২৪ এপ্রিল ২০২৪

প্রকাশিত: ১৮:৪৮, ২৭ ডিসেম্বর ২০১৮

বছরের শেষ ব্যাংক লেনদেনে নগরীর ব্যাংকগুলোতে উপচে পড়া ভীড়

বছরের শেষ ব্যাংক লেনদেনে নগরীর ব্যাংকগুলোতে উপচে পড়া ভীড়

প্রেস নারায়ণগঞ্জ: টানা চারদিন বন্ধ থাকবে দেশের ব্যাংকিং খাত। বৃহস্পতিবারই (২৭ ডিসেম্বর) ছিল চলতি বছরের ব্যাংকিং খাতে শেষ লেনদেন। এদিন ২০১৮ সালের বার্ষিক হিসাব চূড়ান্তও করবে ব্যাংকগুলো। একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে ভোটগ্রহণ, সাপ্তাহিক ছুটি ও ব্যাংক হলিডে উপলক্ষে ২৮ থেকে ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত টানা চারদিন দেশের সব ব্যাংক ও ব্যাংকবহির্ভূত আর্থিক প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকবে। ছুটি শেষে আগামী ২০১৯ সালের ১ জানুয়ারি ব্যাংক খুলবে।

২৭ ডিসেম্বর (বৃহস্পতিবার) সরজমিনে নগরের সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন ব্যাংকে গিয়ে দেখা যায়, ব্যাংক খোলার পর থেকেই ব্যাংকে গ্রাহকের প্রচন্ড ভীড়। অর্থ লেনদনের কাউন্টারহুলোতে লম্বা সিরিয়াল। একদিকে টাকা জমা অন্যদিকে টাকা তোলার হিড়িক। সকাল ১০ টার পর থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত লেনদেনকারীদের উপস্থিতি প্রায়ই একই রকম ছিল। তবে বিকালে ভীড় কিছুটা কম লক্ষ্য করা যায়।

নগরের জনতা ব্যাংক, সোনালী ব্যাংক, অগ্রণী ব্যাংক, ডাচ-বাংলা ব্যাংক, সিটি ব্যাংক, মার্কেন্টাইল ব্যাংক, পূবালী ব্যাংক গুলোতে এই দৃশ্য দেখা যায়।

সকালে চাষাড়ার সোনালী ব্যাংকে গিয়ে দেখা যায় লেনদেনকারীদের লম্বা এক সিরিয়াল। কয়েকজনের সাথে কথা বলার সময় তাদের একাধিক জনই ব্যবসায়ী। চারদিন বন্ধ থাকায় কেউ টাকা উত্তোলন করছেন কেউ জমা দিচ্ছেন। কারণ ৪দিন বন্ধ থাকলে ব্যবসার টাকা কোথায় রাখবেন। নিরাপত্তার কথা চিন্তা করে ব্যাংকে জমা দিতে এসেছেন ব্যবসায়ী আরমান হোসেন।

নিতাইগঞ্জের চাল ব্যবসায়ী মো. রফিক। তিনি বলেন, নতুন বছরের অনেক খরচ। আর গুদামে পন্য আসবে। এজন্য টাকা উঠাইতে আসছি। কয়েকদিন বন্ধ থাকব তাই আজকে কাজ শেষ করে ফেলছি।

বেসরকারি ব্যাংক ডাচ-বাংলা ব্যাংকে দুপুর ৩ টার পরেও দেখা যায় বিশাল সিরিয়াল। ব্যাংক বন্ধের আধ-ঘন্টা আগেও ওয়েটিং সিটে অপেক্ষা করছে ২৫-৩০ জন।

ডাচ-বাংলা ব্যাংকের ডেপুটি ম্যানেজার জুলহাস উদ্দিন ব্যাংকের লেনদেন অবস্থা নিয়ে বলেন, ৪ দিন বন্ধ পড়েছে। এজন্য সকলে টাকা উঠাচ্ছে। অনেকেই শহর ছাড়ছে। ব্যাংক ও বন্ধ পড়বে তাই টাকা তুলছে। যেহেতু বন্ধ কয়েকদিন বেশি এজন্য লেনদেন বেশি হচ্ছে।

প্রেস নারায়ণগঞ্জ.কম

সর্বশেষ

জনপ্রিয়