২৮ মার্চ ২০২৪

প্রকাশিত: ২৩:১৩, ৬ অক্টোবর ২০২০

আপডেট: ১৩:২৫, ৭ অক্টোবর ২০২০

রূপগঞ্জে শিশু ধর্ষণের মিমাংসার চেষ্টায় ইউপি মেম্বার

রূপগঞ্জে শিশু ধর্ষণের মিমাংসার চেষ্টায় ইউপি মেম্বার

প্রেস নারায়ণগঞ্জ: নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে ৪ বছর বয়সী এক শিশুকে ধর্ষণ চেষ্টার অভিযোগ পাওয়া গেছে। ঘটনার এক সপ্তাহ পর মঙ্গলবার (৬ অক্টোবর) সন্ধ্যায় থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। স্থানীয় প্রভাবশালীদের বাধায় মামলা করতে পারছিলেন না বলে অভিযোগ ভুক্তভোগী পরিবারের। ভুলতা ইউনিয়ন পরিষদের ৫ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য ও উপজেলা আওয়ামী যুবলীগের মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সম্পাদক সাইফুল ইসলামের বিরুদ্ধে ২ লাখ টাকায় বিষয়টি মিমাংসা চেষ্টারও অভিযোগ উঠেছে।

মামলার এজাহারের বরাতে রূপগঞ্জ থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহমুদুল হাসান জানান, গত ২৯ সেপ্টেম্বর প্রতিবেশী যুবক সানি আলম শিশুটিকে ডেকে নিয়ে যৌন নিপীড়ন করে। এ সময় ধর্ষণের চেষ্টা চালায় সে। এ ঘটনায় শিশুটির মা বাদী হয়ে থানায় মামলা দায়ের করেন। মামলায় সানি আলম (২২) নামে এক যুবককে গ্রেফতার করেছে। রূপগঞ্জ উপজেলার ভুলতা ইউনিয়নের বাসিন্দা সানি আলম পেশায় একজন বিদ্যুৎ মিস্ত্রি।

নির্যাতনের শিকার শিশুটির মা জানান, ঘটনার পর শিশুটি এসে তাঁকে একথা জানায়। তিনি সঙ্গে সঙ্গেই স্থানীয় ইউপি সদস্য ও উপজেলা আওয়ামী যুবলীগের মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সম্পাদক সাইফুল ইসলামের কাছে ছুটে যান। এরপর তিনি এ ঘটনায় মামলা করতে না দিয়ে গ্রামের প্রায় দুই শতাধিক লোক ডেকে সালিশের মাধ্যমে বিচারের চেষ্টা করেন। তারা বিচার না মেনে বাড়ি চলে এলে পরদিন সকালে আবার মিমাংসার চেষ্টা করেন ইউপি সদস্য সাইফুল ও গ্রামের মাতবর বাদল হোসেন। বিচার না মানলে হুমকি দেন তারা। অবশেষে গ্রাম থেকে পালিয়ে রূপগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে (ইউএনও) বিষয়টি জানায় ভুক্তভোগী পরিবার।

ইউএনও শাহ নুসরাত জাহান জানান, ভুক্তভোগী পরিবার শিশুটিকে নিয়ে এসে বিষয়টি জানালে ঘটনাস্থলে লোক পাঠানো হয়। পরে অভিযুক্ত সানিকে সঙ্গে করে নিয়ে উপজেলা কার্যালয়ে হাজির হন ইউপি সদস্যসহ স্থানীয় কয়েকজন। পরে পুলিশে খবর দিলে পুলিশ অভিযুক্তকে নিয়ে যায় এবং থানায় মামলা হয়।

শিশুর পরিবারকে মামলা করতে বাধা দেওয়ার অভিযোগ অস্বীকার করে ভুলতা ইউনিয়নের ৫ নম্বর ওয়ার্ড সদস্য সাইফুল ইসলাম বলেন, অভিযোগ পাওয়ার পর গত মঙ্গলবার (২৯ সেপ্টেম্বর) রাতেই তাঁর কার্যালয়ে গ্রামবাসীকে নিয়ে বসেছিলেন। সালিশের মাধ্যমে অভিযোগটির সত্যতা যাচাইয়ের চেষ্টা করেছেন। তারপর আর মিমাংসার চেষ্টা করেননি। তিনি বলেন, ‘আমি একা কিছুই করিনি। এখানে আরও অনেকেই ছিলেন।’

এদিকে রূপগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মাহমুদুল হাসান জানান, ইউএনও অফিস থেকে বিষয়টি জানানো হলে সাথে সাথে থানায় মামলা নেওয়া হয় এবং আসামিকেও গ্রেফতার করা হয়। শিশুর পরিবারের লোকজন নিরাপত্তার শঙ্কা করলে এ বিষয়ে অভিযোগ দিলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

প্রেস নারায়ণগঞ্জ.কম

সর্বশেষ

জনপ্রিয়