২৯ মার্চ ২০২৪

প্রকাশিত: ২৩:৩৮, ২৬ জুন ২০২২

আপডেট: ২৩:৩৯, ২৬ জুন ২০২২

ফতুল্লায় আ’লীগ নেতা মোস্তফা কামালের বেয়াই’র বর্বরতা

ফতুল্লায় আ’লীগ নেতা মোস্তফা কামালের বেয়াই’র বর্বরতা

প্রেস নারায়ণগঞ্জ: নিজ কারখানার শ্রমিকের সাথে কথা কাটাকাটির জের ধরে নিজ বাসায় এক যুবককে তুলে এনে মধ্যযুগীয় কায়দায় হাত-পা বেঁধে বন্দুকের বাট (কাঠের অংশ) দিয়ে নির্মমভাবে পিটিয়ে আহত করার অভিযোগ উঠেছে ফতুল্লা থানা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি মোস্তফা কামালের বেয়াই বিএনপি নেতা তৈয়ব আলী৷ ঘটনাটি ঘটেছে শনিবার (২৫ জুন) রাত সাড়ে সাতটার দিকে নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলার পূর্ব শিয়াচর লালখাঁ এলাকায়।

আহত যুবকের নাম শরীফ হোসেন (১৯)। সে ফতুল্লা মডেল থানার শিয়াচর লালখাঁ এলাকার বুলু মিয়ার ছেলে ও তক্কারমাঠ এলাকার পিন্টুর মালিকানাধীন হোসিয়ারি কারখানার শ্রমিক।

এ ঘটনার পর আহত শরীফের পরিবার ভয়ে আতংকে রয়েছে। প্রশাসনের সহযোগিতা নিতেও ভয় পাচ্ছে বলে জানান পরিবারের সদস্যরা।

নির্যাতনের শিকার শরিফ হোসেনের মা জানান, তার  ছেলের সাথে তার ছেলেরই এক বন্ধুর সাথে সামান্য বিষয় নিয়ে কথা-কাটাকাটি  হয়। এক পর্যায় শরিফ তার বন্ধুকে একটি চর মারে। ছেলের বন্ধু লালখাঁর তৈয়ব ওরফে বরিশাইল্লা তৈয়বের মালিকানাধীন হৃদয় নামক একটি কারখানার শ্রমিক। চড় মারার জের ধরে শনিবার রাত সাড়ে সাতটার দিকে তৈয়ব ও তার সন্ত্রাসী বাহিনী ছেলে শীরফ হোসেনকে রাস্তা থেকে তুলে  নিয়ে একটি ঘরে আটক করে হাত-পা বেঁধে মধ্যযুগীয় কায়দায় দেশীয় অস্ত্র ও বন্দুকের বাট দিয়ে আঘাত করে পিঠসহ শরীরের বিভিন্ন অংশে কাটা রক্তাক্ত করে৷ আর্ত-চিৎকারে শরিফ হোসেনের পিতা বুলু মিয়াসহ আশপাশের লোকজন উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে নিয়ে যান।

শরিফ হোসেনের বড় ভাই ফারুক বলে, ‘গরীবের কোন বিচার নাই। তৈয়ব অর্থশালী, প্রভাবশালী। সমাজের সবাই তাকে সমীহ করে। আর তার বেয়াই হচ্ছে মোস্তফা কামাল। তিনি ফতুল্লা থানা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি ও থানা কমিউনিটি পুলিশিংয়ের সভাপতি৷’

ভয়ার্ত ও আতংকগ্রস্ত হামলার শিকার শরীফ হোসেনের বড় ভাই ফারুক হোসেন বলেন, ‘এ বিষয় নিয়ে লেখার দরকার নাই। যদি আপনারা লেখালেখি করেন তাহলে আমাদের গ্রাম ছাড়া হতে হবে। তৈয়বসহ তার লোকজন ইতিমধ্যেই  আমাদের হুমকি দিয়েছে এ ঘটনা নিয়ে যেন কোন থানা-পুলিশ না করি। থানা-পুলিশ করলে বড় ধরনের ক্ষতি করবে তাই এ বিষয়ে কিছুই করবো না৷’

এ বিষয়য়ে তৈয়বের সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি তার বিরুদ্ধে অভিযোগ অস্বীকার করেন৷ তিনি বলেন, বিগত ১০ বছর পূর্বে তিনি বিএনপির রাজনীতি ছেড়ে দিয়েছেন। লালখাঁ এলাকায়  তার মালিকানাধীন কারখানায় আমির হোসেন আমু এসেছিল। তিনি আমির হোসেন আমুর স্ত্রীর নামে গ্রামে কলেজ করে দিয়েছেন। আমির হোসেন আমুর হাত ধরে তিনি দশ বছর পূর্বে আওয়ামী লীগে যোগ দিয়েছেন বলে জানান।

এ বিষয়ে ফতুল্লা মডেল থানার ইনচার্জ শেখ রিজাউল হক দিপু জানান, এ বিষয়ে তার নিকট বা থানায় কেউ কোন লিখিত অভিযোগ নিয়ে আসেনি। অভিযোগ পেলে অবশ্যই আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। যত প্রভাবশালী হোক না কেন কোন প্রকার ছাড় অপরাধী পাবে না।

প্রেস নারায়ণগঞ্জ.কম

সর্বশেষ

জনপ্রিয়