বিএনপি নেতা তৈমুর আলমের জন্মদিনের অনুষ্ঠানে হামলা
প্রেস নারায়ণগঞ্জ: নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে বিএনপি চেয়ারপারসনের রোগমুক্তি ও বিএনপি নেতার জন্মদিনের অনুষ্ঠানে হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে। সোমবার (১৯ অক্টোবর) বিকেলে উপজেলার রূপসীতে ওই অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না। এ সময় তার গাড়িও ভাঙচুর করা হয়।
হামলার ঘটনাটি ঘটেছে বস্ত্র ও পাট মন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজীর বাড়ির পাশে খন্দকার বাড়িতে। সেখানে বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার রোগমুক্তি কামনা ও চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা অ্যাড. তৈমুর আলমের জন্মদিন উপলক্ষে দোয়া ও মিলাদ মাহফিলেন আয়োজন করা হয়। ওই অনুষ্ঠানে মন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজীর বাড়ির বাবুর্চি ফিরোজ ভূইয়া নেতৃত্বে সরকারদলীয় নেতাকর্মীরা হামলা ও ভাঙচুর চালিয়েছেন বলে অভিযোগ করেছেন মহানগর যুবদলের সভাপতি ও নাসিক কাউন্সিলর মাকছুদুল আলম খন্দকার খোরশেদ। এই হামলায় থানা ছাত্রলীগের সভাপতি ফয়সাল সিকদার, সহসভাপতি রিয়াদ, থানা যুবলীগের সহসাংগঠনিক সম্পাদক রাসেল, স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা পাভেলসহ ছাত্রলীগ, যুবলীগ ও স্বেচ্ছাসেবক লীগ কর্মীরা হামলায় অংশ নিয়েছে বলে দাবি তার।
খোরশেদ জানান, রূপসীর খন্দকার বাড়িতে দোয়া মাহফিলের আয়োজন করা হয়। দুপুর তিনটার দিকে অনুষ্ঠান শুরু হয়। সাড়ে চারটার দিকে প্রধান অতিথি মাহমুদুর রহমান মান্না বক্তব্য দেওয়ার এক পর্যায়ে শতাধিক ব্যক্তি রাম দা ও লাঠিসোটা নিয়ে হামলা চালানো হয়। ভাঙচুর করা হয়ে দু’টি গাড়ি ও কয়েকটি মোটর সাইকেল। এছাড়া সাউন্ড সিস্টেম, চেয়ার, মোবাইল ভাঙচুর করা হয়েছে। হামলায় তৈমুর আলম খন্দকার, তার কন্যা ব্যারিষ্টার মাইয়াম খন্দকার, কেন্দ্রীয় যুবদলের সহসাধারণ সম্পাদক মোশারফ হোসেন, জেলা যুবদলের সাবেক সভাপতি আশরাফুল আলম রিপন উপজেলা মহিলা দল নেত্রী ফাতেমা, বিএনপি নেতা পিন্টু আহমেদসহ ৩০-৪০ জন আহত হয়েছেন বলে দাবি করেন খোরশেদ।
নাগরিক ঐক্যের জেলা কমিটির আহ্বায়ক ইকবাল কবির জানান, তার দলের কেন্দ্রীয় নেতা সাকিব আল হাসান, কবির হাসান ও যুব ঐক্যের নেতা মুন্নাও আহত হয়েছেন। হামলার ঘটনায় মাহমুদুর রহমান মান্নার চশমাটিও ভেঙে গেছে বলে জানান তিনি।
এ বিষয়ে নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না মুঠোফোনে বলেন, বক্তব্য দেওয়ার এক পর্যায়ে হামলার ঘটনাটি ঘটে। তার গাড়িও ভাঙচুর করা হয়েছে। তাকে কেন্দ্র করে এই হামলা করা হয়েছে বলে দাবি করেন তিনি।
এ বিষয়ে রূপগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহমুদুল হাসান বলেন, ‘আয়োজনটি মন্ত্রীর বাড়ির পাশেই ছিল। স্থানীয় সরকারদলীয় নেতারা তাতে বাধা দেয় বলে জেনেছি। তবে হামলা ও ভাঙচুরের অভিযোগ করেছেন বিএনপি নেতারা। বিষয়টি খোঁজ নিতে পুলিশ পাঠানো হয়েছে।’
অনুষ্ঠানের জন্য প্রশাসনের পক্ষ থেকে কোনো ধরনের অনুমতি বা অবহিত করা হয়নি জানিয়ে ওসি বলেন, ‘আমাদের আগে জানালে পুলিশ সদস্যরা সেখানে উপস্থিত থাকতো।’
এ বিষয়ে বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজী বলেন, এ বিষয়ে তিনি কিছু জানেন না। তবে তার সমর্থকদের কেউ এমনটা করে থাকলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবেন। বিএনপির নিজেদের মধ্যে কোন্দলের ঘটনা তাদের উপর চাপানোর চেষ্টা হচ্ছে বলেও দাবি তার।
প্রেস নারায়ণগঞ্জ.কম