১৯ এপ্রিল ২০২৪

প্রকাশিত: ১৮:০৪, ১৮ জানুয়ারি ২০২১

আপডেট: ১৯:৪৮, ১৯ জানুয়ারি ২০২১

শীতলক্ষ্যায় একজনের খোঁজে মিলল আরেকজনের লাশ

শীতলক্ষ্যায় একজনের খোঁজে মিলল আরেকজনের লাশ
বামে নিখোঁজ সাদ্দাম ডানে নিহত সুজন

প্রেস নারায়ণগঞ্জ: নৌকা থেকে শীতলক্ষ্যা নদীতে পড়ে গিয়ে নিখোঁজ পোশাক শ্রমিককে খুঁজতে নেমে চারদিন যাবৎ নিখোঁজ এক কলেজ ছাত্রের মরদেহ উদ্ধার করেছে নারায়ণগঞ্জ ফায়ার সার্ভিস এন্ড সিভিল ডিফেন্সের ডুবুরি দল। সোমবার (১৮ জানুয়ারি) সকালে নগরীর নবীগঞ্জ খেয়াঘাট এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

ওই কলেজ ছাত্রের নাম সুজন মাহমুদ (২৫)। সে বন্দর উপজেলার দক্ষিন কলাবাগ এলাকার বাসিন্দা আবুল হোসেনের ছেলে। শহরের সরকারি তোলারাম কলেজের স্নাতক (সম্মান) চতুর্থ বর্ষের হিসাববিজ্ঞান বিভাগের ছাত্র ছিল সুজন। কলেজের পাশেই একটি মেসবাড়িতে ভাড়া থাকতেন। গত ১৪ জানুয়ারি রাত ৯টা থেকে সে নিখোঁজ ছিল বলে তার পরিবার ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়। এদিকে নৌকা থেকে নদীতে পড়ে যাওয়া পোশাক শ্রমিক সাদ্দাম হোসেনের কোনো সন্ধান মেলেনি।

প্রত্যক্ষদর্শীদের বরাতে নারায়ণগঞ্জ ফায়ার সার্ভিস এন্ড সিভিল ডিফেন্সের উপসহকারী পরিচালক আব্দুল্লাহ আল আরেফিন বলেন, সোমবার সকাল ৯টার দিকে ঘন কুয়াশার কারণে যাত্রীবাহী একটি নৌকা ও অপর একটি ট্রলার মুখোমুখি চলে আসে। এ সময় ঢেউয়ের কারণে নৌকাটি দুলতে থাকলে নৌকার মাঝিসহ তিনজন নদীতে পড়ে যান। অন্য দু’জন তীরে উঠতে পারলেও পানিতে ডুবে গিয়ে নিখোঁজ হয় সাদ্দাম হোসেন। তাকে খুঁজতে গিয়ে সুজন মাহমুদের অর্ধগলিত মরদেহ উদ্ধার করে ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল। পরে মরদেহ নৌ পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়। তবে বিকেল ৫টায় এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত কোনো সন্ধান মেলেনি সাদ্দামের।

নিহত কলেজ ছাত্র সুজন মাহমুদের বড় ভাই শাহ্ জামাল বলেন, গত ১৪ জানুয়ারি রাতে এক বন্ধুর বড় ভাইয়ের বিয়ের অনুষ্ঠানে যাওয়ার কথা বলে মেস বাসা থেকে বের হয় সুজন। এরপর থেকে তার কোনো সন্ধান পাওয়া যায়নি। তার মুঠোফোনের নম্বরটিও মেস বাড়িতে রেখে যান। কোনো খোঁজ না পেয়ে পরদিন তার বাবা বন্দর থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন। চারদিন পর সুজনের মরদেহ শীতলক্ষ্যা নদীর নবীগঞ্জ খেয়াঘাট এলাকায় পাওয়া যায়।

শাহ্ জামাল বলেন, তার ছোট ভাইয়ের ফাইনাল পরীক্ষা চলছে। কলেজে যাতায়াতের সুবিধার্থে সে কলেজের পাশেই পুকুরপাড় এলাকায় মেসবাড়িতে ভাড়া থাকতো। ছাত্র পড়িয়ে পড়াশোনার খরচ জোগাতো সে।

এদিকে নারায়ণগঞ্জ নৌ থানার উপপরিদর্শক (এসআই) ছগীর বলেন, মরদেহে পঁচন ধরে যাওয়ায় প্রাথমিকভাবে সুজনের শরীরে কোনো আঘাতের চিহ্ন শনাক্ত করা যায়নি। এটি হত্যা নাকি অন্য কোনো ঘটনা তা ময়না তদন্তের প্রতিবেদন সাপেক্ষে বলা যাবে। ময়না তদন্তের জন্য দুপুরে মরদেহ নারায়ণগঞ্জ জেনারেল হাসপাতাল মর্গে প্রেরণের কথাও জানান এসআই ছগীর।

প্রেস নারায়ণগঞ্জ.কম

সর্বশেষ

জনপ্রিয়