২৯ মার্চ ২০২৪

প্রকাশিত: ২১:১৩, ৮ মে ২০২১

রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের জন্মদিন উপলক্ষে কবি স্মরণ অনুষ্ঠান

রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের জন্মদিন উপলক্ষে কবি স্মরণ অনুষ্ঠান

প্রেস নারায়ণগঞ্জ: বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ১৬০তম জন্মদিবস উপলক্ষে চারণ সাংস্কৃতিক কেন্দ্র নারায়ণগঞ্জ জেলার উদ্যোগে কথায় ও গানে ‘কবি স্মরণ’ অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার (৭ মে) বিকেল ৫টায় ২নং রেলগেটে অবস্থিত বাসদ কার্যালয়ে অনুষ্ঠানটি অনুষ্ঠিত হয়।

চারণ সংগঠক প্রদীপ সরকারের সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন চারণ সাংস্কৃতিক কেন্দ্রের কেন্দ্রীয় ইনচার্জ ও জেলা বাসদের সমন্বয়কারী নিখিল দাস, জেলা প্রগতি লেখক সংঘের সভাপতি জাকির হোসেন। এ সময় জেলা চারণের সদস্য প্রদীপ সরকার, জামাল হোসেন, বেলাল হোসাইন ও রিনা আক্তার আবৃত্তি ও সংগীত পরিবেশন করেন।

এ সময় বক্তারা বলেন, বাংলা ভাষা, সাহিত্য ও সংস্কৃতির প্রাণ পুরুষ কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর। আজ ৮ তাঁর ১৬০তম জন্মদিন। কবিতা, গল্প, উপন্যাস, প্রবন্ধ,নাটক, সংগীতসহ বাংলা সাহিত্যের প্রতিটি শাখায় ছিল তাঁর অবাধ বিচরণ। সাহিত্যিক মৈত্রেয়ী দেবীর ভাষায় ‘‘বাংলার সাহিত্যাকাশের যে দিকে তাকাই রবি ঠাকুর শুধু রবি ঠাকুর।’’ তিনি ১৯১৩ সালে ‘গীতাঞ্জলি’ রচনার জন্য প্রাপ্ত নোবেল পুরুস্কারের টাকা দিয়ে সিরাজগঞ্জের শাহাজাদপুরের দরিদ্র কৃষকদের ঋণ দিতে কৃষি ব্যাংক প্রতিষ্ঠা করেন। তিনি ১৯১৯ সালে জালিয়ানওয়ালাবাগ হত্যাকান্ডের বিরোধীতা করে ‘নাইডহুড’ উপাধী ত্যাগ করেন। ১৯০৫ সালের বঙ্গ ভঙ্গের বিরুদ্ধে কবি রাজপথে নামেন এবং বহু গান রচনা করেন। আমাদের জাতীয় সংগীতও ঐ সময়ে রচনা।

বক্তারা আরও বলেন, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ১৯৩৭ সালে স্পেনের শাসক জেনারেল ফ্রাংকোর ফ্যাসিবাদি শাসনের বিরুদ্ধে কবিতা লিখেছিলেন ও ফ্যাসিবাদ বিরোধী আন্তর্জাতিক সংগঠকের দায়িত্ব গ্রহণ করেন। অথচ আজ বর্তমান সরকার দেশে ভয়াবহ ফ্যাসিবাদী শাসন কায়েম করেছে। তাই শোষণ, সাম্প্রদায়িকতা ও ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের প্রয়োজনে কবিকে স্মরণ করা ও তার লেখা অধ্যয়ন করা প্রয়োজন। হেফাজতের কথায় সরকার পাঠ্য বই থেকে কবির রচনা হিন্দু বলে বাদ দেয়া হয়। অথচ কবি ছিলেন ব্রাহ্ম ধর্মের।

প্রেস নারায়ণগঞ্জ.কম

সর্বশেষ

জনপ্রিয়