শামসুজ্জামান, নিরাপদ সড়ক চাই (নিসচা) নারায়ণগঞ্জ জেলা সভাপতি ডা. আল ওয়াজেদুর রহমান, জেলা ট্রাক ট্যাংক-লরী শ্রমিক ইউনিয়নের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার হোসেন প্রমুখ।

সভায় বিভিন্ন সংগঠনের নেতৃবৃন্দ সড়ক পরিবহনে জেব্রা ক্রসিং সম্পর্কে চালকদের অসচেতনতা, সড়কের দুপাশে ট্রাফিক সাইন না থাকা, ট্রাফিক লাইট না থাকা, সড়কে পর্যাপ্ত স্পিডব্রেকার না থাকা ইত্যাদি সমস্যাসমূহ ও এর সমাধান নিয়ে বক্তব্য রাখেন।

এর আগে সভার শুরুতে স্বাগত বক্তব্যে আইনুল হুদা চৌধুরী নারায়ণগঞ্জে একটি ড্রাইভিং সেন্টার তৈরির দাবি জানিয়ে বলেন, আমাদের এখানে সরকারীভাবে কোন ড্রাইভিং সেন্টার নাই। এই ট্রেনিং সেন্টার গড়ার জন্য দেশের ১৭টি জেলায় জমি অধিগ্রহণের কাজ চলছে। এর মধ্যে ১১টি জেলায় জমি অধিগ্রহণ ইতিমধ্যে হয়ে গেছে। নারায়ণগঞ্জে এরকম একটি ড্রাইভিং সেন্টার প্রয়োজন যাতে করে চালকরা ভালোভাবে প্রশিক্ষণ পেতে পারে।

প্রেস নারায়ণগঞ্জ.কম

সর্বশেষ

জনপ্রিয়