ফতুল্লায় গ্যাস বিস্ফোরণে নারী ও শিশুসহ দগ্ধ ১১

প্রেস নারায়ণগঞ্জ: নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লার পশ্চিম তল্লা এলাকায় গ্যাস বিস্ফোরণে ১১ জন দগ্ধ হয়েছেন। বৃহস্পতিবার ২৩ এপ্রিল ভোর ছয়টার দিকে স্থানীয় মডেল গার্মেন্টসের দক্ষিণ পাশে মফিজুল ইসলামের তিন তলা বাড়ির ৩য় তলার ভাড়াটের ফ্ল্যাট বাসায় এই গ্যাস বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। বিস্ফোরণে ঘরের দুইটি দেয়াল ধসে পড়েছে। বিস্ফোরণে কয়েকজন নারী ও এক শিশুসহ দুই পরিবারের ১১ জন দগ্ধ হয়েছেন।

দগ্ধদের মধ্যে ৫ জনকে চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থাপিত শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। বাকি ৬ জনকে সদর জেনারেল (ভিক্টোরিয়া) হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হয়।

দগ্ধরা হলেন- হাবিবুর রহমান (৫৬), তার স্ত্রী আলেয়া বেগম (৪২), তাদের ছেলে লিমন (২০), মেয়ে সাথী (২৫), মিম আক্তার (২২), তার দুই মাসের শিশুপুত্র ফাহাদ, নিরাহার (৫৫), তার স্ত্রী শান্তা বেগম (৪০), তাদের ছেলে সামিউল (২৬), তার স্ত্রী মনোয়ারা আক্তার (১৬)।

স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, মফিজুল ইসলামের বাড়ির তৃতীয় তলায় পোশাক কারখানায় কাজ করা ২টি পরিবার বাস করেন। রাতে চুলায় গ্যাসের চাপ না থাকায় একটি পরিবারের লোকজন চুলার বার্ণার বন্ধ না করেই ঘুমিয়ে পড়েন। এতে চুলা থেকে গ্যাস বের হয়ে রান্নাঘরসহ অন্যান্য ঘরে ছড়িয়ে জমাট বেঁধে থাকে। ভোরে রান্নার জন্য চুলায় আগুন জ্বালালে এই বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। এতে বিকট শব্দ হয়ে ঘরে আগুন ধরে যায় এবং কক্ষের দরজাসহ দুইটি দেয়াল ধসে পড়ে। বিকট শব্দ পেয়ে আশপাশের লোকজন এসে তাঁদের উদ্ধার করেন। পরে চিকিৎসার জন্য ৫ জনকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে ও ৬ জনকে ভিক্টোরিয়া হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।

নারায়ণগঞ্জ ফায়ার সার্ভিস এন্ড সিভিল ডিফেন্সের উপ সহকারী পরিচালক আবদুল্লাহ আল আরেফিন জানান, রাতে গ্যাসের চুলার বার্ণার বন্ধ না করায় চুলা থেকে গ্যাস বের হয়ে রান্নাঘরসহ অন্যান্য ঘরে ছড়িয়ে জমাট বেঁধে থাকে। ভোরে রান্নার জন্য চূলায় আগুন জ্বালালে গ্যাসের পাইপ লাইনের বিস্ফোরণ ঘটে। এসময় তিন মাস বয়সের একটি শিশুসহ ছয়জন নারী ও চারজন পুরুষ আগুনে দগ্ধ হন। তাদের মধ্যে শিশুটিসহ পাঁচজনকে গুরুতর অবস্থায় ঢাকা মেডিকেলে পাঠানো হয় এবং ছয়জনকে সদরের জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে চিকিৎসা দেয়া হয়।