২৫ এপ্রিল ২০২৪

প্রকাশিত: ১৯:৩৯, ২১ জানুয়ারি ২০২১

বিভিন্ন দাবিতে ছাত্র ফ্রন্টের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে নগরীতে সমাবেশ

বিভিন্ন দাবিতে ছাত্র ফ্রন্টের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে নগরীতে সমাবেশ

প্রেস নারায়ণগঞ্জ: নারায়ণগঞ্জে সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্টের ৩৭ তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে ছাত্র সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। ছাত্র অধিকার খর্ব, শিক্ষা সংকোচন ও শিক্ষার বাণিজ্যিকীকরণ-সাম্প্রদায়িকীকরণ বন্ধ এবং সরকারি উদ্যোগে সকল নাগরিককে বিনামূল্যে করোনা ভ্যাকসিন দেওয়ার দাবিতে এই সমাবেশ হয়।

বৃহস্পতিবার (২১ জানুয়ারি) বেলা ১১টায় চাষাঢ়া কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে এ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। সমাবেশ শেষে শহরে বর্ণাঢ্য র‌্যালির আয়োজন করা হয়।

সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্টের জেলা সভাপতি সুলতানা আক্তারের সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্ট কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি ছাত্রনেতা আল কাদেরী জয়, বাসদ জেলা সমন্বয়ক নিখিল দাস, অর্থ সম্পাদক মুন্নি সরদার, ফতুল্লার সংগঠক ফয়সাল আহম্মেদ রাতুল, মোহসিনা সিথী, খায়রুল ইসলাম আকাশ, সাইফুল ইসলাম প্রমুখ।

বক্তারা বলেন, ১৯৮৪ সালের ২১ জানুয়ারি সামরিক স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলনের অগ্নিগর্ভ থেকে প্রতিষ্ঠিত সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্ট জন্মলগ্ন থেকে বিজ্ঞানভিত্তিক, সেক্যুলার, বৈষম্যহীন, ও একই পদ্ধতির গণতান্ত্রিক শিক্ষাব্যবস্থা প্রতিষ্ঠার জন্য সংগ্রাম করে আসছে। মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম মূল আকাঙ্খার এই শিক্ষাব্যবস্থা স্বাধীনতার ৫০ বছর হতে চলল আজও তা দেশবাসী পায়নি। শাসকরা শিক্ষাকে ক্রমাগত মুষ্ঠিমেয়র মুনাফার পণ্যে পরিনত করে চলেছে। স্কুল থেকে বিশ^বিদ্যালয় পর্যন্ত সব ধরণের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান আজ পরিচালিত হচ্ছে প্রধানত বাণিজ্যিক ধারায়।

বক্তারা আরও বলেন, আমরা আজ ভয়াবহ বিপর্যস্ত সময়ে দাঁড়িয়ে আছি। কোভিড-১৯ বৈশি^ক মহামারিতে শিক্ষা ও স্বাস্থ্য খাতের বেহাল দশা জনগণের সামনে দিনের আলোর মতো পরিষ্কার হয়ে উঠছে। করোনাকালীন সময়ে অর্থনৈতিক সংকট নেমে আসার দরুন নি¤œ ও মধ্য আয়ের মানুষদের করুণ দুর্দশার চিত্র আমরা অবলোকন করেছি। তা সত্তে¡ও স্কুল-কলেজগুলিতে এ বছরের বেতন-ফি, সেশন ফি সহ অন্যান্য ফি মওকুফ করা হয়নি। অন্যদিকে দেখছি সরকার প্রনোদনা প্যাকেজ দিচ্ছে গার্মেন্টস মালিকদেরকে, অথচ শিক্ষার্থীদের শিক্ষা জীবন রক্ষার্থে সরকারের কোন ধরনের উদ্যোগ নেই। শিক্ষা সংকোচন, সাম্প্রদায়িকীকরণের বিরুদ্ধে সংগঠিত যে ৬২’র শিক্ষা আন্দোলন আমাদের স্বাধীনতার সোপান গড়ে দিয়েছিলো। সেই স্বাধীন বাংলাদেশের শিক্ষাব্যবস্থাকে বাণিজ্যিকীকরণ, সংকোচন, সাম্প্রদায়িকীকরণের কবলে পড়তে হয়েছে বারংবার। জনগনের টুটি চেপে ধরার স্বার্থে প্রণয়ন হয়েছে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন। শাসক শ্রেণীর নানান ধরনের অপতৎপরতার বিপরীতে সমস্ত ছাত্র আন্দোলন, শ্রমিক আন্দোলন, গণআন্দোলনের ঢেউকে এক মোহনায় মিলিত করতে হবে। এবং একটি শোষণ ও বৈষম্যহীন সমাজতান্ত্রিক বাংলাদেশ নির্মাণ করতে হবে। সেই লক্ষ্যে চলমান আন্দোলনে অংশগ্রহণ করে তাকে বেগবান করার জন্য আপামর ছাত্র, শ্রমিক, কৃষক ও জনগনের প্রতি উদাত্ত আহবান জানান নেতৃবৃন্দ।

প্রেস নারায়ণগঞ্জ.কম

সর্বশেষ

জনপ্রিয়