২৬ এপ্রিল ২০২৪

প্রকাশিত: ১৮:৪১, ২ অক্টোবর ২০২২

আপডেট: ১৯:৫৮, ২ অক্টোবর ২০২২

বন্দরে অটোরিকশা চালক খুন: আরও দুই আসামি গ্রেপ্তার

বন্দরে অটোরিকশা চালক খুন: আরও দুই আসামি গ্রেপ্তার

প্রেস নারায়ণগঞ্জ: নারায়ণগঞ্জের বন্দরে গলাকেটে ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা চালক কায়েস (১৫) হত্যা মামলায় আরও দুই আসামিকে গ্রেপ্তারের কথা জানিয়েছে পুলিশ। রোববার (২ অক্টোবর) দুপুরে নিজ কার্যালয়ে প্রেস ব্রিফিংয়ে এই তথ্য জানান জেলা পুলিশ সুপার গোলাম মোস্তফা রাসেল।

গ্রেপ্তার দু’জন হলেন- বন্দর উপজেলার পদুঘর এলাকার মো. সেলিমের ছেলে কামরুজ্জামান শিমুল ওরফে শ্যামল (২৫) ও দক্ষিণ কুলচরিত্র এলাকার রাজা গাজীর ছেলে ফাহিম ওরফে জিকো (২০)। এর আগে শনিবার সন্ধ্যায় পদুঘর এলাকার মুক্তার হোসেনের ছেলে কাউছারকে (২০) গ্রেপ্তারের কথা জানায় বন্দর থানা পুলিশ।

পুলিশ জানায়, গ্রেপ্তার তিন আসামি কিশোর কায়েস হত্যাকান্ডে সরাসরি জড়িত। এই ঘটনায় একই উপজেলার লিমন ওরফে রিমন (২০) ও হানিফ (১৯) নামে আরও দুই আসামি পলাতক রয়েছে।

তিনদিন নিখোঁজ থাকার পর শনিবার সকালে বন্দরের কলাগাছিয়া ইউনিয়নের নরপদী এলাকার একটি ফসলি জমি থেকে কায়েসের মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। নিহত কায়েস উপজেলার নবীগঞ্জ নোয়ার্দ্দা এলাকার বাসচালক কাশেম মিয়ার ছেলে।

এসপি গোলাম মোস্তফা রাসেল বলেন, ‘কায়েস তিনদিন যাবৎ নিখোঁজ ছিল। সে পেশায় একজন মিশুক (ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা) চালক ছিল। নিখোঁজের ব্যাপারে থানায় একটি সাধারণ ডায়েরিও হয়েছিল। জিডি নিয়ে পুলিশ কাজ করছিল। এদিকে শনিবার সকালে কায়েসের গলাকাটা লাশ পাওয়া যায়। এই ঘটনায় নিহতের মা শারমিন বেগম হত্যা মামলা দায়ের করেন। অত্যন্ত পারদর্শীতা ও দক্ষতার সাথে পুলিশ ১২ ঘন্টার মধ্যেই ঘটনার সাথে সরাসরি জড়িত তিনজনকে ঢাকা, মুন্সিগঞ্জ ও কেরানীগঞ্জে অভিযান চালিয়ে গ্রেপ্তার করে। তারা হত্যাকান্ডে জড়িত থাকার বিষয়ে পুলিশের কাছে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে।’

এসপি বলেন, ‘গ্রেপ্তার আসামি কামরুজ্জামান তার বাড়ির সামনে থেকে মিশুকটি ভাড়া নেয়। পরে সাবদী ব্রিজ এলাকায় গিয়ে আসামিরা মদ্যপান করে। মদ্যপ অবস্থাতেই মিশুকটি ছিনতাইয়ের পরিকল্পনা করে আসামিরা। পরে চালকের গলাকেটে হত্যা করে লাশ ফেলে পালিয়ে যায়। পরে মিশুকটি তারা বিক্রি করে দেয়।’

এক প্রশ্নের জবাবে এসপি বলেন, ‘এর আগেও বন্দরে আরেক মিশুকচালককে একইভাবে গলাকেটে হত্যার ঘটনা ঘটেছিল। দু’টি ঘটনাতেই আসামিদের তাৎক্ষনিকভাবে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। তবে দুই ঘটনার সাথে জড়িত ব্যক্তিরা সংঘবদ্ধ অপরাধী না। এই ঘটনায় যারা গ্রেপ্তার হয়েছে তারাও কিন্তু সংঘবদ্ধ অপরাধী না। মদ্যপানের পর তারা সিদ্ধান্ত নিয়েছে মিশুক ছিনতাইয়ের। তবে মিশুক ছিনতাইয়ের জন্য হত্যার মতো ঘটনা তারা ঘটাচ্ছে। এই ধরনের সংঘবদ্ধ অপরাধী চক্র আছে কিনা সেই বিষয়ে তৎপরতা চালাচ্ছে পুলিশ।’

রাতের বেলা অটোরিকশায় ওঠা যাত্রীদের মোবাইল নম্বর সংগ্রহে রাখার জন্য চালকদের প্রতি পরামর্শ দেন এসপি।

গত ১২ সেপ্টেম্বর বন্দরের কলাগাছিয়া ইউনিয়নের কান্দিপাড়া এলাকা থেকে মো. ফেরদৌস (২২) নামে এক তরুণ অটোরিকশা চালকের গলাকাটা মরদেহ উদ্ধার করা হয়। বন্দরে একটি অপরাধী চক্র চালককে খুন করে অটোরিকশা ছিনতাইয়ে তৎপর রয়েছে বলে অভিযোগ স্থানীয়দের। তারা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর নজরদারি বাড়ানোর দাবি জানান।

প্রেস নারায়ণগঞ্জ.কম

সর্বশেষ

জনপ্রিয়