২৫ এপ্রিল ২০২৪

প্রকাশিত: ২০:৫০, ৭ সেপ্টেম্বর ২০১৯

সমাবেশে আটকে গেলো অ্যাম্বুলেন্স

সমাবেশে আটকে গেলো অ্যাম্বুলেন্স

প্রেস নারায়ণগঞ্জ: শামীম ওসমানের সমাবেশকে কেন্দ্র করে ভোগান্তিতে পড়ে নারায়ণগঞ্জ শহরের বাসিন্দারা। বিকেল ৩টা থেকে শুরু হওয়া সমাবেশকে কেন্দ্র করে জেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে দলে দলে নেতাকর্মীরা মিছিল নিয়ে আসতে থাকেন সমাবেশস্থলে। তবে বিপুল পরিমান নেতাকর্মীদের আনা নেয়ায় গনপরিবহন রিজার্ভ করে ফেলায় যাত্রীরা পড়েছেন দুর্ভোগে। সমাবেশকে কেন্দ্র করে গনপরিবহন সঙ্কট থাকায় পায়ে হেঁটেই নির্ধারিত গন্তব্যে রওনা দেন সাধারণ মানুষ।

তবে সমাবেশকে কেন্দ্র করে শহর অবরুদ্ধ হয়ে পড়ায় বিপাকে পরেন রোগীরা। নারায়ণগঞ্জের সলিমুল্লাহ রোড আটকে রেখে সমাবেশ চলে প্রায় ৩ ঘণ্টা যাবৎ। তবে নেতাকর্মীদের আনাগোনায় আরও প্রায় ২ ঘন্টা গতি শ্লথ হয়ে পরে এই সড়কে। শুধু সলিমুল্লাহ সড়ক নয়, ঢাকা নারায়ণগঞ্জ লিংক রোডের প্রবেশ মুখ ও চাষাঢ়া পঞ্চবটি রোডের প্রবেশ মুখ বন্ধ হয়ে পড়ায় যাত্রী ও রোগীরা চরম দুর্ভোগে পড়েন ।

সমাবেশে সবচেয়ে অমানবিক দৃশ্যের অবতারনা ঘটে একটি অ্যাম্বুলেন্স আটকে গিয়ে। ৩০০ শয্যা খানপুর জেনারেল হাসপাতালের সড়কের একাংশ আটকে সমাবেশ শুরু করলেও পুরো সড়ক বন্ধ হয়ে যায়। সমাবেশের আগত নেতাকর্মীদের ভিড়ে আটকে যায় অ্যাম্বুলেন্স। ধীরে ধীরে ভিড় ঠেলে এগোলেও ১ মিনিটের রাস্তা পাড়ি দিতে আধাঘন্টারও বেশী সময় ব্যয় করতে হয় এম্বুল্যান্স চালকের। এছাড়া খানপুর হাসপাতালের উদ্যেশ্যে আসা রোগীরা হেঁটেই রওনা হয়েছেন অনেকেই।

এর আগে, নারায়ণগঞ্জ ২ নং রেলগেইটে আয়োজিত শামীম ওসমানের সভায় সড়ক ছেড়ে সমাবেশ করার অনুরোধ করেন নারায়ণগঞ্জ জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি আব্দুল হাই। সেসময় তিনি সমাবেশের জন্য মাঠ বা ফাকা স্থান নির্ধারন করার পরামর্শ দেন শামীম ওসমানকে। এও বলেন সড়ক আটকে সমাবেশ করলে মানুষের যাতায়াতের অসুবিধা হয়। তবে সেইসময় এই অসুবিধার জন্য সমাবেশে বক্তব্য শুরুর পূর্বেই শহরবাসীর নিকট হাতজোড় করে মাফ চেয়ে নেন। এবারও একই ভাবে মূল সড়কে মঞ্চ নির্মাণ ও নেতাকর্মীর অবস্থানের কারণে পূর্বের মতই শহর অবরুদ্ধ হয়ে পরে।

প্রেস নারায়ণগঞ্জ.কম

সর্বশেষ

জনপ্রিয়