ফতুল্লায় 'ভ্রূণ হত্যা' মামলার আসামি গ্রেফতার

প্রেস নারায়ণগঞ্জ: ফতুল্লায় চাঞ্চল্যকর `ভ্রূণ হত্যা` মামলার আসামিকে গ্রেফতার করেছে র‍্যাব। সোমবার ২০ মার্চ রাতে নারায়ণগঞ্জ জেলার ফতুল্লা থানার তল্লা এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারকৃত এজাহারনামীয় আসামি ইমান আলী ওরুফে আমিনুল (৫০) নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লার পশ্চিম তল্লা এলাকার মৃত আনিছুল হকের ছেলে।

এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে র‍্যাব ১১ এর মিডিয়া অফিসার সিনিয়র এএসপি নিশাত তাবাসসুম জানান, বাদী ফুলমতির স্বামী মনতাজ মিয়া পশ্চিম তল্লা জামাই বাজার এলাকায় কাচাঁ তরকারীর ব্যবসা করে। গত ৯ মার্চ গ্রেফতারকৃত আসামিসহ তার সহযোগীরা বাদীর স্বামী মনতাজ মিয়ার দোকানে পাওনা ৯৫০ টাকা আদায়ের জন্য হাজির হয়। মনতাজ মিয়া তাদেরকে ১০ মিনিট অপেক্ষা করতে বললে আসামিরা ক্ষীপ্ত হয়ে যায় এবং বাদী ফুলমতি ও তার স্বামীকে তাদের দোকানের সামনে হত্যার অভিপ্রায়ে মারধর করে মারাত্মক জখম করে। ঘটনার এক পর্যায়ে গ্রেফতারকৃত আসামি ও তার সহযোগীরা বাদীর স্বামীকে গলা চেপে হত্যার চেষ্টাকালে বাদী আসামিদের ঠেকানোর চেষ্টা করে। এতে গ্রেফতারকৃত আসামি ও তার সহযোগীরা আরোও ক্ষিপ্ত হয়ে হত্যার উদ্দেশ্যে ৭ মাসের অন্তঃসত্তা বাদীর পেটে সজোরে আঘাত করে। এতে বাদীর পেটে থাকা ৭ মাসের ভ্রূণ সন্তানটি মারা যায়। এই পাশবিক ও নৃশংস হত্যাকান্ডের ঘটনাটি বিভিন্ন পত্র পত্রিকায় প্রকাশিত হলে নারায়ণগঞ্জসহ সারাদেশে চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়।

র‍্যাব জানায়, উক্ত ঘটনায় ভিকটিম ফুলমতি বাদী হয়ে নারায়ণগঞ্জ জেলার ফতুল্লা থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। হত্যাকান্ডের পর হতে এজাহারনামীয় আসামিরা কৌশলে আত্মগোপন করে। এরই প্রেক্ষিতে র‍্যাব-১১ এর গোয়েন্দা দল ভ্রূণ হত্যা মামলার এজাহারভূক্ত পলাতক আসামিদের আইনের আওতায় নিয়ে আসার জন্য গোয়েন্দা অনুসন্ধান শুরু করে এবং ইমান আলী ওরুফে আমিনুলকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেফতারকৃত আসামী বর্ণিত হত্যাকান্ডের সাথে সংশ্লিষ্টতার কথা স্বীকার করে। গ্রেফতারকৃত আসামির বিরুদ্ধে পরবর্তী আইনানুগ কার্যক্রম গ্রহণের জন্য নারায়ণগঞ্জ জেলার ফতুল্লা থানায় উক্ত মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তার নিকট হস্তান্তর করা হয়েছে।