২৯ মার্চ ২০২৪

প্রকাশিত: ২১:৫৯, ১৩ মার্চ ২০২৩

আপডেট: ১১:৫৯, ১৪ মার্চ ২০২৩

বন্দরে খান মাসুদের দুই রাজু বাহিনীর সংঘর্ষে আহত ৯

বন্দরে খান মাসুদের দুই রাজু বাহিনীর সংঘর্ষে আহত ৯

প্রেস নারায়ণগঞ্জ: নারায়ণগঞ্জের বন্দরে দুই বাহিনীর সংঘর্ষে নারীসহ অন্তত ৯ জন আহত হয়েছেন বলে খবর পাওয়া গেছে। সোমবার (১৩ মার্চ) দুপুরে উপজেলার একাধিক স্থানে দফায় দফায় এই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে উপজেলার নুরবাগ এলাকার মো. রাজু আহমেদ ওরফে স্ট্যান্ড রাজু এবং চিনারদী এলাকার আকিব হাসান রাজু ওরফে টোকাই রাজু বাহিনীর মধ্যে এই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। উভয় বাহিনীকে বন্দরের যুবলীগ নেতা খান মাসুদ নিয়ন্ত্রণ করেন বলে অভিযোগ রয়েছে।

সংঘর্ষের ঘটনায় আহত হয়েছেন- রাজু আহমেদের পক্ষের ছনখোলা এলাকার মামুন, নাসির ও অপু এবং আকিব হাসান রাজুর পক্ষের চিনারদী এলাকার নিলুফা বেগম, কল্যান্দি এলাকার রহিম, হাফেজীবাগ এলাকার মতিন মিয়ার ছেলে আব্দুল, র‍্যালি আবাসিক এলাকার সামাদ মিয়ার ছেলে রুবেল, জামাইপাড়া এলাকার জাহিদ ও মুখফলদি এলাকার সাইফুল।

আহতদের মধ্যে রহিমের অবস্থা আশঙ্কাজনক। সে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি আছে বলে জানা গেছে।

প্রত্যক্ষদর্শী ও স্থানীয় লোকজন জানান, বন্দর উপজেলার নুরবাগ এলাকার রাজু আহমেদ ও বন্দর ইউনিয়নের চিনারদী এলাকার আকিব রাজুর মধ্যে অধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে বিরোধ চলে আসছে। এই দ্বন্দ্বের জেরে সোমবার দুপুরে রাম দা, চুরিসহ ধারালো অস্ত্র হাতে উভয়পক্ষ সংঘর্ষে জড়ায়। এতে উভয়পক্ষের কয়েকজন রক্তাক্ত জখম হয়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছে পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নেয়। তবে এখনও এ নিয়ে বন্দরে থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে।

বন্দর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু বকর সিদ্দিক বলেন, ‘পরিস্থিতি পুলিশের নিয়ন্ত্রণে আছে। সংঘর্ষের ঘটনায় থানায় মামলা প্রক্রিয়াধীন। এই ঘটনায় একজনকে আটকও করা হয়েছে।’

তবে স্থানীয় একটি সূত্র বলছে, নুরবাগের রাজু ও চিনারদীর রাজু উভয়ই যুবলীগ নেতা খান মাসুদের অনুসারী। তাদের মধ্যে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে এর আগেও একাধিকবার মারামারি হয়েছে। তাদের দ্বন্দ্ব মেটাতে রোববার নিজের অফিসে ডেকে উভয়পক্ষের মধ্যে সমঝোতা করিয়ে দেন খান মাসুদ। এর একদিন পরেই উভয়পক্ষ রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে জড়ায়। চিনারদী এলাকার আকিব হাসান রাজু ওরফে টোকাই রাজুর বিরুদ্ধে রয়েছে অসংখ্য অভিযোগ। থানায় তার বিরুদ্ধে হত্যা চাঁদাবাজির সহ ৮/১০ টি মামলা রয়েছে।

এই বিষয়ে কথা বলতে যুবলীগ নেতা খান মাসুদের মুঠোফোনের নম্বরে একাধিকবার কল করেও তার সাড়া পাওয়া যায়নি।

তবে ফেসবুক পেজে খান মাসুদ লেখেন, ‘আমি অনেক চেষ্টা করেছি সকলকে নিয়ে মিলেমিশে শান্তিপূর্ণভাবে রাজনীতি করতে। কিন্তু যারা আমার নির্দেশনা উপেক্ষা করে নিজেরাই উপরাধ কর্মকা- জড়িয়ে পরে মানুষের মনে আতংক সৃষ্টি করে মানুষকে অশান্তিতে রাখে, তারা আমার লোক না। দলকে শক্তিশালী করার জন্য রাজু আহমেদ এবং আকিব হাসান রাজুকে আমার ভাইয়ে মতো স্নেহ করতাম। যার কারনে গতকাল (রোববার) রাতে ওদের মধ্যে থাকা দ্বন্দ্ব নিরসন করে ওদের মিলিয়ে দেই। কিন্তু আজ ১৩ মার্চের সংঘর্ষের ঘটনায় আমি মর্মাহত এবং ক্ষুব্ধ। তাই আজ থেকে তাদের কোন দায়ভার আমি আর নিব না। কোন অপরাধীই আমার লোক না, কেউ কোন অপরাধ করলে পুলিশকে কঠোরভাবে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের জোর দাবি জানাচ্ছি।’

প্রেস নারায়ণগঞ্জ.কম

সর্বশেষ

জনপ্রিয়