বন্দরে স্বেচ্ছাসেবক লীগে তরুণদের প্রত্যাশা

প্রেস নারায়ণগঞ্জ: অচিরেই নারায়ণগঞ্জ মহানগর ও জেলার আওতাধীন বিভিন্ন উপজেলাগুলোতে আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগের কমিটি হতে যাচ্ছে। এই কমিটিগুলোর মাধ্যমে দলে আসতে পারে বড় পরিবর্তন এমনই গুঞ্জন রয়েছে। এক্ষেত্রে বন্দর উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের কমিটিতে গুরুত্বপূর্ণ পদ পেতে তোড়জোড় চলছে। পদের জন্য যার যার অবস্থান থেকে লবিং করছেন। তবে তরুণরা কমিটিতে স্থান পাবে বলছে তৃণমূল।

এক্ষেত্রে বন্দর উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের কমিটিতে সভাপতি পদে বন্দর ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি ফয়সাল কবির, সাধারণ সম্পাদক পদে বন্দর উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল আলী, সাংগঠনিক সম্পাদক সিপন প্রধান ও ইঞ্জিনিয়ার হাসানের নাম সামনে এসেছে।

তৃণমূলের নেতাকর্মীরা বলছেন, বন্দর উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের নতুন নেতৃত্বে সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক হিসেবে তরুণ ত্যাগী নেতাদেরই মূল্যায়ন করা উচিৎ। কেননা দলের দুর্দিনে যারা অগ্রণী ভূমিকা রেখে আন্দোলন সংগ্রামে সরব ছিলেন দল তাদেরই মূল্যায়ন করবে। তবে বন্দর উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের আগামী দিনের কমিটিতে ত্যাগী ও সাবেক ছাত্রনেতাদেরই মূল্যায়ণ করা হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

বন্দর উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি প্রার্থী ফয়সাল কবির বলেন, ‘আমি দীর্ঘদিন বন্দর ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছি। দলের দুর্দিনে অগ্রণী ভূমিকা পালন করেছি। বিএনপি-জামাত সরকার শাসনামলে হামলা-মামলার শিকার হয়েছি। বিরোধীদলীয় সন্ত্রাসীদের হাতে অনেক নির্যাতিত হয়েছি। তারপরও দল ছেড়ে যাই নাই। আমি দলের একজন কর্মী হিসেবে সভাপতি প্রার্থী হয়েছি। আগামীতে বন্দর স্বেচ্ছাসেবক লীগের নেতৃত্ব পেলে দলের সুনাম রাখব ইনশাআল্লাহ।’

বন্দর উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক প্রার্থী মো. হাসান বলেন, ‘আমি বন্দর উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাবেক সহসভাপতির দায়িত্ব পালন করেছি দীর্ঘদিন যাবৎ। দলের প্রয়োজনে সবসময় ছিলাম। আমি দলীয় একজন নগন্য কর্মী হিসেবে দলীয় সকল কর্মসূচিতে সব সময় অগ্রণী ভূমিকা পালনে সচেষ্ট ছিলাম। দল আমাকে যেভাবে মূল্যায়ন করবে আমি সেভাবেই দায়িত্বে অটল থাকব।’

সিপন প্রধান বলেন, ‘আমি তৃণমূলের প্রার্থী। বিগত কমিটিতে উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছি। এই কারণে সংগঠনকে আরো সুশৃঙ্খলভাবে সাজাবো বলে সাধারণ সম্পাদক পদে প্রার্থী হয়েছি। দল আমাকে যোগ্য মনে করবেন বলে আমি বিশ্বাস করি। আমি ছাত্রজীবন থেকে ছাত্রলীগ করেছি। রাজপথে বহু আন্দোলন সংগ্রাম করেছি। আমার পরিবার আওয়ামী লীগ মতাদর্শে বিশ্বাসী। দলের কর্মী হিসেবে দীর্ঘদিন কাজ করে আসছি। পরে বন্দর উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পাই। আশা করছি অভিভাবক নেতারা মূল্যায়ন করবেন।’

অন্যদিকে উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের অপর সাধারণ সম্পাদক প্রার্থী ও সাবেক সাধারণ সম্পাদক আব্দুল আলী বলেন, ‘আমি বিগত কমিটিতে উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেছি। দল যেভাবে নির্দেশনা দিবে আমি সেভাবেই বঙ্গবন্ধু আদর্শ ধারণ করে কাজ করে যাব।’