১৯ এপ্রিল ২০২৪

প্রকাশিত: ২১:২৪, ৭ আগস্ট ২০১৯

বাজারে ‘গরম মসলার’ গরম

বাজারে ‘গরম মসলার’ গরম

প্রেস নরায়ণগঞ্জ: ঈদ-উল-আজহার আর মাত্র চার দিন বাকি। কোরবানির ঈদকে কেন্দ্র করে বাড়ে মসলার চাহিদা। তাই সেই চাহিদা পূরণ করতে আগে থেকেই প্রস্তুত থাকে ব্যবসায়ীরা। এতদ্বা সত্ত্বেও প্রতিবছরই বাড়ে মাংস রান্নায় ব্যবহৃত বিভিন্ন মসলার দাম। ব্যতিক্রম হয়নি এ বছরও। ধাপে ধাপে বেড়েছে মাংস রান্নায় সবচেয়ে বেশি ব্যবহৃত ‘গরম মসলা’র দাম। আমদানি সংকটের অজুহাতে দিয়ে সবচেয়ে বেশি বেড়েছে সব প্রকার এলাচের দাম।

বুধবার (৭ আগস্ট) বিকেলে নগরীর প্রধান বাজার দিগু বাবুর বাজার সরেজমিনে দেখা যায়, ঈদকে কেন্দ্র করে বাহারি মসলার পসরা সাজিয়ে বসেছেন বাজারের মসলা বিক্রেতারা। রকমারি মাংস রান্নায় ব্যবহৃত সকল মসলাই রয়েছে তাদের কাছে। তবে এখনো জমে উঠেনি মসলার বাজার। দোকানগুলোতে ঈদের আমেজ না পেলেও চড়া মসলার দাম।

মসলার বাজারের শেষ তথ্যমতে, গত জুলাই মাসে এলাচের দাম সর্বনিম্ন ছিল ১২০০ এবং সর্বোচ্চ ছিল ২২০০ টাকা। চলতি মাসে এলাচের দাম বৃদ্ধি পেয়েছে ৩০০ টাকা। যার সংখ্যা দাড়িয়েছে সর্বনি¤œ ছিল ১৫০০ এবং সর্বোচ্চ ছিল ২৬০০ টাকা। এছাড়া বেড়েছে দারুচিনি, বাদাম, গোলমরিচের দাম। দারুচিনির দাম কেজিতে ১২০ টাকা বেড়ে বর্তমানে ৪৪০ টাকা, বাদাম ২০ টাকা বেড়ে দাড়িয়েছে ১২০ টাকা।

এছাড়া তেজপাতা প্রতি কেজি ১২০ টাকা, কিসমিস ৪০০ টাকা, লবঙ্গ ১০০০ টাকা, গোলমরিচ ৭০০ টাকা, কাজু বাদাম ১০০০ টাকা, আদা ১৫০ টাকা, রসুন ১৩০ টাকা, পাঁচ ফোঁড়ন ১৫০ টাকা, কালো জিরা ১৯০ টাকা এবং জিরা কেজি প্রতি ৩৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

মসলার সংকট ও মসলার আমদানিকে দাম বৃদ্ধির প্রধান কারণ বলে জানান জব্বার স্টোরের বিক্রেতা শফিকুল ইসলাম। তিনি বলেন, ‘এলাচের সংকট ছিল আগে থেকেই। আর আমদানি না থাকার কারণে দাম বেড়েছে এতটা। আর মসলা ব্যবসার নিয়ম হচ্ছে মসলার পরিমাণ যত কম দাম ততই বেশি। এসব কারণেই পাইকারি আর খুচরায় দামের মধ্যে এত তফাত।’

আলী স্টোরের বিক্রতা হাসান আলী বলেন, ‘ঈদে মসলার দাম একটু আধটু তো বাড়বেই। এ আর নতুন কি! এ বছর ক্রেতার আনাগোনা এখনো খুব কম। চাকরিজীবীদের এখনো ছুটি হয়নি। সাপ্তাহিক ছুটির অপেক্ষা করছি। আশা করছি ১-২ দিনের মধ্যে বাজার জমে উঠবে।’

এদিকে মসলার দাম বাড়াতে বিরক্ত ক্রেতারা। গৃহিনী সুলতানা আক্তার বলেন, তারা (বিক্রেতা) তো সুযোগ পেলেই জিনিসপত্রের দাম বাড়িয়ে দেয়। সামনে ঈদ তাই লোকজনের চাহিদা বেশি। আর এই সুযোগের সদব্যবহার করছেন বিক্রেতারা। কিন্তু কিছু তো করার নেই। দাম বেশি হলেও কিনতে তো হবেই।

প্রেস নারায়ণগঞ্জ.কম

সর্বশেষ

জনপ্রিয়