ফতুল্লায় কাপড়ের মার্কেটে আগুন, ২৫ দোকান পুড়ে ছাই

প্রেস নারায়ণগঞ্জ: নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লা বাসস্ট্যান্ড এলাকার একটি কাপড় মার্কেটে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় ছোট- বড় প্রায় ২৩-২৫ টি দোকান পুড়েগেছে বলে জানান যায়। তবে কোনো হতাহতের ঘটনা ঘটেনি।

বুধবার (৩ মার্চ) ভোর সাড়ে ৬টার দিকে ফতুল্লা বাসস্ট্যান্ড এলাকার ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ পুরাতন সড়ক ঘেষে গড়ে উঠা কাপড়ের মার্কেটে এ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। মন্ডলপাড়া ও ফতুল্লা বিসিক ফায়ার সার্ভিসের ছয়টি ইউনিট আধঘণ্টা চেষ্টা চালিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, ফতুল্লা বাসস্ট্যান্ড সংলগ্ন সোহেলের মালিকানাধীন কাপড়ের মার্কেটের একেবারে পিছনের দোকান থেকে ভোর সাড়ে ছয়টার দিকে আগুনের সূত্রপাত হয়। মূহুর্তের মধ্যেই আগুনের বিস্তার লাভ করে পার্শ্ববর্তী কাপড়ের দোকানসহ মনির, সোহাগ ও জাতীয় পার্টি নেতা কাজী হোসেনের মার্কেটের দোকানগুলোতে আগুন ছড়িয়ে পরে। ফায়ার সার্ভিসে সংবাদ দিলে তারা এসে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।

ফতুল্লা মডেল থানা পুলিশের এসআই পোদ্দার জানান, অগ্নিকান্ডে ক্ষতিগ্রস্থ ২৩ জন দোকান মালিকের নাম তিনি জানতে পেরেছেন। পুড়ে যাওয়া অধিকাংশ দোকানই কাপড়ের ছিলো শুধুমাত্র একটি দোকান গ্রিল তৈরির ওয়ার্কশপ ও একটি টিনের দোকান ছিলো।

ক্ষতিগ্রস্থ দোকান মালিক আব্বাস জানান, তার দোকানের ভিতর প্রায় ১০ লাখ টাকার মালামাল ছিলো সব পুড়ে ছাই হয়ে গেছে।আরে দোকানি সাহাবুদ্দিন বলেন, `সামনে রমজান এবং ঈদ। ঈদকে টার্গেট করে মালামাল মজুদ করেছিলাম। দোকান এবং গোডাউনে মিলে প্রায়১৮ থেকে ২০ লাখ টাকার কাপড় ছিলো।

ক্ষতিগ্রস্থ রিয়ন জানান, তার প্রায় ১০ লাখ টাকার মালামাল সহ মঙ্গলবার হাটের বিক্রির প্রায় ৫০/৬০ হাজার টাকা ক্যাশ বাক্সে ছিলো। সবকিছু পুড়ে ছাই হয়ে গেছে।

তুষার জানান, তার ক্যাশ বাক্সে নগদ একলাখ টাকা ছিলো এবং দোকান ও গোডাউনে প্রায় ১২-১৩ লাখ টাকার মালামাল ছিলো যা আগুনে সব পুড়ে গেছে।

একই অবস্থা দোকানী সামছুল, রনি, মামুনসহ অধিকাংশ দোকানিদের। ক্ষতিগ্রস্থ অধিকাংশ দোকান মালিকদের দাবী, ঈদকে টার্গেট করে তারা কাপড় মজুদ করতে শুরু করেছিলো।আগুনে তাদের সব পুড়ে গেছে।

ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্স নারায়ণগঞ্জ অফিসের উপ সহকারী পরিচালক আবদুল্লাহ আল আরেফিন জানান, পৌনে সাতটার দিকে ফতুল্লায় কাপড়ের দোকানে আগুন লাগার খবর শুনে সেখানে পৌঁছায় মন্ডলপাড়া ও ফতুল্লা বিসিক ফায়ার সার্ভিসের ছয়টি ইউনিট। কর্মীরা আধঘণ্টা চেষ্টা চালিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনেন। ধারনা করা হচ্ছে, বৈদ্যুতিক সট সার্কিট থেকেই আগুনের সূত্রপাত হয়েছে।