২৯ মার্চ ২০২৪

প্রকাশিত: ২১:৫০, ২০ জানুয়ারি ২০২১

শামীম ওসমানের হস্তক্ষেপ চান ব্যবসায়ী মনিরুল

শামীম ওসমানের হস্তক্ষেপ চান ব্যবসায়ী মনিরুল

প্রেস নারায়ণগঞ্জ: নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলার বিসিক এলাকার ব্যবসায়ী মনিরুল ইসলাম নিজের বিরুদ্ধে ‘মিথ্যা’ চাঁদাবাজি মামলা ও হয়রানি থেকে রেহাই পেতে এবার সংসদ সদস্য শামীম ওসমানের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন। এর আগে তিনি ঢাকা রেঞ্জের ডিআইজি ও জেলা এসপির সহযোগিতা চেয়েছিলেন। কিন্তু কোনও উপকার না পেয়ে এবার তিনি সাংসদ শামীম ওসমানের দ্বারস্থ হলেন। বিসিক এলাকার ইসলাম’স গ্রুপ এর ম্যানেজিং ডাইরেক্টর মনিরুল ইসলামের অভিযোগ সরাসরি ফতুল্লা মডেল থানার ওসি আসলাম হোসেন এবং আজাদ রিফাত কম্পোজিটের মালিক মো. কাশেমের বিরুদ্ধে।

সংসদ সদস্য শামীম ওসমানের দৃষ্টি আকর্ষণ করে মনিরুল ইসলাম বলেন, ওসি আসলাম হোসেনের সহযোগিতায় এবং মো. কাশেমের ছেলে রাজীবের অর্থায়নে মতিউর রহমানকে দিয়ে তার বিরুদ্ধে ৫০ লাখ টাকার চাঁদাবাজির অভিযোগ করানো হয়। অভিযোগ করেই তারা ক্ষ্যান্ত হয়নি। তারা মনিরুল ইসলামের ছবি এডিট করে সন্ত্রাসী-গুণ্ডা বানিয়ে তার বিরুদ্ধে বিভিন্নভাবে অপপ্রচার চালানো হচ্ছে।

তিনি বলেন, ব্যবসায়ী জীবনের দীর্ঘ ১৫ বছরে তার বিরুদ্ধে ফতুল্লা থানায় কোন ধরণের অভিযোগও নেই। কিন্তু এক ধাক্কাতেই তাকে চাঁদাবাজ বানিয়ে দেওয়া হয়েছে।

ওসি আসলাম হোসেন সম্পর্কে ব্যবসায়ী মনিরুল ইসলাম বলেন, ‘গত দেড় বছরে ওসি সাহেবের সাথে আমার বহুবার দেখা হয়েছে। তিনি আমাকে অপছন্দ করেন তা একবারের জন্য বুঝতে পারেনি। আশঙ্কা প্রকাশ করে তিনি বলেন, ‘হয়তো কোনও একদিন ওসি সাহেব আমাকে মাদকদ্রব্য হাতে ধরিয়ে দিবে এবং অবৈধ অস্ত্র দিয়ে নাটক সাজিয়ে ক্রসফায়ারে দিবেন।’

মনিরুল ইসলাম বলেন, ‘আমি আল্লাহর ওপর ভরসা করি চলি। এবং দেশের আইনের প্রতি আমি শ্রদ্ধাশীল। আমাকে সন্ত্রাসী, গুণ্ডা, চাঁদাবাজ বানানোর অপচেষ্টার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ ও প্রতিরোধ করে যাবো। প্রয়োজনে ওসির গুলিতে মরতে চাই, তবু কাশেম, মতিউর রহমান, মো. শফিউদ্দিন বেপারী ও রাজীবদের সামনে মাথা নত করবো না।’

মো. কাশেম সম্পর্কে মনিরুল ইসলাম বলেন, ‘ওনি আমার বাবার বয়সী। তাকে আমি শ্রদ্ধা করি। ওনি যে মাদরাসার সভাপতি আমি সেই মাদরাসার উন্নয়নে ২ লাখ ৪৭ হাজার টাকার টাইলস দিয়েছি। এই টাইলস পেয়ে তিনি আমাকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন। অথচ এই কাশেম সাহেব তার মাদরাসার মোতায়াল্লি মতিউর রহমানকে দিয়ে আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা ৫০ লাখ টাকার চাঁদাবাজির অভিযোগ করিয়েছেন। এখন থানা পুলিশ দিয়ে আমাকে গ্রেপ্তার করার পাঁয়তারা করছেন। ’

মনিরুল ইসলাম আরও বলেন, ‘আমি আইনের প্রতি অনুগত এবং শ্রদ্ধাশীল থেকে ডিআইজি, এসপি স্যারকে বিষয়টি অবহিত করেছিলাম। কিন্তু কোনও উপকার পাইনি। তাই, ন্যায় বিচারের প্রত্যাশায় উল্লেখিত বিষয়টির দিকে সুনজর দিতে আমার শ্রদ্ধেয় নেতা সংসদ সদস্য একেএম শামীম ওসমান স্যারের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।’

প্রেস নারায়ণগঞ্জ.কম

সর্বশেষ

জনপ্রিয়