১৯ এপ্রিল ২০২৪

প্রকাশিত: ১৯:৫৪, ৭ জুলাই ২০২১

আপডেট: ২১:৫৮, ৭ জুলাই ২০২১

রাজউকরে নারায়ণগঞ্জে ঢুকতে দেয়াই উচিত না: শামীম ওসমান

রাজউকরে নারায়ণগঞ্জে ঢুকতে দেয়াই উচিত না: শামীম ওসমান

প্রেস নারায়ণগঞ্জ: রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (রাজউক) কাছে ভবন নির্মাণের অনুমোদন চাইলে ফাইল পড়ে থাকে বলে অভিযোগ করেছেন নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের সাংসদ একেএম শামীম ওসমান। রাজউকরে নারায়ণগঞ্জে ঢুকতে দেয়াই উচিত না বলেও মন্তব্য করেন সরকারদলীয় এই সাংসদ।

বুধবার (৭ জুলাই) বিকেলে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে জলাবদ্ধতা নিরসনে আয়োজিত সভায় তিনি এমন মন্তব্য করেন। জেলা প্রশাসক মোস্তাইন বিল্লাহ সভার সভাপতিত্ব করেন।

সভায় ডিএনডি প্রকল্প নিয়ে শামীম ওসমান বলেন, ‘জোড়াতালি দিয়ে আর কতদিন চলবে? আমাদের একটি ভালো পরিকল্পনা দরকার। আজকে রেলওয়ে বিভাগ থেকে সভায় কেউ আসলো না। রেলওয়ে আসেনি কেন এজন্য তাদের জবাবদিহি করার দরকার। এ বিষয়ে যদি আমাকে চিঠি দেয়া হয় তাহলে আমি মন্ত্রী মহোদয়কে দিবো এবং আমি মন্ত্রী মহোদয়ের কাছ থেকে জবাব নিয়ে আসবো। কারণ আমি জনপ্রতিনিধি এবং আমি স্বচ্ছতায় বিশ্বাস করি।’

তিনি আরও বলেন, ‘আমাদের এডিসি (রাজস্ব) বললেন রাজউকের অনুমোদন বাকি আছে। রাজউককে তো ঢুকতে দেয়াই উচিত না নারায়ণগঞ্জে। যারা রাজউকের অনুমোদন চায় তাদের ফাইল পরে থাকে বছরের পর বছর। আর যারা অনুমোদন চায় না তারা আরামে বাড়ি-ঘর করে বসে আছে। বড় বড় রথি মহারথিরা যারা বড় বড় নীতি বাক্য দেয়। তারা বাড়ি-ঘর করে বসে আছে, তাদের তো রাজউকের অনুমতি নাই। অনুমতি যে দিবে না, যে বেআইনি কাজ করবে তার জন্যে সব হালাল আর যে আইনে যাবে তার জন্যে সব হারাম?’

সরকারদলীয় এই সাংসদ বলেন, ‘এখানে রাজউকের প্রতিনিধি থাকাও উচিত ছিল। পরিবেশ অধিদপ্তরের প্রতিনিধি থাকা উচিত ছিল। কারণ যে ময়লা জমে আছে রাস্তার পাশে এতে কি পরিবেশ নষ্ট হচ্ছে না? যে রাস্তার কাজ করছে সে কন্ট্রাকটরকে কেন ঢাকা সিটি কর্পোরেশনের সাথে যোগযোগ করতে হবে? ডিসি বা আমাকে কেন যোগাযোগ করতে হবে? পরিবেশ মন্ত্রণালয় যোগাযোগ করতে পারে না? কে ময়লা ফেলেছ তা পরের হিসাব। কারা ময়লা ফেলেছে তা আমরা জানি। সে বিষয়ে আমি কাউকে আর দোষারোপ করবো না। সবার সমন্বয় যদি না হয় তাহলে তো সমাধান আসবে না। সিটি কর্পোরেশন, এলজিইডি, গণপূর্ত, সড়ক বিভাগ সবাই যদি একটা সমন্বয় করে না দেন তাহলে এলোপাথাড়িভাবে আমরা দৌড়দৌড়ি করতে পারবো না, আর কাজও হবে না। সে হিসেবে দোষ পড়বে গিয়ে মন্ত্রী, মেয়র, এমপিদের উপরে।’

সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন ডিএনডি প্রজেক্টের পরিচালক লেফটেন্যান্ট কর্ণেল মো. আহসানূত তাকবিম চৌধুরী, অতিরিক্ত জেলা পুলিশ সুপার (প্রশাসন) মোস্তাফিজুর রহমান, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) সেলিম রেজা, জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল নারায়ণগঞ্জের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. খালেদ সালাহউদ্দিন, নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের নির্বাহী প্রকৌশলী আজগর হোসেন, নারায়ণগঞ্জ সড়ক বিভাগের উপবিভাগীয় প্রকৌশলী মো. সাখাওয়াত হোসেন, এলজিইডি নারায়ণগঞ্জ’র নির্বাহী প্রকৌশলী শেখ তাজুল ইসলাম তুহিন, গণপূর্ত নারায়ণগঞ্জ’র নির্বাহী প্রকৌশলী মোহাম্মদ হেলাল উদ্দিন, সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আরিফা জহুরা, মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অ্যাড. খোকন সাহা, যুগ্ম সম্পাদক শাহ্ নিজাম, নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলা চেয়ারম্যান অ্যাড. আবুল কালাম আজাদ বিশ্বাস, বক্তাবলী ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান শওকত আলী, ফতুল্লা ইউনিয়ন পরিষদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান লুৎফর রহমান স্বপন, এনায়েতনগর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আসাদুজ্জামান, কুতুবপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মনিরুল আলম সেন্টু প্রমুখ।

প্রেস নারায়ণগঞ্জ.কম

সর্বশেষ

জনপ্রিয়