২৫ এপ্রিল ২০২৪

প্রকাশিত: ১৭:৫৩, ১০ অক্টোবর ২০২০

আপডেট: ২০:৩৪, ১০ অক্টোবর ২০২০

ফতুল্লায় নাঈম হত্যায় কিশোর গ্যাংয়ের ৬ জনের বিরুদ্ধে মামলা

ফতুল্লায় নাঈম হত্যায় কিশোর গ্যাংয়ের ৬ জনের বিরুদ্ধে মামলা
নিহত শাকিল হোসেন নাঈম

প্রেস নারায়ণগঞ্জ: নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলার ফতুল্লার ইসদাইরে ছুরিকাঘাতে শাকিল হোসেন নাঈম (১৬) নামে এক কিশোরকে হত্যার ঘটনায় কিশোর গ্যাংয়ের ৬ জনের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে। শনিবার (১০ অক্টোবর) বিকেলে ফতুল্লা থানার পরিদর্শক (তদন্ত) শফিকুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চত করেন।

তিনি জানান, নিহতের মা নাজমা বেগম বাদী হয়ে হত্যা মামলা দায়ের করেছেন। মামলায় হৃদয়, হাবিব, শাহীন, আলামিন, সাঈদ ও সালাম নামে ৬ জনকে আসামি করা হয়েছে। এই মামলার প্রধান আসামি হৃদয় ও হাবিবকে শুক্রবার রাতে ঘটনার সময়ই আটক করা হয়। পরে তাদের এই মামলায় গ্রেফতার দেখিয়েছে পুলিশ।

স্থানীয় এলাকাবাসী, প্রত্যক্ষদর্শী ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, শুক্রবার রাত ৯টায় ফতুল্লার পূর্ব ইসদাইর বুড়ির দোকান নামে পরিচিত এলাকায় দুই কিশোর দলের মধ্যে তর্কবিতর্ক ও হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। এক পর্যায়ে গ্রেফতার আসামি হৃদয় শাকিল হোসেন নাঈম ও তার বন্ধু লিমনকে ছুরিকাঘাত করে। দুইজনকে স্থানীয়রা উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে গেলে নাঈম মারা যায়।

নিহত নাঈম জামালপুর সদরের বায়রা পলাশতলা গ্রামের মৃত খলিল মিয়ার ছেলে। সে পূর্ব ইসদাইরের রসুলবাগ এলাকার হারাধন বাবুর বাড়িতে মা ও তিন বোনের সাথে ভাড়া থাকতো। স্থানীয় একটি পোশাক কারখানায় কাজ করতো শাকিল হোসেন নাঈম। নাঈমকে হত্যার ঘটনায় গ্রেফতার হৃদয় রজব মিয়ার ছেলে। গ্রেফতার হাবিব হৃদয়ের বেয়াই।

নিহত শাকিল হোসেন নাঈমের মা নাজমা বেগম বলেন, সন্ধ্যার পর মোবাইলে কোনো এক বন্ধুর কল পেয়ে ঘর থেকে বেরিয়ে যায় নাঈম। নিজের মোবাইল ফোন ঘরে চার্জে রেখে যায় সে। এরপর রাত দশটারও পর তার মোবাইলে একটা কল আসে। সেই কল রিসিভ করে মা নাজমা বেগম হৈ-চৈ শুনতে পান। কয়েক সেকেন্ড পরই কলটি কেটে যায়। উদ্বিগ্ন মা প্রতিবেশীর মোবাইল ফোন দিয়ে ওই নম্বরে কল করে জানতে পারেন তার ছেলে ছুরিকাহত হয়ে হাসপাতালে। হাসপাতালেই মারা যায় তার ছেলে।

কাঁদতে কাঁদতে নাঈমের মা বলেন, ‘কেমনে কী হইছে কিচ্ছু জানি না। দুইডা কথাও শুনতে পারি নাই পোলার মুখে।’

প্রেস নারায়ণগঞ্জ.কম

সর্বশেষ

জনপ্রিয়