২৪ এপ্রিল ২০২৪

প্রকাশিত: ১৮:৫৬, ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৩

আপডেট: ১৮:৫৭, ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৩

মুনলাক্স খুলে দেয়ার দাবিতে শ্রমিকদের বিক্ষোভ অব্যাহত

মুনলাক্স খুলে দেয়ার দাবিতে শ্রমিকদের বিক্ষোভ অব্যাহত

প্রেস নারায়ণগঞ্জ: সিদ্ধিরগঞ্জপুল এলাকায় বন্ধ ঘোষিত মুনলাক্স গার্মেন্টস খুলে দেওয়ার দাবিতে দ্বিতীয় দিনেও নারায়ণগঞ্জ শহরে বিক্ষোভ মিছিল ও প্রেসক্লাবের সামনে সমাবেশ করেছে ওই কারখানার শ্রমিকরা। রবিবার (১৯ ফেব্রুয়ারী) সকাল ১০ টায় শ্রমিকরা চাষাড়া শহীদ মিনারের সামনে জড়ো হয়ে মিছিল বের করে বঙ্গবন্ধুর সড়ক প্রদক্ষিণ প্রেসক্লাবের সামনে এসে সমাবেশ করে। সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন মুনলাক্স গার্মেন্টসের শ্রমিক আনোয়ার হোসেন।

সংহতি জানিয়ে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ গার্মেন্ট ও সোয়েটার্স শ্রমিক ট্রেড ইউনিয়ন কেন্দ্র নারায়ণগঞ্জ জেলা কমিটির আহবায়ক এম এ শাহীন, যুগ্ন-আহবায়ক ইকবাল হোসেন, গার্মেন্টস শ্রমিক ফ্রন্ট জেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল ইসলাম শরীফ, মুনলাক্স গার্মেন্টসের শ্রমিক রাজু আহম্মদ ও সাহারা আক্তার প্রমুখ।

সমাবেশে নেতৃবৃন্দ বলেন, মুনলাক্স গার্মেন্টসের মালিক শ্রম আইন লঙ্ঘণ করে যেনতেন ভাবে কারখানা পরিচালনা করছে। ইতিমধ্যে কর্তৃপক্ষ শ্রমিকদের ন্যায্য পাওনা থেকে বঞ্চিত করার হীন উদ্যেশ্যে হুট করে কারখানাটি বন্ধ ঘোষণা করে শ্রমিকদেরকে চরম বিপদে ফেলে দিয়েছে। যেই শ্রমিকরা বছরের পর বছর এই কারখানায় কাজ করেছে। যাদের শ্রম ঘাম নিয়ে মালিক কোটি কোটি টাকা মুনাফা করেছে। আজ সেই শ্রমিকদেরকে ক্ষতিগ্রস্ত করার জন্য অজুহাত দেখিয়ে কারখানা বন্ধ ঘোষণা করে শ্রমিকদের পেটে লাথি মারছে। মালিককে শ্রমিক স্বার্থবিরোধী এই অমানবিক আচরণ পরিহার করতে হবে।

নেতৃবৃন্দ আরও বলেন, দ্রব্যমূল্যের উর্ধ্বমুখী বাজার শ্রমিকরা যেই মজুরি পায় সেই টাকা দিয়ে তাঁদের সংসার কোনভাবেই চলছে না। আধ পেটা খেয়ে না খেয়ে পরিবার পরিজন নিয়ে কোন রকম বেঁচে আছে। এই পরিস্থিতির মধ্যে মুনলাক্সের মালিক কারখানা বন্ধ ঘোষণা করে ৩ শতাধিক শ্রমিক পরিবারকে চরম বিপদে ফেলে দিয়েছে। লে-অফ এর মধ্যমে কারখানা বন্ধ রাখার মতো সংকট বা উপযুক্ত কোন কারণ সেখানে নেই। আইন অনুযায়ী উৎপাদনশীল কারখানা লে-অফ এর মাধ্যমে বন্ধ রাখার কোন সুযোগ নেই। কারখানার মালিক পরিকল্পিতভাবে তাঁর অন্যত্র প্রতিষ্ঠানে কাজ সরিয়ে নিয়ে কাজ কম থাকার বানোয়াট কথাবর্তা বলছে। শ্রমিকদের ন্যায্য মজুরি ও আইনি পাওনা থেকে বঞ্চিত করে মালিক কারখানাটি অন্যত্র সরিয়ে নিয়ে তাঁদেরকে ক্ষতিগ্রস্ত করার ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়েছে। প্রতি মাসেই শ্রমিকদের বেতন-ভাতা ও নাইট বিল পরিশোধ করা নিয়ে ঘোরাঘুরি করে। অর্জিত ছুটি ও ছুটির টাকা দেয় না। শ্রমিকরা কোন কথা বললে চাকুরিচ্যুত করার হুমকি দেয়। এসব বরদাস্ত করা হবে না। নারায়ণগঞ্জের কলকারখানা অধিদপ্তরের উপমহাপরিদর্শকের বরাবর সংকট নিরসনের অভিযোগ দেয়া হয়েছে। বে-আইনিভাবে বন্ধ ঘোষিত কারখান খুলে দিয়ে উৎপাদনের সুষ্ঠু পরিবেশ ফিরিয়ে আনতে হবে। অন্যথায় নেতৃবৃন্দ তীব্র আন্দোলন গড়ে তুলে দাবি আদায় করার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন।

প্রেস নারায়ণগঞ্জ.কম

সর্বশেষ

জনপ্রিয়