১৯ এপ্রিল ২০২৪

প্রকাশিত: ২২:০৬, ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২১

আপডেট: ২২:০৬, ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২১

বন্দর থানা যুবলীগ সেক্রেটারির বিরুদ্ধে গ্রেফতারী পরোয়ানা

বন্দর থানা যুবলীগ সেক্রেটারির বিরুদ্ধে গ্রেফতারী পরোয়ানা

প্রেস নারায়ণগঞ্জ: চেক জালিয়াতি মামলায় বন্দর থানা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক খন্দকার হাতেম হোসেনকে গ্রেফতারের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। বুধবার (১৫ সেপ্টেম্বর) দুপুরে নারায়ণগঞ্জ জেলা চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের এক রায়ে হাতেম খন্দকার সহ ৩ জনকে গ্রেফতারের নির্দেশ দেন।

এর আগে বন্দর উপজেলা বঙ্গবন্ধু সৈনিকলীগের সভাপতি সাইফুল ইসলাম পলাশ খন্দকার হাতেম হোসেনসহ ৩ জনের বিরুদ্ধে ১ কোটি ২০ লাখ টাকার চেক জালিয়াতির মামলা করেন। মামলার অপর দুইজন হলেন, মো. শরিফুল ইসলাম (৩৮) ও মো. ফেরদৌস ইসলাম (৪৭)।

বাদী পক্ষের আইনজীবী অ্যাড. খোকন সাহা জানান, সাইফুল ইসলাম পলাশের সাথে আসামি খন্দকার হাতেম হোসেনের বন্ধুত্বপূর্ণ এবং ব্যবসায়িক সম্পর্ক ছিল। সেই সুবাদে ব্যবসায়িক প্রয়োজনে বাদীর প্রতিষ্ঠানে খন্দকার হাতেমের যাতায়াত ছিল। এর মধ্যে খন্দকার হাতেমসহ অন্যান্য আসামিরা কৌশলে বাদীর ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান থেকে বাদীর ব্যাংক একাউন্টের কিছু চেক চুরি করে নিয়ে যায়। তার কিছুদিন পর ১ কোটি ৫০ লাখ টাকা লিখে হয়রানি ও আত্মসাৎ করার উদ্দেশ্যে একটি চেক আল আরাফাহ ইসলামি ব্যাংকে ইস্যু করেন শরিফুল ইসলাম। কিন্তু পূর্বেই সাইফুল ইসলাম পলাশ চুরি হয়ে যাওয়া চেক গুলো সম্পর্কে থানায় সাধারণ ডায়েরি করাতে ব্যাংক থেকে সেই চেক ফিরিয়ে দেয়া হয়। পরবর্তীতে বিষয়টি জানাজানি হলে সালীশের মাধ্যে ১ কোটি ৫০ লাখ টাকা লিখিত একটি চেক আসামি শরিফুল ইসলাম ও খন্দকার হাতেমের কাছে থেকে উদ্ধার করা হয়। এরপর মামলার আরেক আসামি ফেরদৌস ইসলাম ১ কোটি ২০ লাখ টাকা লিখিত আরেকটি চেক আইএফআইসি ব্যাংকে ইস্যু করলে সেই চেকটিও ব্যাংক থেকে ফিরিয়ে দেওয়া হয়। এ ঘটনায় প্রতারণা ও জালিয়াতির অভিযোগে সাইফুল ইসলাম আদলতে একটি মামলা দায়ের করেন। আদালত সেই মামলা আমলে নিয়ে পিবিআই কে তদন্তের নির্দেশ প্রদান করেন। পিবিআই এর তদন্তে মামলার সত্যতা প্রমাণিত হলে পরবর্তীতে আদালত উক্ত আসামিদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারী পরোয়ানা জারি করেন।

প্রেস নারায়ণগঞ্জ.কম

সর্বশেষ

জনপ্রিয়